বর্তমানে দেশের ৪/৫ লাখ নেট ইউজার ব্যবহার করছে ১৫ জিবিপিএস ব্যন্ডউইথ। প্রায় তিন বছর যাবৎ অব্যবহৃত আছে ৩০ জিবিপিএস।
২০০৬ সালের আগে পর্যন্ত বাংলাদেশের ব্যন্ডউইথ যেটুকু ছিল তা কয়েকটি ভিস্যাটে সর্বোচ্চ ৫০০ এমবিপিএস হবে হয়তো। ২০০৬ সালের মে মাসে বাংলাদেশ প্রথম সংযুক্ত হয় সাবমেরিন ক্যবলে, সিমিউই-৪ নামক ২০০২ সালে চালু হওয়া তাড়ে। শুরুতে এই সংযোগে বাংলাদেশের ব্যন্ডউইথ ছিল ৭.৫ জিবিপিএস। শর্ত ছিল প্রতি বছর ডিসেম্বরে আপগ্রেড করে প্রায় ২০ বছর স্থায়ী এই ক্যবলে ২০১২ সালে ১ টেরাবিট পার সেকেন্ড ব্যন্ডউইথ যোগ হবে এরপর কমতে কমতে ২০১৮ সালে সিমিউই-৪ পরিত্যক্ত হবে এবং ২০১৬ নাগাদ সিমিউই-৫ চালু হয়ে যাবে। আবার নতুন সংযোগ নিতে হবে।
এখন দেখা যাক জনগণের টাকায় কেনা এই সংযোগে বর্তমান সরকার কি রকম দায়িত্ব পালন করছে। ২০০৬ সালের ডিসেম্বরে প্রথম সংযোগের তুলনায় অতি নগণ্য খরচে প্রথম আপগ্রেড করে ৭.৫ জিবিপিএস থেকে বৃদ্ধি পেয়ে হয় ২৪.৬ জিবিপিএস। ২০০৮ সালে কেয়ারটেকার সরকার ২য় আপগ্রেড করে বাংলাদেশের ব্যন্ডউইথ ৪৫.৪ জিবিপিএস এ উন্নিত করে এবং এখানেই শেষ।
এরপর ২০০৯ সালের ডিসেম্বরে ৩য় আপগ্রেড করে হওয়ার কথাছিল ১৫০.৫ জিবিপিএস যা বাতিল করা হয়। ২০১০ সালে ৪র্থ আপগ্রেড করে অনেক অনেক কম খরচে হওয়ার কথাছিল ৩০০ জিবিপিএস। তাও বাতিল এবং এই ক্ষতি আর পুষিয়ে নেয়া সম্ভব না। এখন যদি আপগ্রেড করতে চাই তো ৩য় আপগ্রেড করতে হবে।
শুধু সাবমেরিন ক্যবলেই বর্তমান ডিজিটাল বাংলাদেশের যে পরিমান ক্ষতি করেছে ও করবে তা ১৯৯৩ সালে সাবমেরিন ক্যবলে বিএনপি সরকারের সংযোগ না নেয়ার তুলনায় কয়েকশ গুন বেশি।
এক পোষ্টে বাংলাদেশের ইন্টারনেট নিয়ে সকল কিসসা কাহিনী।