গত তিন বছরে সরকারী ভাবে উপজেলায় কোন অফিসে ল্যাপটপ বা নতুন ডেক্সটপ দেয়া হয়নি।শুধুমাত্র ইউএনওদের একটি ভাঙ্গা নব্বুইর দশকের নির্বাচন কমিশনের রিজেক্ট ল্যাপটপ দেওয়া হয়েছে, যা চলে না।অথচ এই সময়ের ভেতর দেশে সরকারী টাকায় লক্ষাধিক কমপিউটার, ল্যাপটপ কেনা হয়েছে।যার অধিকাংশই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দেয়া।তবে ফলাফল হচ্ছে এই মেশিনগুলোর চার ভাগের তিন ভাগ এখনও ছবিটির মত বাক্স বন্দি অবস্থায় আছে।যে কয়টা চলে তার প্রতি পঞ্চাশটির একটিতে ইন্টারনে সংযোগ আছে।তবে সহসা চালানো হয়না।নাইন টেনের কমপিউটার ক্লাসে কখনও সখনও তালা খুলে কমপিউটা দেখতে কেমন তা দেখা হয়।অথচ আমি এক উপজেলার তিনটি স্কুলে নবম ও দশম শ্রেণীর ছাত্রছাত্রিদের জিজ্ঞেস করেছি, তোমরা কয়জন জীবনে কমপিউটার দেখেছ, হাত তুলেছে সবাই।আর যখন বলেছি, কয়জন জীবনে কমপিউটার টাচ করেছ, হাত তুলেছে একশ জনে এক জন।এই দিকে বাংলাদেশ কমপিউটার কাউন্সিল বিসিসি ঢাকায় টেন্ডার করে এসব হাজার হাজার প্রডাক্ট কিনছে।পরে বিভিন্ন স্কুলে, কলেজে পাঠাচ্ছে এই বলে, আপনারা মেশিনগুলো নিয়ে একটা রুমে যত্ন করে তালা বদ্ধ করে রাখুন, আমরা পরে ইঞ্জিনিয়ার পাঠাবো এগুলো চালু করতে, এর আগে হাতও দিবেন না।আর মাস্টার সাহেবরা এগুলো যত্ন করে তুলে রাখছে।আমি অনেক স্কুলে পাঁচ ছয় বছর আগের কেনা মেশিনও ইনটেক প্যাকেট বন্দি পেয়েছি।এই মুহুর্তে দেশের দশ হাজার প্রাইমারী স্কুলের হেডমাস্টারের লকারে একটি ইনটেক ল্যাপটপ ও একটি মাল্টি মিডিয়া আছে।মালগুলো বিসিসি কিনেছে।এই হলো বাস্তব আবস্থা।
বছরের পর বছর হাজার হাজার ইনট্যাক কমপিউটার।
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
গত তিন বছরে সরকারী ভাবে উপজেলায় কোন অফিসে ল্যাপটপ বা নতুন ডেক্সটপ দেয়া হয়নি।শুধুমাত্র ইউএনওদের একটি ভাঙ্গা নব্বুইর দশকের নির্বাচন কমিশনের রিজেক্ট ল্যাপটপ দেওয়া হয়েছে, যা চলে না।অথচ এই সময়ের ভেতর দেশে সরকারী টাকায় লক্ষাধিক কমপিউটার, ল্যাপটপ কেনা হয়েছে।যার অধিকাংশই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দেয়া।তবে ফলাফল হচ্ছে এই মেশিনগুলোর চার ভাগের তিন ভাগ এখনও ছবিটির মত বাক্স বন্দি অবস্থায় আছে।যে কয়টা চলে তার প্রতি পঞ্চাশটির একটিতে ইন্টারনে সংযোগ আছে।তবে সহসা চালানো হয়না।নাইন টেনের কমপিউটার ক্লাসে কখনও সখনও তালা খুলে কমপিউটা দেখতে কেমন তা দেখা হয়।অথচ আমি এক উপজেলার তিনটি স্কুলে নবম ও দশম শ্রেণীর ছাত্রছাত্রিদের জিজ্ঞেস করেছি, তোমরা কয়জন জীবনে কমপিউটার দেখেছ, হাত তুলেছে সবাই।আর যখন বলেছি, কয়জন জীবনে কমপিউটার টাচ করেছ, হাত তুলেছে একশ জনে এক জন।এই দিকে বাংলাদেশ কমপিউটার কাউন্সিল বিসিসি ঢাকায় টেন্ডার করে এসব হাজার হাজার প্রডাক্ট কিনছে।পরে বিভিন্ন স্কুলে, কলেজে পাঠাচ্ছে এই বলে, আপনারা মেশিনগুলো নিয়ে একটা রুমে যত্ন করে তালা বদ্ধ করে রাখুন, আমরা পরে ইঞ্জিনিয়ার পাঠাবো এগুলো চালু করতে, এর আগে হাতও দিবেন না।আর মাস্টার সাহেবরা এগুলো যত্ন করে তুলে রাখছে।আমি অনেক স্কুলে পাঁচ ছয় বছর আগের কেনা মেশিনও ইনটেক প্যাকেট বন্দি পেয়েছি।এই মুহুর্তে দেশের দশ হাজার প্রাইমারী স্কুলের হেডমাস্টারের লকারে একটি ইনটেক ল্যাপটপ ও একটি মাল্টি মিডিয়া আছে।মালগুলো বিসিসি কিনেছে।এই হলো বাস্তব আবস্থা।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
হাদির হত্যাকান্ড ও সরকারের পরবর্তি করণীয়!
হাদির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। সে দেশকে ভালোবেসে, দেশের মানুষকে ইনসাফের জীবন এনে দিতে সংগ্রাম করেছে। তাকে বাঁচতে দিলো না খুনিরা। অনেক দিন ধরেই তাকে ফোনে জীবন নাশের হুমকি দিয়ে এসেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন
মব রাজ্যে উত্তেজনা: হাদির মৃত্যুতে রাজনৈতিক পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ



ইন্টেরিম সরকারের শেষদিন : গঠিত হতে যাচ্ছে বিপ্লবী সরকার ?

ইরাক, লিবিয়া ও সিরিয়াকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার আন্তঃদেশীয় প্রকল্পটা সফল হতে অনেক দিন লেগে গিয়েছিল। বাংলাদেশে সে তুলনায় সংশ্লিষ্ট শক্তিসমূহের সফলতা স্বল্প সময়ে অনেক ভালো। এটা বিস্ময়কর ব্যাপার, ‘রাষ্ট্র’... ...বাকিটুকু পড়ুন
মব সন্ত্রাস, আগুন ও ব্লাসফেমি: হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন
তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।
দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।