আজ কম্বোডিয়ার নবনিযুক্ত রাষ্ট্র দূত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের কাছে তার ক্রিডেনশিয়াল দিতে গিয়ে বাংলাদেশ থেকে কম্বোডিয়ায় স্কুল শিক্ষক নেয়ার আশা ব্যক্ত করেন।
টেলিভিশন নিউজে বিষয়টি আসায় কম্বোডিয়া আমাদের দৃষ্টি আকর্ষন করে।তা আপনাদের জানতে ইচ্ছা করতেই পারে ঘোষনা দেয়া ডিজিটাল বাংলাদেশের সাথে কম্বোডিয়ার তথ্য প্রযুক্তির অগ্রগতি ও জনগণের ইন্টারনেট স্বাধীনতার তুলনামূলক চিত্রটি কেমন ? তাই আমার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস।
তার আগে কম্বোডিয়া সম্পর্কে একটু জেনে নেই। এশিয়ার দুইটি অন্ধকার দেশ মিয়ানমার ও কম্বোডিয়ার মধ্যে কম্বোডিয়া অন্যতম। এর মানবাধিকার রিপোর্ট থেকে শুরু করে বাক স্বাধীনতার অবস্থা খারাপ। সাংবিধানিক রাজতান্ত্রীক দেশটিতে মুলত একটি মাত্র রাজনৈতিক দল আছে এবং দীর্ঘদিন যাবৎ ক্ষমতায় আছে।নামে মাত্র দু একটি বিরোধী দল থাকলেও হাতে গোনা কয়েকজন সদস্য নিয়ে রাষ্ট্রে তাদের কোন ভূমিকা নেই।
যাক কম্বোডিয়ার ডিজিটাল বিষয়ে প্রধান কয়টি ইন্ডিকেটরের দিকে দৃষ্টি দেয়া যাক। কম্বডিয়ার ইন্টারনেট ইউজার ০.৭%, দেশটিতে থার্ড জেনারেশন মোবাইল নেটওয়ার্ক অনুমোদন দেয়া হয় ২০০৯ সালে। কম্বোডিয়ায় ইকমার্স চালু হয়েছে ২০০৮ সালে।কম্বোডিয়ায় প্রতি ইউজার ও ব্যন্ডউইথ রেশিও ১৫ এমবিপিএস (ট্রেইডিংইকোনোমিক্সডটকম)
এবার বাংলাদেশে তথ্য প্রযুক্তির প্রধান ইন্ডিকেটরের দিকে দেখা যাক। বাংলাদেশের ইন্টারনেট ইউজার ০.৪% (সূত্র ইন্টারনেটওয়ার্ল্ডস্ট্যাটডটকম), বাংলাদেশে ২০১১ সালেও থার্ড জেনারেশন মোবাইল নেটওয়ার্ক অনুমোদন দেয়া হয়নি ২০১৫ সালের আগে সম্ভাবনা নেই।বাংলাদেশে ২০১২ সাল নাগাদ ইকমার্স চালু হওয়ার ক্ষীন সম্ভাবনা আছে (সূত্র অর্থমন্ত্রীর বাজেট ভাষন), বাংলাদেশে প্রতি ইউজার ও ব্যন্ডউইথ রেশিও ০.১৪ কিলোবিট (সূত্র অর্থমন্ত্রীর বাজেট ভাষন)
আছে।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই জুন, ২০১১ রাত ১২:২৭