এইটা কথা হইলো।দুই বুদাই জাতিরে বুদাই বানাইলো।প্রথমটা সরকার, বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন ওরফে বিটিআরসি। দ্বিতীয়টা তথ্যপ্রযুক্তি তথা ইন্টারনেটের জম বিএনপি। জিগান কিবায় ?
বিএনপির রোডমার্চ প্রগ্রামকে সামনে রেখে নর্থসাউথ আইটি টিমের সহযোগিতায় লাইভকাস্ট করার জন্য একটি ওয়েব সাইট বানিয়ে ছিল। যা গত সিলেট অভিমুখে খালেদা জিয়ার রোডমার্চে মুটামুটি ভালোই হিট পেয়েছিল।আগামী কালের রোডমার্চের আগে যখন সাইটটিকে আরও ডেভলপ করা হয় তখন সরকারি নির্দেশে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন ওয়েবসাইটটি না চালাতে নর্থসাউথকে চাপ দিচ্ছে।তাই ওয়েবসাইটটি www পরিচালনায় অপারগতা জানিয়ে নর্থসাউথ আইটি বিএনপিকে চিঠি দিয়েছে।চিঠিতে তারা জানিয়েছে, আগামী কালের উত্তরাঞ্চলের রোড মার্চ কর্মসূচি সরাসরি ওয়েবসাইটে সম্প্রচার করতে পারবে না।
এইটা কেমন কথা আপনারা ডিজিটাল বাংলাদেশে জনগণকে ইন্টারনেটটাও ব্যবহার করতে দেবেন না। একটা ইভেন্ট ওয়েবকাস্ট হবে তাতেই আর্মিসেনাবাহিনী পাঠাবেন, সাইট নামাবেন।তাহলে কি ইন্টারনেট আপনারা শুধু থ্রিএক্স লাইভকাস্টের জন্য ব্যবহার করতে চান ? দেশেতো ইন্টারনেটের অবস্থা দুনিয়ার জঘন্যতম করে রাখছেন।জানি না নর্থসাউথের টিম এত চিপা ব্যান্ডউইথে কিবায় লাইভকাস্ট করতেছে ? ইন্ডিয়া থেকে টিম আনলেও বিএনপির নেতানেত্রীকে থাপরাইয়া চইলা যাইতো, বলতো, বোদাই আগে ইন্টারনেটের পাওয়ার বাড়া তারপর লাইভকাস্ট কর, ফাজিল কোনহানকার!
দ্বিতীয়টা হইল বিএনপির নিজের চিপায় নিজে পরা।এই ইন্টারনেটের আজন্ম শত্রু বিএনপি ১৯৯৩ সালে তথ্য পাচারের ধূয়া তুলে তখন সাবমেরিন ক্যবলে দেশকে যুক্ত হতে দেয়নি।এই দলই দেশের মোবাইল অপারেটরদের জনগণকে ইন্টারনেট সেবা দেওয়ার অনুমতির আবেদন ৫ বছর আটকে রেখে ২০০৬ সালের জুন মাসে দিয়েছে যেখানে এদেশের ৯৫% ইউজারেরই মোবাইল ইন্টারনেটের বিকল্প নেই।এবার সেই বিএনপিকে সামান্য একটা লাইভকাস্ট সাইট চালালেই নর্থসাউথ বিটিআরসি দৌড়াইতে হচ্ছে।অথচ আজ একটা বাচ্চাপুলা তার মোবাইলটা ভিডিও কল করে খালেদা জিয়ার মুখের সামনে ধরে রাখলেই বাংলাদেশ তথা সারা দুনিয়ার যেকোন লোকেশন থেকে লাইভ দেখাতে পারার কথা।সেই জ্ঞান এদের তো হয়ই নাই সামান্য ওয়েবক্যাম লইয়া একটা সার্ভারে লিংক দিতে গিয়াই মহাসচিব চেয়ারম্যান কাহিল, যাইতে হয় নর্থসাউথ আইটি টিমে।এসমস্ত পুলাপান নিয়া ঘুরে, সব চোর, বদমাইশ, সন্ত্রাসী অছাত্র ইত্যাদী।