somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাংলাদেশ ইন্টারনেট ব্যবহারে এশিয়ার ৪টি অন্ধকারতম দেশের মধ্যে ১-নম্বর-তম

২২ শে মার্চ, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৫৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

উল্লেখ্য নিম্নউল্লেখিত এই ৪টি দেশের সরকার নানা নীতি পলিসি দেয়ে আজ ২০১১ সালেও সেখানকার ইউজার সংখ্যা শূন্য দশমিকের নিচের শতাংশে রেখেছে। বর্ণের ক্রমঅনুসারে


১. বাংলাদেশ ০.৪%
২. কম্বোডিয়া ০.৫%
৩. মিয়ানমার ০.২%
৪. টিমোর Leste ০.২%

কি বলেন, বাংলাদেশ তো ৩ অথবা ২ নম্বর হবে ? না রে ভাই তারপরও কথা আছে এই সর্বনিম্ন ৪টা দেশর মধ্যে বাংলাদেশ ০.৪% নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে দেখা গেলেও আদতে বাংলার ইন্টারনেট ইন্টানেটের সংজ্ঞাতেই পরে না। কারন সংখ্যার পরেও গুনগত মানে ঐ ৩টা এদেশের ইন্টারনেট যা তা বাংলাদেশে বাঙ্গালকে আজও জানতেও দেয়া হয়নি । এইটা আবার কিবায় ? বাংলাদেশের মানুষের মাঝে আজও নেট পর্ণের মাধ্যম থেকে গেলেও ২০০০ সালের পরে থেকেই দুনিয়ার সাধারন মানুষের কাছে ইন্টারনেট আর পর্ণ দেখার মাধ্যম হিসাবে না থেকে কাজের মাধ্যমে পরিণত হয়। যেমন এই মুহুর্তে টোটাল নেটে পর্নের পরিমান ১% এর অনেক কম। নেট কাজের মাধ্যম হতে কি লাগে ? ভাইজান ইন্টারনেট কামের মাধ্যম হতে দুইডা বেসিক জিনিষ লাগে ১. নাগরীকদের নেটে দ্রুত দৌড়ানোর ক্ষমতা আর ২. নাগরীকের নেটে টাকা লেন এবং দেন মানে লেনদেন করনের পারমিশন। পৃথিবী সব দেশের সরকারের সাথে ২, ৩ ও ৪ নম্বর দেশও নেটকে কামের মাধ্যমে পরিণত করতে ২০০০ সাল থেকেই তার নাগরীকদের ব্রডব্যান্ড ও ইকমার্স দিতে থাকে।

মিয়ানমারে ০.২% হলেও ইউজার প্রতি ব্যন্ডউইথ এলোকেশন বাংলাদেশের একজনের চেয়ে কমপক্ষে ১০০ গুন বেশি এবং মিয়ানমার, টিমোর, কম্বোডিয়া সকল দেশই ইজারকে ইকমার্স এলাও করে। বিশ্বের একমাত্র বুদ্ধিমানের দেশ (?) বাংলাদেশ করে না

সুতরাং বাংলাদেশ প্রমান সহ ইন্টারনেট ব্যবহারে এশিয়ার ৪টি অন্ধকারতম দেশের মধ্যে ১-নম্বর-তম

তথ্যের সূত্র এখানে , সূত্রে উত্তর কোয়িয়া না পাইয়া খুশি হইয়েন না। সেখানকার অবস্থা বাংলাদেশের চেয়ে হাজার গুন ভালো। সেখানে দেখবেন আফগানিস্তান ৩.৪%, ভুটান ৭.১%, পাকিস্তান ১০%, মলয়েশিয়া ৬৪% ভিয়েতনাম ২৭.১%

এখন হয়তো বলবেন বাংলাদেশের মানুষ ইন্টারনেট দিয়া কি করবো ? আর সরকারের দেওয়ার কি আছে, লোকজন কিনবো আর ব্যবহার করবে । তাদের জন্য বলবো বোকার স্বর্গে বসবাস না করে বাস্তবে আসেন।একটা দেশে কতটুকু ও কতজনে ইন্টারনেট ব্যবহার করবে তার পরিকল্পনা, নির্ধারন ও নিয়ন্ত্রন সবই সে দেশের সরকারই করে কারন নেটের তিনটা বেসিক বিষয় ১. ব্যন্ডউইথ, ২. ইনফ্রাস্ট্রাকচার -ইডিজিই, থ্রীজি, ওয়াইম্যাক্স, অপটিক বেকবোন, ৩. নেটের দাম এই সবগুলির পার্মিশন নিয়ন্ত্রন ও লাইসেন্স সেই দেশেই সরকারের হাতেই, সরকারই অনুমতি দেয়, সবাই দিছে, বাংলাদেশের আছে দেয় নাই।যে দেশের সরকার যতটা চেয়েছে জনগণকে ততটা স্বাধীনতা পেয়েছে । বাংলাদেশ দিয়েছে ০.৪% ভুটান ৭.১%

তারপরও যদি না বুঝি তাহলে বলবো তথ্যপ্রযুক্তির অন্যতম মাধ্যম মোবইল ফোন ব্যবহারে বাংদেশের এবং অন্যান্য দেশের তথ্যগুলো একটু দেখেন আমাদের জনগণ কারও চেয়ে পিছিয়ে নেই। মোবাইল ব্যবহারকারী বাংলাদেশ ৪০.২% পাকিস্তান ৬০.৩২%, ভিয়েতনাম ৩৮.৮ % ভারত ত ৬৪.৭%,

তার মানে সুজোগ দিলে এখানার জনগণের আইটি ব্যবহারের এ্যাপটিচিউড অনেক বেশি ধারন করে যেমন এদেশে অন্য সব দেশের পরে মাত্র ১৯৯৭ সালে মোবাইলফোন যাত্রা করার অনুমতি পেলেও ১৪ বছরে ৪০.২% এ পৌছে গেছে যেখানে পৃথিবীতে মোবাইলফোন যাত্রা শুরু করেছিল ১৯৭৯ সালে।

সুতরাং আপনারা স্বীকার করেন বা না করেন সরকার বাংলাদেশকে শুধু এশিয়ার নয় পৃথিবীর একমাত্র অন্ধকারতম দেশ করে রেখেছে।

চলবে
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে মার্চ, ২০১১ রাত ১২:১৫
২৩টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাওরের রাস্তার সেই আলপনা ক্ষতিকর

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫৯

বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম আলপনা আঁকা হয়েছে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাওরের ‘অলওয়েদার’ রাস্তায়। মিঠামইন জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই আলপনার রং পানিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছবির গল্প, গল্পের ছবি

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:১৫



সজিনা বিক্রি করছে ছোট্ট বিক্রেতা। এতো ছোট বিক্রেতা ও আমাদের ক্যামেরা দেখে যখন আশেপাশের মানুষ জমা হয়েছিল তখন বাচ্চাটি খুবই লজ্জায় পড়ে যায়। পরে আমরা তাকে আর বিরক্ত না করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×