এই হচ্ছে বাংলাদেশের মিডিয়া।বিশ্বে নজির নেই এমন নির্লজ্জ ভাবে গত সাতদিন যাবৎ টেলিভিশনের জন্মদিনের নামে তেলবাজি করতেছে।এদের সহোদর কানিজের কর্ম এদের নিউজে আসবে কি ভাবে এই চ্যানেল আই যে কৃষকের টিভি নামে ১২তম জন্মদিন পালন করছে তা টেরেস্টারিয়াল অনুমতি না থাকায় কোন কৃষকের ঘরেই যে পৌছায় না সেকথা টাও কোনদিন বলবে না।
বাংলাদেশে মিডিয়া বলতে যা আছে তা হলো বিশ পঁচিশ জন কুখ্যাত লোকের মালিকানায় কয়েকটি দৈনিক, কয়েকটি সেটালাইট টেলিভিশন, কয়েকটি এফএম রেডিও।ঘুরে ফিরে কয়েকটি গোষ্ঠির কয়জন কুখ্যাতই এগুলির মালিক।এগুলোর সাথে জনগণের কোন সম্পর্ক নেই।এরা কয়েক জনই নিয়ন্ত্রন করে দেশের সম্পূর্ন মিডিয়া ও প্রচার।যদিও এরা একে অন্যের ঘোর বিরোধী এরা এদের কমন স্বার্থে আঘাত লাগে অথচ জনগণের বারটা বাজায় এম কোন নিউজ কখনও করে না।
আর আমরা আজকাল যে বিকল্প মিডিয়ার কথা বলছি সে মক্কা অনেক দূর!
কারন বাংলাদেশের ইন্টারনেট ইউজার আজও ০.৯%, ভিয়েতনাম ৩৩%, মিশর ২১%, আর বাংলাদেশের এই ০.৯% এর মোট ব্যন্ডউইথ ব্যবহার মাত্র ১৫জিবিপিএস যা জাপানের ১০০ জনের সমান। আবার বাংলাদেশে ইন্টারনেটের দাম ওয়ার্ল্ডে সর্বোচ্চ।আরও অনেক কারন আছে এবং সবই সরকারের ইচ্ছা। তাই বলি বিকল্প মিডিয়া বাংলাদেশে? মক্কা অনেক দূর!
এই সমস্যাগুলোও দেখবেন মিডিয়াগুলো কখন উচ্চারনও করবে না।বরং উল্টা করবে যেমন কয়দিন আগে বিডিনিউজ২৪ বলছে বাংলাদেশের গড় ডাউনলোড গতি প্রতি সেকেন্ডে ৬০ কিলোবাইট যা আফ্রিকার অনেক দেশের চেয়ে বেশি।
তাই বলছি আমরা "মিডিয়ার স্বাধীনতা না, আমরা চাই স্বাধীন মিডিয়া"- আমরা চাই দেশে দ্রুততম সময়ে মোবাইল ব্রডব্যন্ড আসুক, মোবাইল কলের মত এখানে ইন্টারনেটের মূল্য বিশ্বে সর্বনিম্ন হউক। এবং থাইল্যান্ডের মত সারাদেশে হাজার হাজার লোকাল এফএম রেডিও চালু হউক সরকারের কোন অনুমতি ছাড়া।উল্লেখ্য ২০০৯ সাল পর্যন্ত দেশটিতে ৪৭০০ অনুমোদনহীন স্থানীয়এফএম রেডিও ছিল।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা অক্টোবর, ২০১১ রাত ৯:৪০