কথাটা আমার না সজিব ওয়াজেদ জয়ের। ৬ মাসের মধ্যে বাংলাদেশে ব্যন্ডউইথের সমস্যা থাকবে না -সরকার ক্ষমতায় আসর পরপর সজিব ওয়াজেদ জয় বলেছিলেন একথা।
তিনি বলেছিলেন ২ বছরের মধ্যে দেশের মোট ব্যন্ডউথ হবে ৫০০ জিবিপিএস। এবং ২০১৪ সালের মধ্যে সিমিউই-৪ এ চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশের টেরাবিট ব্যন্ডউইথ থাকবো।
কথা কি আর কর্ম কি দেখুনঃ ২০০৬ সালে বাংলাদেশ যখন হাজার কোটি টাকা খরচ করে সিমিউই-৪ নামক সাবমেরিন ক্যবলে যুক্ত হয় তখন এর ব্যন্ডউইথের পরিমান ছিল ৭.৬ জিবিপিএস যা পরবর্তী দুই বছরে নিয়মিত দুইবার আপগ্রেড করে ২০০৮ সালের জুন মাসে এসে ৪৫.৪ জিবিপিএস হয়েছে। কিন্তু শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে ২০০৯ ও ২০১০ সালের নিয়মিত আপগ্রেড বাতিল করে যা করলে আজ এই মুহুর্তে অনেক কম খরচে বাংলাদেশের ৫০০ জিবিপিএস ব্যন্ডউইথ থাকত।
কম খরচে বলা হচ্ছে কারন সাবমেরিন ক্যবল কানেকশনের/ইন্সটলেশনে প্রথম প্রতি জিবিপিএস এর জন্য যা খরচ হয় পরবর্তী আপগ্রেডেশনে সেই খরচ কয়েক হাজার ভাগের এক ভাগও হয় না - অর্থাৎ মাত্র কয়েক কোটি টাকায় আজ আমাদের ৫০০জিবিপিএস ব্যন্ডউইথ থাকতে পারতো। অথচ আজও আমাদের মোট ব্যন্ডউইথ ৪৫.৪জিবিপিএস এবং জনগণকে এরও তিন ভাগের এক ভাগ অর্থাৎ ১৫জিবিপিএস ব্যবহার করতে দেয়া হচ্ছে। সূত্র বা এখানে ।
আর এক একটা বিষয় হলো সাবমেরিন ক্যবলগুলোর লাইফ গড়পরতা ১৫ থেকে ২০ বছর যেমন সিমিউই১ ১৯৭৬ সালে, সিমিউই২ ১৯৮৫ সালে, সিমিউই৩ ১৯৯৩ সালে - তার মানে হাজার কোটি টাকা খরচের যে ক্যবলে সংযুক্ত হলাম তা ব্যবহার করতে না দিয়ে সরকার রাষ্ট্রীয় সম্পদের যারপরনাই ক্ষতি করছে।
এক পোষ্টে বাংলাদেশের ইন্টারনেট নিয়ে সকল কিসসা কাহিনী।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই মে, ২০১১ বিকাল ৩:৫০