সরকার ক্ষমতায় এসেই বলেছিল দেশের একমাত্র গণতান্ত্রীক ব্রডব্যন্ড সমাধান থ্রিজি ৬ মাসের মধ্যে দিয়ে দেয়া হবে। ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারী মাসের এই খবরটি দেখুনঃ
জুনের মধ্যেই দেওয়া হচ্ছে চারটি থ্রি-জি লাইসেন্স সূত্রঃ
সরকারি মালিকানাধীন টেলিটকসহ মোট চারটি মোবাইল ফোন অপারেটরকে থ্রি-জি (তৃতীয় প্রজন্মের প্রযুক্তি) লাইসেন্স দেবে সরকার। চলতি বছরের জুন মাসের মধ্যেই এসব লাইসেন্স দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে।
বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান জিয়া আহমেদ প্রথম আলোকে জানান, ইতিমধ্যেই থ্রি-জি (তৃতীয় প্রজন্ম) লাইসেন্সের নির্দেশিকা বা গাইডলাইন প্রাথমিকভাবে উপস্থাপিত হয়েছে। কমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা পুনঃসংশোধনের কাজ করে যাচ্ছেন। আশা করছি, কমিশন আগামী জুন নাগাদ লাইসেন্স দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করতে পারবে।
লাইসেন্সের সংখ্যা প্রসঙ্গে বিটিআরসির চেয়ারম্যান বলেন, সংখ্যা নির্ধারণ করবে সরাসরি ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়। তবে সরকারি মালিকানাধীন হওয়ায় টেলিটক অবশ্যই একটি লাইসেন্স পাবে।
উল্লেখ্য, থ্রি-জি প্রযুক্তির মাধ্যমে মোবাইল অপারেটররা গ্রাহকদের মুঠোফোনে উচ্চগতির ইন্টারনেট, ভিডিও কনফারেন্সের সুবিধা এবং মানসম্পন্ন সেবা দিতে পারবে। এ প্রযুক্তির উচ্চগতির ইন্টারনেটের সাহায্যে প্রত্যন্ত অঞ্চলে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসুবিধা দ্রুত পৌঁছানোও সম্ভব।
মোবাইল ফোনের থ্রি-জি লাইসেন্স সম্পর্কে ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব সুনীল কান্তি বোস জানান, দেশের বর্তমান মোবাইল ফোন অপারেটরদের মধ্যে যোগ্য কয়েকটি এবং প্রয়োজনে বিদেশি নতুন কোনো যোগ্য অপারেটরকেও লাইসেন্স দেওয়ার বিষয়টি বিটিআরসির পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে। আপাতত লাইসেন্স চারটির মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে। বিটিআরসির চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে একটি কমিটি থ্রি-জি লাইসেন্সের শর্তাবলি নির্ধারণের কাজ করছে বলে তিনি আরও জানান।
লাইসেন্স দেওয়ার প্রক্রিয়া পুরোপুরি উন্মুক্ত থাকবে জানিয়ে বিটিআরসির চেয়ারম্যান বলেন, দেশি বা বিদেশি মালিকানাধীন যেকোনো প্রতিষ্ঠান এ লাইসেন্স পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবে। তবে অপারেটরের মান যাচাই বা ‘বিউটি কনটেস্ট’র মাধ্যমে এসব লাইসেন্স দেবে কমিশন।
থ্রি-জির জন্য প্রয়োজনীয় স্পেকট্রাম বা তরঙ্গ লাইসেন্সপ্রাপ্তদের মধ্যে বরাদ্দ করা সম্ভব কি না—এ প্রশ্নের জবাবে বিটিআরসির চেয়ারম্যান বলেন, এ পর্যন্ত ছয়টি মোবাইল অপারেটর ও অন্যান্য টেলিযোগাযোগ কোম্পানির মধ্যে বিভিন্ন ব্র্যান্ডে ৯২টি ফ্রিকোয়েন্সি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এগুলোর মধ্যে বেশ কিছু ফ্রিকোয়েন্সি এখনো ব্যবহার করা হচ্ছে না। স্পেকট্রাম ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে অব্যবহূত ফ্রিকোয়েন্সি থ্রি-জি লাইসেন্সপ্রাপ্তদের মধ্যে নতুন করে বরাদ্দ দেওয়া হবে।
মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন অ্যামটব-এর সদস্য ও গ্রামীণফোনের রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মাহমুদ হোসেইন বলেন, থ্রি-জি লাইসেন্স দেওয়ার আগেই মোবাইল অপারেটরদের লাইসেন্স নবায়নের বিষয়টি চূড়ান্ত হওয়া দরকার। কারণ, লাইসেন্স নবায়নের নির্দেশনা দেখে তবেই কোম্পানিগুলো নতুন প্রযুক্তিতে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেবে।
অ্যামটবের সভাপতি ও বাংলালিংকের নিয়ন্ত্রণ ও আইন বিভাগের প্রধান জাকিউল ইসলাম বলেন, লাইসেন্সের বিষয়ে প্রযুক্তিগত নিরপেক্ষতা এবং সেবা ও প্রযুক্তি সুনির্দিষ্ট করতে হবে। একই সঙ্গে লাইসেন্স পাওয়ার বিষয়ে সবার জন্য সমান সুযোগও নিশ্চিত করতে হবে।
গত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে থ্রি-জি লাইসেন্স দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন বিটিআরসির তত্কালীন চেয়ারম্যান মনজুরুল আলম। এরিকসন ও হুয়াইকে দুটি পরীক্ষামূলক সম্প্রচারের লাইসেন্সও দিয়েছিল বিটিআরসি। পরবর্তী সময়ে নির্বাচন ও ক্ষমতা পরিবর্তনসহ বিভিন্ন কারণে থ্রি-জি লাইসেন্স দেওয়ার বিষয়টি ধামাচাপা পড়ে যায়।
উল্লেখ্য থ্রিজি ওপেন হলে সারাদেশের জনগণের বিস্তর লাভ হলেও একমাত্র ওয়াইম্যাক্স ওয়ালারা ধরা খাবে। এখন বিষয়টি আরও বুঝতে এই দুইটি লিংক দেখুনঃ ১. থ্রীজি ছারা বাংলাদেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট দেয়ার আর কোন বিকল্প কি আছে ?
২. থ্রীজি নিয়ে কিছু কথা ও আমাদের ভবিষ্যৎ
আরও জানতে এই পোষ্টটি দেখুনঃ হাগলের দেশ বাংলাদেশ !
নিচের ছবির এই লোক এবং এর ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রনালয় এর জন্য দায়ি।
এরে কি করা উচিত ?
বিএনপি ১৯৯৪ সালে ১ জিবিপিএসের সাবমেরিন ক্যবলে যুক্ত না হয়ে ১০ বছরে জাতির যে ক্ষতি করেছে এই পেটমটা ১ মাসে তার ৩ গুন বেশি ক্ষতি করছে। যেমন এ প্রতি সেকেন্ডে সাবমেরিন ক্যবলে ৩০ জিবি কন্টেন্ট গত ২ বছর যাবৎ অব্যবহৃত রেখে অপচয় করছে।
প্রচারেঃ (BAB) ব্যন্ডউইথ আন্দোলন বাংলাদেশ

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



