" কিউবি এর ইন্টারনেট স্পীড গতকাল থেকে দিগুন হয়ে গেছে।" আগে যারা ২৫৬ Kbps ব্যবহার করতো তারা এখন ৫১২ Kbps পাইতেছে। আর যারা ৫১২ Kbps ব্যবহার করতো তারা এখন ১ Mbps পাইতেছে। বিশ্বাস না হইলে এখনই টেস্ট করে দেখুন। সরকার ব্যান্ডউইথ এর দাম কমানোর পর কিউবি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে - যদিও এখনও এই গরীব দেশে ইন্টারনেটের দাম বিশ্বে সবচেয়ে বেশি - যদিও সমুদ্র তীরবর্তী দেশ হওয়ায় এই দেশে বন্যার পানির মত পরিমাণে, পানির দামে এদেশের জনগণকে ইন্টারনেট দিয়েও পাশ্ববর্তী ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল, ভুটান, নেপাল সহ সমগ্র অঞ্চলে ব্যন্ডউইথ রপ্তানী করাও সম্ভব ছিল।




কিউবি এর ইন্টারনেট স্পীড গতকাল থাকে দিগুন হয়ে গেছে।- সরকারেরও উচিত দেশের সবগুলো আইএসপিকে কাল থেকেই তাদের প্রতিমাসে ক্রয়কৃত ব্যান্ডউইথের সংঙ্গে সমান পরিমান ব্যন্ডউইথ ফ্রি দিয়ে দেওয়া উচিত। যেন দেশের সাধারন/গড় ইউজারের গড় গতি দ্বিগুন অর্থার ৫ কিলোবাইট থেকে ১০ কিলোবাইট পারসেকেন্ড হয়ে যায়। এতে করে, যেই নেটের মালিক বাংলাদেশেরই জনগণ এবং যা এই দেশের জনগণই গণতান্ত্রীক ভাবে ব্যবহার করবে, পাচার করতে পারবে না। উল্লেখ্য সরকার এই দ্বিগুন করলেও বাংলাদেশে নেট বিশ্বের সর্বনিৎকৃষ্টই থাকবে -যেই অবস্থা আজ থেকে ১১ বছর আগে অল্প কিছু দেশে ছিল।



কিউবি এর ইন্টারনেট স্পীড গতকাল থাকে দিগুন হয়ে গেছে। কিউবি'কে দেখে সরকারের, ডিজিটাল বাংলাদেশের হেডকোয়ার্টার ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী জনাব রাজি উদ্দিন রাজু ও বিটিআরসি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল জিয়া উদ্দিন আহাম্মদ এর শিক্ষা অর্জন করা উচিত। এই বিষয়টুকু না বুঝলে ও করলে এমন গবেট বা দুষ্টু লোকের ডিজিটাল বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন চেয়ারে বসে জাতিকে প্রতিদিন আরও অধিক পিছিয়ে দেয়ার জন্য রাষ্ট্রদ্রহীতার দায়ে বিচার হওয়া উচিত।
কারন এই যেই মুহুর্তে লিখছি তখন এই দেশের মোট ব্যন্ডউইথের তিন ভাগের দুই ভাগ প্রতিসেকেন্ডে অব্যবহৃত রাখছে/অপচয় করছে/জনগণকে ব্যবহার করতে দিচ্ছে না এবং প্রতিসেকেন্ডের এই অপচয়টি গত দুই বছরেরও অধিক সময় ধরে করে আসছে। বিশ্বাস না হলে এই সরকারী চিঠিতে দেখুন। অথবা এখানে।
.................................
(BAB) ব্যন্ডউইথ আন্দোলন বাংলাদেশ ফেইসবুক এর এই গ্রুপটিতে জয়েন করুন জানুন এবং সেয়ার করুন। আপনার সচেতনতাই মুক্তির একমাত্র পথ। গ্রুপটির লিংক অন্যান্য ব্লগে দিয়ে আন্দোলনটি জোরদার করতে সাহয্য করুন।

(BAB) ব্যন্ডউইথ আন্দোলন বাংলাদেশ জানুন ইন্টারনেট নিয়ে এদেশের মূর্খ অপদার্থ রাজনীতিবিদরা বছরের পর বছর ধরে কি করে আসছে। এদের কর্ম ফল হিসেবে বাংলাদেশ আজ তথ্যপ্রযুক্তিতে পৃথিবীর সবচেয়ে পশ্চাদ পদ জনপদ। বিশ্বের স্বর্শেষ দেশ এমনকি এই অঞ্চলের ভুটান, নেপাল, মিয়ানমার এর চেয়েও অস্বাভাবিক গ্যাপ রেখে বাংলাদেশ পিছনে।

যেমন বাংলাদেশ পৃথিবীর অন্ধকারতম দেশ -

প্রতি ১০০ জনেঃ বাংলাদেশ-
মোবাইল ইউজার -৩২.৩২
ইন্টারনেট ইউজার ০.৩৭

ভুটান -
মোবাইল ইউজার ৪৮.৬০
ইন্টারনেট ইউজার ৭.১৭

উল্লেখ্য ভুটান একটি ল্যান্ডলক দেশ। দেশটি যদি বাংলাদেশের মত বঙ্গপোসাগর তীরে হতো তাহলে নিশ্চিত ৫০% নেট ইউজার হতো।
বিষয়টি অবশ্যই খুবই সিরিয়াস। বাংলাদেশের কোথাও কোন সমস্যা আছে তানা হলে এর এই অবস্থা কেন ? এমনকি মিয়ানমার এর সামরিক সরকারও তার জনগণকে আমাদের চেয়ে বেশি স্বাধীনতা দেয়। এই দেশগুলোতেও থ্রিজি ও ইকমার্স আছে যা আজও বাংলাদেশে না থাকায় বাংলাদেশে যেকোন নাগরীকে/গড় নেট ইউজারের চেয়ে ভুটানে যেকারও বেশি যোগ্যতা/ইফিসিয়েন্সি বেশি সূত্রঃ

...................................
আরও জানতেঃ
এক পোষ্টে বাংলাদেশের ইন্টারনেট নিয়ে সকল কিসসা কাহিনী।