০. শ্যমলী থেকে আইডিবির দিকে রাস্তায় ঢুকানো হচ্ছে।
১. এগুলি চিকন পাইপের মত।
২. এগুলি ঢুকাইতে রাস্তা কাটতে হয়না।
৩. রাতের বেলা কাজ হচ্ছে, দিনে কোন লেবার পাওয়া যায়নি।
৪. এইটা ভিতর দিয়া ইন্টারনেটের অপটিক ক্যবল ঢুকানো হবে।
৫. নিচের ছবির তাড় গুলো দেখছেন ঐগুলি বাংলাদেশের বর্তমান অপটিক ক্যবল ব্যডব্যন্ড, যদিও ব্রডব্যন্ডের সংঙ্গায় পৃথিবীর কোথায় এগুলি আছ নেই, একদিন উপরের রঙিন পাইপগুলোতে ঢুকবে -মামা এত চিহন কেন ?
৬. তারমানে নিচের ছবির তাড়গুলিই আমাদের নেশনাল অপটিক ক্যবল ব্যকবোন ফর গণতান্ত্রীক ব্রডব্যন্ড।
৭. পৃথিবীতে প্রথম অপটিক ক্যবল ব্রডব্যন্ড টেলিকমিউনিকেশন -৪৪এমবিপিএস- স্থাপন হয়েছিল ১৯৭২ সালে আমেরিকার ক্যালিফোনিয়া অংঙ্গরাজ্যে। সূত্র উইকিপিডিয়া
৮. পৃথিবীর প্রায় সবদেশ ৯০ এর দশকেই এই রকম ন্যাশনাল অপটিক ব্যকবোন এর কাজ শেষ করেছে। দক্ষিন কোরিয়া ২০০০ থালে ৩য় বার আপগ্রড করে। সূত্র কোরিয়া ইন্টারনেট হয়াইট পেপার।
৯. বাংলাদেশে ২০০৯ সালে জুন মাসে এই কাজ সর্বপ্রথম বার শুরু করে। তাউ আবার ফাইবার এট হোম নামক একটি মাত্র কোম্পানীকে একটি মাত্র লাইসেন্স দিয়ে সারাদেশে এই অপটিক ক্যাবল স্থাপনের জন্য। যারা আজ পর্যন্ত ৪৬ কিলোমিটার ক্যবল স্থাপন করেছে, কত এমবিপিএস কেউ জানে না। অথচ বাংলাদেশের আয়তন ১ লক্ষ ৪৪ হাজার বর্গ কিলোমিটার ঝিগজাগ করলে পঞ্চাশ গুন হবে। এই গতির কাজে সুনামগঞ্জের হাওরের মানুষকে স্বাধীনতার ব্রডব্যন্ড ইন্টারনে পেতে আগামী শতাব্দী লাগবে। উল্লেখ্য সম্প্রতী আর একটি কোম্পানী কাজ পেয়েছে।- ওয়াইম্যাক্সের কতা আর কইয়েন না।
১০. তারমানে আগামী ২০ বছরে আশা করা যায় ২৫% ঢুকানো হবে। এই তাড় আপনার ভিতরে নাই মানে ধরে নেয়া যায় আপনার ব্রডব্যন্ড নাই -
১১. আসলেই বাংলাদেশে আজও ব্রডব্যান্ড আছে এটা বলা যাবে না। আর ব্রডব্যন্ড ছাড়া যেই ইন্টারনেট তা পৃথিবীতে কখনও কামের নেট ছিল না। তাছিল ৯০ এর দশকের শুধু পর্ন দেখার স্লো ইন্টারনেট। যা পৃথিবীতে একমাত্র বাংলাদেশ করছে।
১২ . এই তাড় ঢুকতে থাকুক, কিন্তু ৩ মাসের মধ্য সারাদেশে প্রতিটি জনগণকে ওয়ারলেস ব্রডব্যন্ড দেওয়া যাবে এমন একটা টেকনোলজির লাইসেন্স আজও দিচ্ছি না। তার নাম ৩জি। যেই থ্রিজি ১১ বছর আগে শুরু হয়ে এখন পৃথিবীর প্রতিটি দেশে অনুমতি দিয়ে দিছে। একমাত্র বাংলাদেশ ছাড়া। এমনকি ভুটান, মিয়ানমার, কম্বোডিয়া, উত্তরকোরিয়া পর্যন্ত দিয়ে দিছে জনগণের এই স্বাধীনতা।
বিষয়টা একটু শুধু বোঝার জন্য নিচের ওয়ার্ল্ড থ্রিজি ম্যাপটা দেখেন।
ম্যাপটির লাল অংশের দেশ গুলো আধুনিক ব্রডব্যন্ড ক্ষমতা সম্পন্ন মোবাইল নেটওয়ার্ক। আর ফিরোজা রং এর ৩টা অংশের দেশগুলো মধ্যে এখন ২০১১ সালে একমাত্র বাংলাদেশ ১০ বছর আগের পৃথিবীর, সবচেয়ে পেছনের নেট ওয়ার্কে আটকে রেখেছে।
ভাইবেন না বাংলাদেশ যদিও ১৩ বছর আগের নেটওয়ার্কে চালাচ্ছে তারপরও লাইসেন্স নবায়নের আরও অন্তত ৭ বছর পিছিয়ে দিতে যাচ্ছি। তথ্য প্রযুক্তিতে ২০ বছর পেছনে নিয়ে যাচ্ছি। দ্রুত পরিবর্তনশীল এই যোগাযোগ ব্যবস্থায় যেখানে একমাস বা একবছরই বিশাল গ্যাপ।
আরও জানতেঃ
এক পোষ্টে বাংলাদেশের ইন্টারনেট নিয়ে সকল কিসসা কাহিনী।
ডিজিটাল বাংলাদেশ নিয়া সকল ভন্ডামী বন্ধ হউক তানা হলে এই তাড় আগামী নির্বাচনে জনগণ বর্তমান সরকারী দলের প্রধান সহ সকলের পেছনে ভরে দেবে। জয়েনঃ (BAB) ব্যন্ডউইথ আন্দোলন বাংলাদেশ
চলমান ব্লগ
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ৮:৫০