somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

“বেসরকারি মালিকানায় বেতারকেন্দ্র স্থাপন ও পরিচালনা নীতিমালা-২০১০” একটি সমালোচনা।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৩৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বেতার হচ্ছে গণতন্ত্রের প্রতীক প্রায় শত বছরের পুড়ানো সহজতম গণপ্রচার মাধ্যম।এর সম্পর্কে আমরা একেবারেই অসচেতন হলেও দক্ষিন এশিয়া ও আফ্রিকা ব্যতিত বাকি বিশ্বের প্রায় সবদেশে গত পঞ্চাশ বছরে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, দারিদ্র্য বিমোচন, সামাজিক সুরক্ষা, প্রশিক্ষণ, নিরাপত্তা, গণসচেতনতা, স্থানীয় বিনোদনের পরিসর, সাংস্কৃতিক বিকাশ ও মূল্যবোধ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে নিরব বিপ্লব এনে দিয়েছে।বেতার নিয়ে বাংলাদেশ ভারত সহ অল্প কিছু দেশের রাজনীতি দেশগুলোর জনগণকে বিশ্ব থেকেই পিছিয়ে রাখেনি বরং বেতার তরংঙ্গের উপর জনগনের অধিকারকে অস্বিকার করেছে।বেতার তরংঙ্গ ব্যবহারের যে আইনগুলো উন্নত দেশের সরকার সত্তুরের দশক থেকে আশির দশকে করে ফেলেছে সেগুলো ২০১১ সালে করতে গিয়েও জনগণকে স্বাধীনতা বঞ্চিত রাখার প্রবল মানসিকতার প্রকাশ ঘটেছে “বেসরকারি মালিকানায় বেতারকেন্দ্র স্থাপন ও পরিচালনা নীতিমালা-২০১০”এ।আইনটি গেজেট আকারে প্রকাশ হয়েছে ফেব্রুয়ারি ২০১০এ।প্রায় দুই বছর চলে গেলেও আইনটির বাস্তবায়নকারী কতৃপক্ষ, তথ্য ও সাংস্কৃতি বিষক মন্ত্রনালয় আজও বিষয়টিই কাউকে জানায়ওনি, প্রচারতো দূরে থাক।অথচ আইনটির শুরুতেই বলা হয়েছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয় আইন জারি হওয়ার সংঙ্গে সংঙ্গে ব্যপক প্রচারনা সেমিনার সিম্পোজিয়াম করে আগ্রহী উদ্দোক্তাদের নিকট আবেদন আহবান করবে।পুরো আইনটি নিয়ে আলোচনার আগে আমরা যদি শিরোনামটির দিক তাকাই তাহলে দেখবো শিরোনামটিই সঠিক হয়নি।“বেসরকারি মালিকানায় বেতারকেন্দ্র স্থাপন ও পরিচালনা নীতিমালা-২০১০” এই নামে কিছুই মিন করে না।যারা খসড়া তৈরীতে কাজ করেছে তারা কি করছে নিজেরাই বোঝেনি।আর যেখানে নামটিই প্রনেতাদের উপলব্দিতে আসেনি তো তারা ভেতরে কিরকম হজবরল কপি পেস্ট করেছে , আন্দাজও করতে পারবেন না। তাই আগে শিরোনামটি ঠিক করি।কিছুই না জাস্ট এই নামটিই একটু যোগ বিয়োগ করে উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যটা অর্থপূর্ন করে ফুটিয়ে তোলা মাত্র।যেমন "স্থানীয় বেসরকারী এফএম বেতারকেন্দ্র স্থাপন ও পরিচালনা নীতিমালা -২০১০" সংক্ষেপে LBfm.bd, ঠিক আছে ডটটুক বাদিয়েই বলেন।

এফএম রেডিও স্টেশন কি ? হালে আমরা যে রেডিও ফুর্তি, এফএম১০০, ৮৮.৪ ইত্যাদী রেডিও শুনি সেগুলোই এফএম রেডিও স্টেশন।ঢাকার বাতাসে এরকম ১১টি স্টেশন আছে, সুনামগঞ্জের বাতাসে একটিও নেই।আমাদের মাথার উপর যে আকাশ তাতে ৭০.০ থেকে ১৩০.০ পর্যন্ত মোট ৬০ টি এফএম চ্যানেল পৃথিবীর যেকোন লোকেশনেই চালানো যাবে সে নিউইর্য়ক হউক আর খইরচার চরই হোক। এর মধ্যে ৮০.০ থেকে ১১০.০ পর্যন্ত ফ্রিকোয়েন্সিতে নেয়েস ফ্রি এমপিথ্রি মানের সাউন্ড ব্রডকাস্ট করা যায়।মাত্র ৫ থেকে ১০ কিলোওয়াটের একটি এফএম রেডিও ট্রান্সমিটার দিয়ে ৩০ থেকে ৫০ কিলোমিটার ব্যসার্ধের এলাকায় সম্প্রচার করা যায়।কাজটি করতে খরচও খুবই অল্প।৫ কিলোওয়াটের একটি সার্কিট ১০ হাজার টাকায় বানিয়ে ফেলতে পারবে আমাদের টেকনিক্যাল কলেজের ছাত্রছাত্রীরাও।এর বিদ্যুৎ খরচও অল্প এমনকি ১২ ভোল্টের একটি ব্যাটারি দিয়েও চালানো যাবে।মাঝে মাঝে আমরা খবরের কাগজে দেখি জংঙ্গীরা গোয়েন্দাদের হাতে ধরা পরেছে রেডিও যন্ত্রপাতি সহ। সেগুলো আসলে এই এফএম রেডিও ট্রান্সমিটার।যোগাযোগের জন্য খুব সস্তার জিনিষ।প্রযুক্তিটাও সাধারন মানুষের কাছে চলে গেছে।আফগানীস্তানে তালেবান নেতা মোল্লা ওমরকে তালেবানরা এফএম ওমর বলে ডাকতো কারন সে সাইকেলে করে এফএম ট্রান্সমিট করে বেড়াতো।আর বানিজ্যিক ভাবে বাংলাদেশে কেউ মাত্র দশ থেকে পনের লক্ষ টাকাও ইনভেস্ট করে কোন জেলা শহরে এমন একটি এফএম রেডিও স্টেশন স্থাপন করে আশেপাশের ৫ থেকে ১০ লাখ শ্রোতার মার্কেটে ব্রডকাস্ট করে ফেলতে পারবে।তার আগে একটা আইন লাগবে ! বাংলাদেশ ২০০৮ সালে ওয়ার্ল্ডব্যাংকের চাপে কমিউনিটি রেডিও নীতিমালা নামে একটি আইন করেছিল। এ সরকার ১৪টি লাইসেন্সও দিয়েছে।অবশ্য আইন ও সরকারের ইচ্ছা দুর্বল থাকায় আজও একটিও অপারেশনে যেতে পারেনি।একই ভাবে ২০১০ সালে “বেসরকারি মালিকানায় বেতারকেন্দ্র স্থাপন ও পরিচালনা নীতিমালা-২০১০” নামে আর একটি নীতিমালা করা হয়েছে যার ফলাফলও এই হবে।আইনের আলোচনায় যাওয়ার আগে চলুন রেডিওর আবিষ্কার ও বিবর্তনের ইতিহাসটা একটু দেখে নেই।

১৮০০ শতকের শেষ ও ১৯০০ শতকের গোড়ার দশকগুলো ছিল রেডিও আবিষ্কারের দশক।রেডিও তরঙ্গ আবিষ্কার একদিকে যেমন টেলিযোগাযোগ ও আন্তমহাদেশিও টেলিগ্রাফ, টেলিফোনি সিস্টেমে এক বিপ্লব এনে দিয়েছিল, যেমন আন্তমহাদেশিয় টেলিযোগাযোগে সাবমেরিন ক্যবলের বিকল্প অপশন দিয়েছিল তেমনি পাবলিক রেডিও ব্রডকাস্টিং পৃথিবীতে মিডিয়ায় ও প্রচারনায় নতুন মাত্রা যোগ করেছিল।এর আগে হয়তো বড় মাইক দিয়ে লাইভ ভয়েস, অনুষ্ঠান, নিউজ সর্বোচ্চ আসেপাশে কয়েক শত মিটারে কয়েকশ মানুষকে শোনানো যেত।অথচ রেডিও আবিষ্কারের ফলে এএম, মিডিয়াম ওয়েভ, সর্ট ওয়েভ ইত্যাদী ফ্রিকোয়েন্সিতে দেশজুরে তথা পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত পর্যন্ত বেতার সম্প্রচার করা যায় যা সামান্য একটি বেতার গ্রাহক যন্ত্র দিয়ে শোনা যায়।পৃথিবীতে প্রথম বানিজ্যিক রেডিও স্টেশনের লাইসেন্স দিয়েছিল নেদারল্যান্ড ১৯১৯ সালে।বিবিসি, ভয়েস অব আমেরিকার মত রেডিও স্টেশন গুলোর সাথে আমরা সবাই পরিচিত।উল্লেখ্য এ ধরনের রেডিও ব্রডকাস্টিং খুবই ব্যায় বহুল ও প্রচুর বিদ্যৎ খরচ হয়।কিন্ত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মিত্র বাহিনীর সোলজারদের নিজেদের মধ্যে অল্প দূরত্বে যোগাযোগের উদ্দেশ্য সামনে রেখে এফএম ট্রান্সমিটার আবিষ্কৃত হয়।সেই তরঙ্গই যুদ্ধপরবর্তী পৃথিবিতে সামাজিক যোগাযোগ তথা মিডিয়ার জগতে নিরব বিপ্লবের বীজ বপন করেছিল।এই এফএম ৭০ এর দশকে ইউরোপ, আমেরিকার ও স্কেন্ডেনেভিয়ান গণতান্ত্রিক দেশগুলোর রাজধানী থেকে প্রত্যান্ত অঞ্চলের জনগোষ্ঠির হাতের কাছের স্থানীয় সামাজিক মিডিয়া হিসেবে ব্যবহার ব্যপক থেকে ব্যপকওতর হয়ে উঠে।সড়কের ট্রাফিক নিউজ থেকে শুরু করে স্থানীয় ভাবে সম্প্রচারিত অন্যতম বিনোদনের মাধ্যম হিসাবে নিরবে কাজ করতে থাকে কমিউনিটি রেডিও, কেপটিভ রেডিও, এ্যামেচার রেডিও, এফএম রেডিও ইত্যাদী নামে ও নীতিমালায়।যেমন এই মুহুর্তে আমাদের পাশের দেশ থাইল্যান্ড এরকম লোকাল এফএম রেডিও ৫০০০ টির উপরে বাজছে।অর্থাৎ থাইল্যান্ডের যেকোন লোকেশনে দাড়ালে আপনি আপনার হাতের মোবাইল সেটে ৫ থেকে ১০টি এফএম চ্যানেল শুনতে পাবেন যা আশেপাশের কোথাও বাজানো হচ্ছে।আর উল্লেখ্য থাইল্যান্ডে এই এফএম স্টেশনগুলো গত ১৫ বছরে বিনা অনুমতিতে গড়ে উঠেছে এবং ২০০৯ সালে সরকার ঘোষনা দিয়ে ৪৭০০টি লাইসেন্স দিয়ে দেয়।

আইনের ভূমিকাতে বেশ ভালো কিছু কথা আছে এবং কথাগুলো খুবই সঠিক।বলা হয়েছে, বেতার একটি গুরুত্বপর্ণ সহজলভ্য গণযোগাযোগ মাধ্যম।খুব সহজেই এই মাধ্যমের সাহায্যে স্থানীয় পর্যায়ে দেশের প্রান্তিক জনসাধারনকে তাদের হাতের কাছে জরুরী খবর, উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড সংবাদ এবং বিনোদন পৌছে দেয়া সম্ভব।বেতার সম্প্রচারের মাধ্যমে দেশের কল্যাণমুলক কর্মকান্ডের পক্ষে জনমত তৈরী, শিক্ষার প্রসার ঘটানো, কৃষি, শিল্প, সংস্কতি, ইতিহাস ঐতিহ্য সম্পর্কিত তথ্য জনসাধারণের কাছে পৌছে দেয়া অতি সহজসাধ্য ও স্বল্পতম সম্পদ ব্যবহার করে করা যাবে।তাই দেশে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, দারিদ্র্য বিমোচন, সামাজিক সরক্ষা, প্রশিক্ষণ, গণসচেতনতা ও বিনোদনের পরিসর বৃদ্ধি সাংস্কৃতিক বিকাশ ও মূল্যবোধ গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রয়োজনবোধ থেকে বেসরকারি মালিকানায় বেতারকেন্দ্র স্থাপনের লক্ষ্যে সরকার এই আইনটি করছে।এর পরে ভেতরের ধারাগুলোতে যেয়ে সব ভুলে গেছে।প্রকৃত পক্ষে আইনটির পরিসর, উপযোগিতা ও লক্ষ্য সম্পর্কে খসড়া প্রস্তুতকারীরা খুবই নগন্য ধারনা রাখে অথবা জনগণের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না।সম্ভবত আইনটি ভারত ও আরও দুএকটি দেশের আইনের কাট কপি পেস্ট ছিল।যেখানে দেশের অর্ধেকের বেশি মানুষের হাতে মোবাইল আছে।যেই সেটে এফএম এ্যাপলিকেশনে অন্তত দশ চ্যানেলের এফএম রেডিও সেট অব্যবহৃত পরে আছে।সেই দেশে আজও একটি গণবান্ধব আইন না থাকার কারনে দেশে এফএম স্টেশন গড়ে উঠতে পারছে না।একটি টেকসই এফএম স্ট্যাশনের আদর্শ শ্রোতা সংখ্যা কত হওয়া উচিত ? দুই লক্ষ ! তাহলে বাংলাদেশে এই মুহুর্তে অন্তত ১৫০০ লোকাল এফএম রেডিও চালু হওয়ার সুজোগ সৃষ্টি হওয়া উচিত।ধুরুন আপনি দেশের যে কোন এক লোকেশনে আছেন, সেহউক কোন শহর বা প্রত্যান্ত গ্রাম, সেখানে যদি একটা/একাধিক এফএম লোকাল রেডিও থাকতো, ধরলাম এফএম ১০৫.৬ যা আপনার চারপাশের ঘটনা সেখানকার মানুষে ও সমাজের নানা কর্মকান্ড লাইভ শোনাচ্ছে যা আপনার মোবাইলে বা বিশটাকা দামের একটা রেডিওতে আপনি শুনতে পাচ্ছেন।খুব সুন্দর হতো তাইনা ? আর আজ ইন্টারনেটের যুগে কোন কোন স্টেশন হয়তো এখানে ছোট্ট একটা কমিউনিটিকে সস্তার এফএম এ বিনাপয়সায় সংযুক্ত করে সুদূর আমেরিকা, হন্ডুরাস সিসিলিতে কয়েক লক্ষ রিলেটেড নেট ইউজারকে ইন্টারনেট রেডিওতে ধরে ফেলছে।সেখানে ইকোনোমিক এ্যাটিভিটিও হচ্ছে।আবার আমাদের মত গরীব দেশে যেখানে ৭০ ভাগ মানুষের দৈনন্দিন জীবনের কর্মকান্ডে আগামী ২০ বছরেও ব্যক্তিগত/পারিবারিক কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ইন্টারনেট ইত্যাদীর দরকার ও সামর্থ কোনটাই নেই তারা এই লোকাল রেডিও মাধ্যমে একটা ল্যাপটপ/পিসি'কেই পুরো গ্রাম/ইউনিয়ন/উপজেলা রেডিও ব্রাউজ করতে পারবে বিনা পয়সায় এবং তাদের কথ্য ভাষায়, মহাতথ্য ভান্ডারের সাথে সংযুক্ত হতে পারবে।অথচ আইনটির ১০ (চ) ধারায় বলা হচ্ছে সরকারের পর্বানুমতি ব্যতিত কোন বেসরকারি বেতারকেন্দ্র ইন্টারনেটের মাধ্যমে কোন ধরনের সম্প্রচার কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে না।

১ এর (খ)'তে বলছে জারির তারিখ থেকে এই নীতিমালা কার্যকর হয়েছে।এবং ধারা ২তে বলছে তথ্য মন্ত্রনালয় অনতিবিলম্বে বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া এবং সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটে ব্যপক বিজ্ঞপ্তি প্রচার করে আগ্রহীদের নিকট থেকে দরখাস্ত আহবান করবে।অথচ আইনটির গেজেট প্রকাশের পর দেড় বছর চলে গেলেও আইনটি সম্পর্কে আমি সহ আর ৫০ জন নাগরীক জানে কিনা আমার সন্দেহ আছে।ভালো লেগেছে ৩ এর (খ) ধারাটি, এটি বলছে, বেতারকেন্দ্রের মালিকগণ বেতার গ্রাহকযন্ত্র ব্যবহারের জন্য কোন লাইসেন্স ফি ধার্য অথবা আদায় করতে পারবে না।এর মানে কোন নির্দিষ্ট রেডিও শোনার জন্য গ্রাহককে কোন মূল্য পরিশোধ করতে হবে না।তাহলে নীতিনির্ধারকরা ভালোই বোঝে এবং ইচ্ছাকৃত ভাবে জনগণকে স্বাধীনতা দিতে চায় না। ৪ (ক) থেকে (ঞ) উপধারা পর্যন্ত বলা হয়েছে তথ্য মন্ত্রণালয়ের লাইসেন্স ছারা কোন প্রতিষ্ঠান বেসরকারি বেতারকেন্দ্র স্থাপন কিংবা পরিচালনা করতে পারবে না; লাইসেন্স প্রদানের পূর্বে সরকার কতৃক প্রাথমিক ভাবে বিবেচিত আবেদনসমূহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ডিজিএফআই, এনএসআই, সংশ্লিষ্ট থানা এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিরাপত্তা ছাড়পত্র অর্জন করতে হবে অন্যথায় লাইসেন্স প্রদানের জন্য কোন আবেদন যোগ্য বলে বিবেচিত হবে না; লাইসেন্স ফি বিধান এমন রাখা হয়েছে যেন এই মাধ্যম কখনও প্রান্তক মানুষের নাগালের মধ্যে যেতে না পারে।কালো টাকার মালিক ছারা কেউ যেন আবেদনই করতে না পারে তাই আবেদনের সাথে সচিব, তথ্য মন্ত্রণালয় বরাবরে ১০,০০,০০০/-(দশ লক্ষ) টাকার ব্যাংক ড্রাফট/পে-অর্ডার আর্নেস্টমানি হিসাবে প্রদান করতে হবে বিধান আছে।ধারা ৭ এ বলছে লাইসেন্স পেলে এই ১০,০০,০০০/-(দশ লক্ষ) টাকা জামানত হিসেবে গণ্য হবে।লাইসেন্স ফি হিসেবে এককালীন ৫ লক্ষ টাকা তথ্য মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কোডে ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে জমা প্রদান করে মূল কপি মন্ত্রণালয়ে দাখিল করতে হবে।তারপরও আছে বিটিআরসি’র নিয়মানযায়ী বেতার স্টেশনের চার্জ/ফি পরিশোধ পূর্বক রেডিও স্টেশন ইকুইপমেন্ট আমদানীর অনুমোদন ও ইকুইপমেন্ট লাইসেন্স গ্রহণ করতে হবে। নির্ধারীত ফি প্রদান করে ফ্রিকোয়েন্সী বরাদ্দ নিতে হবে। ৬ (ক)'তে লাইসেন্স নবায়নের জন্য প্রতি অর্থ বছরে সংশ্লিষ্ট খাতে ১ লক্ষ টাকা ফি প্রদান করতে হবে।৬ (খ)'তে বিটিআরসি’র নিয়মানযায়ী বেতার স্টেশনের বাৎসরিক চার্জ/ফি পরিশোধ পূর্বক রেডিও স্টেশন ও ইকইপমেন্ট লাইসেন্স নবায়ন করতে হবে।১৬ ধারা বলছে লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠান কতৃক বেসরকারি বেতারকেন্দ্রে প্রচারিত বিজ্ঞাপন বাবদ প্রাপ্ত মোট অর্থের শতকরা ২ ভাগ সরকারি কোষাগারের সংশ্লিষ্ট খাতে চালানের মাধ্যমে প্রতি অর্থ বছর শেষ হওয়ার ৪ (চার) মাসের মধ্যে জমা প্রদান করতে হবে। ৯ (ঘ) ধারা বলছে সরকারের যে কোন নির্দেশ প্রতিপালনে ব্যর্থ হলে লাইসেন্স স্থগিতকরণ ও বাতিলকরা হবে।

ধারা ১২তে সম্প্রপ্রচার যন্ত্রপাতি টেকনিক্যাল কথাবার্তা আছে, যেখানে বলছে কারিগরি উপ-কমিটি এবং “জাতীয় রেগুলেটরি কমিটি”র ছারপত্রের ভিত্তিতে কোন স্টেশন ১টি সর্বোচ্চ ১০(দশ) কিলোওয়াট শক্তিসম্পন্ন ট্রান্সমিটার ও সর্বোচ্চ ৬ ডিবি গেইনের টাওয়ার ব্যবহার করতে পারবে।উল্লেখ্য যে ১০কিলোওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন ট্রান্সমিটার দিয়ে প্রায় ৫০ কিলোমিটার রেডিয়াসে বেতার তরঙ্গ ট্রান্সমিট করা যাবে।এই যথেষ্ট এবং এই যন্ত্র দিয়েই সর্বোচ্ছ দুইটি বা তিনটি ফ্রিকোয়েন্সি এলোকেট করে প্রতিটি উপজেলায় একটি করে ৫০০ রেডিও চালানো যাবে। ধারা ১৩'তে সম্প্রচার সংক্রান্ত শর্তাবলির মধ্যে আছে তথ্য মন্ত্রণালয় বা সরকারের কোন এজেন্সি কর্তক চাহিবা মাত্র লাইসেন্স গ্রহীতাকে তার ট্রান্সমিটারে প্রচারিত যেকোন অনুষ্ঠানের বিষয়বস্তু অবশ্যই সরবরাহ করতে হবে।বেসরকারি মালিকানাধীন সংস্থা নিজস্ব ব্যবস্থাধীন প্রচার সময় (টাইম স্লট) বিক্রয় করে বা বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করতে পারবে।তবে কোন বিদেশী সম্প্রচার সংস্থার নিকট প্রচার সময় বিক্রয় করা যাবে না। ১৪ ধারায় সংবাদ/অনুষ্ঠানাদি সম্প্রচারের শর্তাবলিতে আছে বেসরকারি মালিকানায় বেতারকেন্দ্র দেশী-বিদেশী ধারণকৃত শুধুমাত্র বিনোদনমুলক ও প্রামাণ্য অনষ্ঠান প্রচার করতে পারবে যা সরকার কতৃক অনুমোদিত বেতার সেন্সর নীতিমালা সম্পর্ণভাবে অনুসুত হতে হবে।কোন অবস্থাতেই বিদেশী বেতারের সংবাদ, সংবাদ পর্যালোচনা, টক-শো; সলোচনা, সম্পাদকীয় এবং সমসাময়িক ঘটনাবলি নিয়ে অনুষ্ঠান ও মন্তব্য সরাসরি সম্প্রচার বা ধারণকৃত অনুষ্ঠান প্রচার করতে পারবে না।প্রতিটি কেন্দ্রকে বাংলাদেশ বেতার কর্তক প্রতিদিন প্রচারিত নির্ধারিত দুটি জাতীয় সংবাদ বিনামুল্যে প্রচার করতে হবে।আদালত অবমাননার কোনো বিষয় রয়েছে এমন কোনো সংবাদ/অনুষ্ঠান করা যাবে না।১৭ ধারায় বলছে সম্প্রসারণ সংক্রান্ত নিয়মাবলি “মনিটরিং কমিটি” কর্তক সম্প্রচার কার্যক্রমের সন্তোষজনক প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠানগুলি ১ বছর পরে অতিরিক্ত কেন্দ্র স্থাপনের জন্য আবেদন করতে পারবে।এবং কোন প্রতিষ্ঠান অতিরিক্ত হিসাবে ৯টির বেশী কেন্দ্র স্থাপন করতে পারবে না।

আইনটিকে সাধারন মানুষ তথা জেলা উপজেলা লেভেলের উদ্দোক্তাদের ধরা ছোয়ার বাইরে রাখার জন্য আবেদন বাছাই লাইসেন্স প্রদান থেকে শুরু করে মনিটরিং, তদারকি, সিদ্ধান্ত ও সুপারিশ গ্রহন করার জন্য ১৮ থেকে ২০ ধারার তিনটি শক্তিশালী উচ্চপদস্থ কমিটি গঠন করা হয়েছে।সেখানে সাধারন মানুষ তদবির করবে কি, যাওয়ার সাহসই পাবে না।যেখানে ক্ষমতা বিকেন্দ্রিকরন করে লাইসেন্স প্রদান ও মনিটরিং এর ক্ষমতা জেলা পর্যায়ে দিয়ে দেওয়া উচিত ছিল।কমিটিগুলো যথাক্রমে "জাতীয় রেগুলেটরি কমিটি" সচিব, তথ্য মন্ত্রণালয়, যগ্ম-সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, মহাপরিচালক, বাংলাদেশ বেতার, বিটিআরসি’র একজন প্রতিনিধি সহ ৯ জনকে নিয়ে গঠিত।এই কমিটির যার কর্ম-পরিধি হচ্ছে “কারিগরি উপকমিটি” কর্তক সুপারিশকৃত প্রতিষ্ঠানের তালিকা চুড়ান্ত করে সরকারের অনমোদনের জন্য পেশ করা; সম্প্রচার সংক্রান্ত আইন-কানুন ও বিধি-বিধান পর্যালোচনা ও সময়োপযোগী সংশোধনী সম্পর্কে পরামর্শ প্রদান করা। "মনিটরিং কমিটি" মহাপরিচালক, বাংলাদেশ বেতার, প্রধান প্রকৌশলী, বাংলাদেশ বেতার, উপ-সচিব (বেতার), বিটিআরসি এর প্রতিনিধি সহ পাঁচজন নিয়ে গঠিত এই কমিটির কার্যপরিধি নিয়মিত বেসরকারি বেতারকেন্দ্রের সম্প্রচার কার্যক্রম পর্যালোচনা করে সরকারের নিকট প্রতিবেদন প্রদান করা।“কারিগরি উপ-কমিটি” “জাতীয় রেগুলেটরি কমিটির" নিয়ন্ত্রণাধীন এই কমিটির গঠিত প্রধান প্রকৌশলী, বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশনের একজন প্রতিনিধি, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় এর একজন প্রতিনিধি, বিটিআরসি এর একজন প্রতিনিধি সহ পাঁচ জন নিয়ে।এই কমিটির কর্ম-পরিধি বেসরকারি মালিকানাধীন বেতারকেন্দ্র স্থাপনের জন্য ন্যূনতম পেশাগত ও কারিগরি মান নিরূপণ করা; প্রাপ্ত আবেদনের সামগ্রিক পেশাগত ও কারিগরি বিষয়গুলো পরীক্ষা করে মেধা অনুযায়ী ক্রমানুসারে বিন্যাস করে তালিকা প্রণয়ন এবং “জাতীয় রেগুলেটরি কমিটি”র বিবেচনার জন্য উপস্থাপন করা।২১ ধারায় অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিয়ে লাইসেন্সধারীর কোন বক্তব্য থাকলে তা বিবেচনা করে সরকার জরিমানা/জামানত বাজেয়াপ্তকরণ অথবা প্রয়োজনীয় সংশোধনমুলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নিদিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত লাইসেন্স স্থগিত রাখার নির্দেশ দিতে পারবে।কোন লাইসেন্স স্থগিত বা বাতিল করার পর্যায়ে সরকার আশু ব্যবস্থা গ্রহণ সমীচীন বিবেচনা করলে সংশ্লিষ্ট সম্প্রচারকেন্দ্রের প্রচার বন্ধ বা স্থগিত করার উদ্দেশ্যে উক্ত কেন্দ্রের যে কোন বা সকল যন্ত্রপাতি জব্দ করার আদেশ দিতে পারবে।২২ ধারায় পূর্বে জারিকৃত সকল “বেসরকারি মালিকানায় বেতারকেন্দ্র স্থাপন ও পরিচালনা নীতিমালা” বাতিল করা হয়েছে।

এইটা কি করলাম এত বছর পর ? আমার মনে হয় ভারতের ভয়ে আমরা এরকম আইন করেছি।ভারতের উপরই নির্ভর করে আমাদের তথা অএঅঞ্চলের গণতন্ত্রায়ন ও জনগনের স্বাধীনতা।ভারত তার জনগনকে যে স্বাধীনতা দেয়নি তা আশেপাশের কেউ স্বপ্নেও ভাবতে পারে না।যেমন ২০০২ সালে ভারত কমিউনিটি রেডিও পলিসি গ্রহন করে ঘোষনা দিয়েছিল সারাদেশ ৪৫০০ কমিউনিটি এফএম রেডিও লাইসেন্স দেবে।কিন্তু আজও দেয়নি।এসম্পর্কে ভারতের কমিউনিটি রেডিও নিয়ে কাজ করা এক প্রখ্যাত সাংবাদিক ২০০৯ সালের আগষ্ট মাসে তার দেশের এফএম রেডিওর অবস্থা সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলছিলেন, বিষয়টা সহজে বোঝার জন্য বলবো, "আমাদের পাশেই থাইল্যান্ড নামে একটি দেশ আছে যার আয়তন ভারতের ছয় ভাগের এক ভাগ।জনসংখ্যা তামিল নাডুর চেয়ে একটু কম।আজ দেশটিতে ৪৭০০ এর উপরে লোকাল এফএম রেডিও স্টেশন আছে।আরও উল্লেখ্য করতে হবে এগুলি সরকারের নিকট থেকে কোন প্রকার লাইসেন্স না নিয়েই ৯০ এর দশকের মাঝামাঝি থেকে গড়ে উঠেছে এবং সরকার ২০০৯ সালের অক্টবরে একটি ঘোষনা দিয়ে এই সকল ৯৫% স্টেশন লাইসেন্সের আওতায় নিয়ে আসে।অথচ আমরা ভারতে কি করছি ? সরকার ২০০২ সালে সারাদেশে ৪০০০ লোকাল এফএম রেডিও স্টেশন লাইসেন্স দেয়ার অঙ্গীকার করেছিল।আজ ২০০৯ সালে আমি আশ্চর্য হবো যদি দেখি সারাদেশে এরকম ৭টার বেশি স্টেশন অপারেশনাল থেকে থাকে।এই একই নীতিমালার কপি করে বাংলাদেশ ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে এনজিও মালিকদের জন্য নিৎকৃষ্ট মানের একটি কমিউনিটি রেডিও নীতিমাল করে ২০১০ সালে ১৪টা লাইসেন্স দিলেও তার একটাও আজও চালু করতে পারেনি কারন আবেদন বাছাই, পুলিশ, এনএসআই, ডিজিএফআই ছাড়পত্র, বিটিআরসির আনুমোদ সহ হাজারও প্রক্রিয়া অতিক্রম করে অপারেশনে যেতে উদ্দোক্তার দুই পুরুষের জান শ্যাষ হয়ে যাবে।তাই এতদিনেও একটাও চালু হয়নি।

অথচ এই মুহুর্তে বাংলাদেশের প্রতিটি উপজেলায় ১টি করে অন্তত ৫০০টি এফএম রেডিও স্টেশন দরকার। থাইল্যান্ড আমাদের মতই একটি উন্নয়নশীল দেশ, দেশটির রাজনৈতিক অবস্থাও আমাদের চেয়ে খুব একটা আহমরি কিছুনা।দেশটির আয়তন পাঁচ লক্ষ চৌদ্দ হাজার বর্গকিলোমিটার যা বাংলাদেশের দ্বিগুনেরচেয়ে কম।জনসংখ্য সাড়ে ছয় কোটি যা বাংলাদেশের প্রায় তিন ভাগের এক ভাগ।কিন্তু দেশটিতে আজ ৫০০০ এর বেশি এফএম স্টেশন চলছে সেই তুলনায় বাংলাদেশে ৮০০০ স্টেশন চলার কথা কারন মিডিয়ার সংখ্যা নির্ভর করে জনসংখ্যার উপর।থাইল্যান্ডে ২০০৯ সালের অক্টবরে নিউজটি ছিল নিম্নরুপ-
খবরঃ ১৯ আগষ্ট, ২০০৯ *4,500 Thai radio stations register to go legal*
More than 4,500 community radio stations in Thailand have registered under a National Telecommunications Commission (NTC) scheme to become legal broadcasters, the Bangkok Postreports.
About 95 percent of the country's community radio stations have signed up for the 300-day trial licence. Registration closes on 24 August, Col Natee Sukolrat, Chairman of the NTC's community radio working group, said yesterday. Stations which did not register by next Monday's deadline but continued to operate would be considered illegal, he said.
While the commission could not shut down stations that failed to register, it could take action against them for illegal broadcasting, he said. The NTC could file complaints with the police against stations which operate without a licence and charge them for the unlicensed use of transmitters and radio frequencies.
Community stations which have registered under the scheme can broadcast for 300 days but their programme content must not incite political unrest and violence, offend the monarchy or disrupt social morals.
Breaking any of the conditions could lead to the withdrawal of broadcasting rights, Mr Sukolrat said. He said the NTC had classified three types of community stations according to their content: public service, community programming and business.

বাংলাদেশকে পরিবর্তন মিডিয়া ছাড়া অসম্ভব আর স্থানীয় মিডিয়া ছাড়া মিডিয়া অসম্পূর্ন, ভ্রান্ত ও বিকৃত।এবং এফএম রেডিওই হতে পারে স্থানীয় জনগণের কন্ঠের মুক্তির অন্যতম সোপান।যা এই আইনে আরও ৫০ বছরেও অবাস্তব তাই কাল থেকে এদেশে গ্রামে গ্রামে শতশত অবৈধ্য, অনুমতি বিহীন এফএম রেডিও স্টেশন গড়ে উঠুক যেমন হয়েছিল থাইল্যান্ডে আরও ১৫ বছর আগে থেকে।

তাইতো বলছি স্বাধীনবাংলা বেতারকেন্দ্র তবে এবার শত শত ছোট ছোট।আইনের গুলি মারি।স্বাধীনবাংলা বেতারকেন্দ্রের লাইসেন্স কে দিয়েছিল ? জনগণ ! তারাই ঠিক করবে কোনটা শুনবে কোনটা শুনবে না।আপনি আপনার ফ্রিকোয়েন্সিটা বুক দেন। fm 100 এর সাউন্ড বেস্ট।শেষ হইয়া গেলে পাবেন না।

সম্পূর্ন আইনটি দেখতেঃ http://www.moi.gov.bd/Radio/F.M._Radio.pdf
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৯:২৬
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বিসিএস-পরীক্ষার হলে দেরিঃ পক্ষ বনাম বিপক্ষ

লিখেছেন BM Khalid Hasan, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



বর্তমানের হট টপিক হলো, “১ মিনিট দেরি করে বিসিএস পরীক্ষার হলে ঢুকতে না পেরে পরীক্ষার্থীর স্বপ্ন ভঙ্গ।” প্রচন্ড কান্নারত অবস্থায় তাদের ছবি ও ভিডিও দেখা যাচ্ছে। কারণ সারাজীবন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না।

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:২৮




আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না। আমাদের দেশে মানুষ জন্ম নেয়ার সাথেই একটি গাছ লাগানো উচিৎ । আর... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানবতার কাজে বিশ্বাসে বড় ধাক্কা মিল্টন সমাদ্দার

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:১৭


মানুষ মানুষের জন্যে, যুগে যুগে মানুষ মাজুর হয়েছে, মানুষই পাশে দাঁড়িয়েছে। অনেকে কাজের ব্যস্ততায় এবং নিজের সময়ের সীমাবদ্ধতায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে না। তখন তারা সাহায্যের হাত বাড়ান আর্থিক ভাবে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

জব্বারের বলীখেলা ও বৈশাখী মেলা-২০২৪

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭



ছবি সৌজন্য-https://www.tbsnews.net/bangla




ছবি- মঞ্চে তখন গান চলছে, মধু হই হই আরে বিষ খাওয়াইলা.......... চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী গান।

প্রতি বছরের মত এবার অনুষ্ঠিত হল জব্বারের বলীখেলা ও বৈশাখী মেলা-২০২৪। গত ২৪/০৪/২৪... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

×