বর্তমান মিডিয়া ও তথ্যযোগাযোগের যুগে গণতন্ত্রের জন্য সংসদে গিয়েই কথা বলা খুবই গৌন ও কেবল পোষাকি বিষয়। ভিন্নমত অজুহাত মাত্র।
আজ থেকে অনেক অনেক বছর আগে কমপক্ষে বিশ ত্রিশ বছরতো হবেই যখন বাংলাদেশের মত অন্ধকার কিছু দেশে জনগণের সাথে, নাগরিকের সাথে দেশের, সরকারের, প্রশাসনের কোন যোগাযোগ ছিলা না, কানক্টিভিটি ছিল না তখন এমপিরা সাহেবরা রাজধানীতে গিয়ে সংসদে বসে কয়েক জনে মিলে গোপনে রাজনীতি নীতি, আইন, দেশ নিয়ে মতামত দিত, দেশ চালাতো আর বাড়ি ফিয়ে গিয়ে জনগণকে বলতেন দেশে হেন হইতেছে তেন হইতেছে আমি হাতি মেরে এসেছি ঘোড়া মেরে এসেছি ইত্যাদী ইত্যাদী। আর জনগণ কোথাও রেডিও বা টিভিতে বা খবরের কাগজে নেতার কোন উক্তি শুনে বলতো বাহ বাহ আমাদের নেতা কত জানে ! কত বড় জানোয়ার।
অথচ আজ ইন্টারনেট, থ্রিজি, ফেইসবুক, মোবাইল টিভির যুগে নেতা যদি ঘরে বসেও শব্দ করে একটা বায়ুও নির্গত করেন তা সারা দেশ তথা সারা দুনিয়া লাইভ শুনা ও দেখার ব্যবস্থা আছে। আর এরা এখনও সংসদ থেকে বের হয় না। বলে কথা শোনা যাবে কেবল স্পিকারের মাইক খোলা থাকলে।
যেমন - আজ যে খালেদা জিয়া যে এক হোটেলে বিরোধী দলীয় বাজেট ঘোষনা করলো তা কি শেখ হাসিনা ও অর্থমন্ত্রী শুনতে পান নি ? বাথ রুমে ছিলেন নাকি ? সারাদেশতো শুনলো -সংসদ টিভির মত সেন্সরর্ড না, ফুল। এই কথা সংসদে গিয়া বললে আলু কি পটেটো হইয়া যাইবো নাকি ? গণতন্ত্র কি সংসদতন্ত্র হইয়া যাইবো নাকি ?
উল্লেখ্য আগামীকাল দেশের ৪০তম বাজেট -ডটবল ডিজিট প্রবৃদ্ধি দেশের ডবল ডিজিট বয়সে হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। আরও ৫৯ বছর ৬ শতাংশে ধরে রেখেই কাটবে।
মতলববাজ রাজনীতিবিদের মতলববাজি আর কতকাল যে জাতিকে দেখতে হবে ? ১৯৯০ সালের পর থেকে এই দেশে গণতন্ত্রের নামে দেশে ইজারাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এক একজন ৫ বছরের জন্য দেশ ইজারা নিচ্ছে, নিয়ে হত্যা, লুটপাট, দখল, অনিয়ম, অন্যায়, অত্যাচার, নির্যাতন, দারিদ্রের তীর্থভূমিতে পরিনত করেছে দেশকে। দেশটা কে এরা জঙ্গল রাজ্যে পরিনত করেছে।পুরো দেশটা ধীরে ধীরে একটা বিশাল বস্তিতে পরিনত হচ্ছে। উন্নয়ন, গণতন্ত্র, জনগণের স্বাধীনতা এখানে স্থবীর হয়ে গেছে।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই জুন, ২০১১ রাত ১১:১৪