তথ্যটা আগে এই সরকারি সইটের দেখে নিন। গত দুই বছরের ডিজিটাল বাংলাদেশের বেসিক অর্জনটুকু। এর বেশি আর কিছু লাগবে না ! এই তথ্য থেকেই বলে দেয়া যায় ডিজিটাল বাংলাদেশ মুলা-টি একটি কত বড় প্রতারনার মুলা। সাইটে বলা হচ্ছে দেশের বর্তমান ব্যন্ডউইথ এর পরিমান 44.60 Gbps. এর মানে গত দুই বছরে সাবমেরিন ক্যবলে এক ফোটাও ব্যন্ডউইথ যোগ হয়নি।কারন ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে এই সাবমেরিন ক্যবলে আরও ৯৬ Gbps ব্যন্ডউইথ যোগ হয়ে ১৪০ জিবিপিএস হওয়ার কথা ছিল যা বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসেই বাতিল করেছিল। এবং গত ২ বছর যাবৎ সরকার সাবমেরিন ক্যবলে অন্তত ৩০ জিবিপিএস ব্যন্ডউইথ অপচয় করেছে যেখানে দেশের জনগণকে এর অর্ধেকেরও কম ব্যবহার করতে দিয়েছে।
১৫ কোটি জনগণের একটা দেশের ২০১১ সালে মোট ব্যন্ডউইথ ব্যবহার মাত্র ১৫ জিবি খুবই বিপদ জনক। কারন ২০১০ সালে ৫ কোটি জনগণের দক্ষিন কোরিয়ার দশটি ক্যবলে ২৫,০০০ জিবিপিএস ব্যন্ডউইথ ব্যবহার করেছে। সূত্রঃ কোরিয়া ইন্টারনেট হয়াইট পেপার -২০১০ , জাপানের মাত্র ১৫ জন ও ভারতের মাত্র ৫০০ জন মালয়েশিয়ার মোট ১০০ জন ইউজার বাংলাদেশের সমগ্র জাতির সমান পরিমান ব্যন্ডউইথ ব্যবহার করছে। বিশ্বের অনেক স্কুলে এই পরিমান ডেডিকেটেড ব্যন্ডউইথ আছে।
সারা দেশে ব্যবহার 15.35 Gbps তাহলে সহজেই হিসাব করা যায় দেশে ইন্টারনেট ইউজার কত শতাংশ -যা ১% এর নিচে আসলে ০.৪%, বিশ্বাস না হলে হিসাব করেন ১৫ জিবি সর্বোচ্চ শেয়ার করলেও কত হয়।এশিয়ায় মিয়ানমার ছাড়া আর কোন দেশে এ কাছকাছি অবস্থাও পাওয়া যায় না। আফগানিস্তান ৭%, কোরিয়া ৯৬%
তথ্য প্রযুক্তিতে যেখানে বাকি বিশ্ব দ্রুততম গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে সেখানে আগে থেকেই অনেক পশ্চাদপদ এই বাংলাদেশ দুই বছরে এগিয়ে না গিয়ে যেখানে ছিলাম সেখানেই দাড়িয়ে থেকে দেশকে আসলে এই সেক্টরে আরও ৪ বছর পিছিয়ে দেয়া হলো।
বাংলাদেশের ডিজিটাল ইতিহাস জানতে এই লিংকে দেখতে পারেনঃ এক পোষ্টে বাংলাদেশের ইন্টারনেট নিয়ে সকল কিসসা কাহিনী।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা এপ্রিল, ২০১১ রাত ৯:৪২