আমি কালরাতে সিসি টিভির এই নিউজটা আসার সাথে সাথে বিশেষ পর্যবেক্ষনে রেখেছি।আর দেখছি কোথাও রাতের বেলা দিনের স্টিল ছবি, বেসির ভাগ চ্যানেলের স্ক্রিনে স্টিল ছবি, ঘটারপর ঘন্টা একই দৃশ্য, মাঝখানে ঘন্টারপর ঘন্টা কোন ঘটনা নেই ইত্যাদী। পুরা নারায়নগঞ্জ কি ফ্রিজ হইয়া গেল নাকি ?
সংবাদ কর্মীদের মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞানে বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ মূর্খ গোষ্ঠি হলো বাংলাদেশের সাংবাদিক ভাইয়েরা।সত্যি কথা শুনে কেউ রেগে যাবেন না।এরা যদি গজমূর্খ না হতো তাহলে তথ্যপ্রযুক্তিতে দেশের আজও এই অবস্থা না।ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষনার পরও গত তিন বছরে দেশে শুধু মাল বেচা ছাড়া অবকাঠামোর এক শতাংশ উন্নয়ন না করেও মন্ত্রী এমপিরা ডিজিটাল ডিজিটাল বলে চেঁচাইতে পারছে তাও বাংলার এই সর্বশ্রেষ্ঠ মূর্খ সাংবাদিক ভাই বোনদের ভোদাইনেস এর কারনে।
যাক নাসিক নির্বাচনে আসি।নির্বাচনে ২০ টি অতিঝুকিপূর্ন কেন্দ্র বিবেচনা করে ইসি কেন্দ্রগুলোর শুধু ভিতরে, বাইরে না, একটি করে সিসি ক্যামেরা লাগিয়ে এই নেটওয়ার্কের একটি কন্ট্রোলরুম নারায়নগজ্ঞ ও একটি ঢাকায় নির্বাচন কমিশনে রেখেছে পর্যবেক্ষনের জন্য।সাংবাদিকরা মনিটর ও কমিশনের কথা শুনে আমাদেরকে বলে ছেড়ে দিয়েছে।
দেশে প্রথমবার এরকম নতুন একটা সিস্টেম অথচ এদের সামান্য কৌতুহলটুকুও নেই।বিষয়টা কোন সাংবাদিকের চোখেও পরছে না।কেউ কোন রিপের্টও করছে না।এই প্রশ্নটা মাথায় আসার আইকিউও এদের নাই।এদের ধারনা এইদিক দিয়া দিলে ঐদিক দিয়া দেখা যায়।
কিভাবে কাজটা করলো।নারায়নগঞ্জ কন্ট্রোলরুম ও ঢাকায় নির্বাচন কমিশন কার্যালয় থেকে পর্যবেক্ষনের ব্যবস্থা থাকবে।ঠিক আছে দেখা যাবে বুঝলাম কিন্তু আসা যাওয়ার রাস্তা কোথায় ? কিভাবে সারা শহর জুরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ২০ টি অতিঝুকিপূর্ন কেন্দ্র কি দিয়ে জোড়া লাগালো ? সারা শহরে তাড় টানা হইছে নাকি ? বাংলার ইন্টারনেটে তো এটা সম্ভব না, নারায়নগঞ্জে ৩জি চালু হইয়া গেল নাকি ? নাকি পুলিশ বিভাগ তিন বছর ধরে তাদের জন্য সংরক্ষিত রাখা ১০ মেগাহার্ডস ওয়াইম্যাক্স স্প্রেড সেটাপ দিয়া ফেলছে, এতো অসম্ভব ? নাকি বিদেশ থেকে লংডিসটেন্ট সিসি ক্যাম নেটওয়ার্ক স্টেশন কিনে আনছে ব্যপক খরচে ? এমনি আরও ব্যপক কেলকুলেশন এবং জয় বাবার ধান্দা।অথচ ৩জি'তে এটা ওয়ান টুর ব্যাপার! কত নেটওয়ার্ক করবেন, হাউ মাচ ইজ ইউর জিডিপি?কিন্তু
বাই সচেতন অন।আপনারে বোদাই বানাইয়া গেল।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৪:০৩