ডিজিটাল বাংলাদেশ বা তথ্যপ্রযুক্তি কথা বলতে গেলে ক্রমান্বয়ে যে ৩টা মৌলিক উপাদান লাগবে তার প্রথমটা হলো -ব্যন্ডউইথ, দ্বিতীয় বিষয় -ব্রডব্যন্ড অবকাঠামো, তৃতীয় বিষয় -কম্পিউটার/ডিভাইস কেনা। এই জ্ঞানটুকু অন্যান্য দেশের হাই স্কুলের ছেলেমেয়েদেরও থাকলেও আমাদের মাস্টার্স পাস প্রধানমন্ত্রী ও বিএ পাস টেলিযোগাযোগমন্ত্রীর নেই। তাই গত আড়াই বছরে প্রথম ও দ্বিতীয় বিষয়টিতে সামান্যতম অগ্রগতি হয়নি। ২০০৮ সালের ডিসেম্বর মাসে দেশ যেখানে ছিল সেখানেই দাড়িয়ে আছে অর্থাৎ ডিজিটাল বাংলাদেশ বলে তথ্যপ্রযুক্তির স্বাভাবিক গতিকেই চরম ভাবে বাঁধাগ্রস্থ করা হয়েছে। তবে তৃতীয় অর্থাৎ মাল কেনার ক্ষেত্রে বিপুল অগ্রগতী হয়েছে।
১ম উপাদান -ব্যন্ডউইথ, ২০০৬ সালে বাংলাদেশ যখন হাজার কোটি টাকা খরচ করে সিমিউই-৪ নামক সাবমেরিন ক্যবলে যুক্ত হয় তখন এর ব্যন্ডউইথের পরিমান ছিল ৭.৬ জিবিপিএস যা পরবর্তী দুই বছরে নিয়মিত দুইবার আপগ্রেড করে ২০০৮ সালের জুন মাসে এসে ৪৫.৪ জিবিপিএস হয়েছে। কিন্তু প্রতারক শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে ২০০৯ ও ২০১০ সালের নিয়মিত আপগ্রেড বাতিল করে যা করলে আজ এই মুহুর্তে অনেক কম খরচে বাংলাদেশের ৫০০ জিবিপিএস ব্যন্ডউইথ থাকত। কম খরচে বলা হচ্ছে কারন সাবমেরিন ক্যবল কানেকশনের/ইন্সটলেশনে প্রথম প্রতি জিবিপিএস এর জন্য যা খরচ হয় পরবর্তী আপগ্রেডেশনে সেই খরচ কয়েক হাজার ভাগের এক ভাগও হয় না - অর্থাৎ মাত্র কয়েক কোটি টাকায় আজ আমাদের ৫০০জিবিপিএস ব্যন্ডউইথ থাকতে পারতো। আর এক একটা বিষয় হলো সাবমেরিন ক্যবলগুলোর লাইফ গড়পরতা ১৫ থেকে ২০ বছর যেমন সিমিউই১ ১৯৭৬ সালে, সিমিউই২ ১৯৮৫ সালে, সিমিউই৩ ১৯৯৩ সালে - তার মানে হাজার কোটি টাকা খরচের যে ক্যবলে সংযুক্ত হলাম তা ব্যবহার করতে না দিয়ে সরকার রাষ্ট্রীয় সম্পদের যারপরনাই ক্ষতি করছে।
২য় উপাদান -
চলছে
এক পোষ্টে বাংলাদেশের ইন্টারনেট নিয়ে সকল কিসসা কাহিনী।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই মে, ২০১১ রাত ১২:১৪