somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নরসিংদীতে র‌্যাবের বন্দুক যুদ্ধের পোস্টমর্টেম - ক্রস ফায়ার ওর সিক্স মার্ডার!

০৫ ই এপ্রিল, ২০১২ রাত ১০:৩৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আপডেটঃ ৭-০৪-২০১২, অনেকে মনে করছে, কথিত ছিন্তাইকারী দলের সকল ছিন্তাইকারীর সাথে র‌্যাবের মদনগঞ্জ ব্রিজের পাশেই প্রথম দেখা হয়নি।তাছারা সাবার সাথে সম্ভবত এক সাথেও দেখা হয়নি, সবাইকে র‌্যাব একই সময় ধরেনি।বিভিন্ন সময় ধরা হয়ে থাকতে পারে।গাড়িতে করেই মদনগঞ্জ ব্রীজের পাশে নেওয়া হয়ে থাকতে পারে।ওরা ওখানে দিনের বেলা ট্রাক নিয়ে ওখানে ডাকাতি করতে গিয়েছিল এটাও অবাস্তব।কোন জেলায় দুপুরে ট্রাক নিয়ে গিয়ে রাস্তায় বাস থামিয়ে ডাকাতি করছে, সে তো খুবই ভয়ংকর খবর।

নাহিদ ও আরিফঃ মীর ইমদাদ হোসেন স্কুলের সদ্য এসএসসি পরীক্ষা দেওয়া নাহিদ সোমবার সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে যাওয়ার আগে মায়ের সঙ্গে শেষ কথা হয় তার -‘হাসপাতালে থেকে চিকিৎসক দেখিয়েই বাড়ি চলে আসবো।দুপুরে খেয়ে নানির বাড়িতে যাবো।
দক্ষিণ বিলাসদী এলাকার হোসেন মোল্লার ছেলে নাহিদ ভালো কলেজে ভর্তি হওয়ার জন্য কোচিং করছিল।নাহিদের মা নাসিমা বেগম বলেন, ‘আমার ছেলে কোনো খারাপ কাজে লিপ্ত ছিল না।তার পরও কেন আমার ছেলেকে মরতে হলো।শুক্রবার আমার ছেলে পিকনিকে যাবে বলে তার দাদী তাকে একটি নতুন প্যান্ট কিনে দেন। দাদীর দেওয়া সে প্যান্ট আর পড়তে পারলনা আমার ছেলে।
ভেলানগর এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে আরিফও এবার নরসিংদীর কারারচর মৌলভী তোফাজ্জল হোসেন উচ্চ বিদ্যলয় থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিল।তিনদিন তাবলীগ জামাতে কাটিয়ে আগের দিন রোববার বাড়িতে ফিরে আসে।সোমবার সকালে পিতা কাছ থেকে ২০ টাকা নিয়ে বন্ধুর সঙ্গ ঘুরতে বের হয়।আর ফিরে আসে লাশ হয়ে।আরিফের পিতা আবুল হোসেন বলেন, স্বপ্ন ছিল পরীক্ষার ফল দেখে বিদেশে যাবে।ছেলেকে বিদেশে পাঠাবো বলে তার পাসপোর্ট করিয়েছি। কিন্তু বিদেশে যাওয়া আর হলো না।কাঁদতে কাঁদতে তিনি বলেন, ‘সংসারের অভাব অনটন থেকে মুক্তির জন্য ছেলেকে বিদেশে পাঠাতে চেয়েছিলাম।তা আর হলো না।আমার ছেলে অপরাধী নয়।তাহলে কেন আমার ছেলেকে মরতে হলো ?

এভাবে বাকি সবার লাস্ট লোকেশনের তথ্য বের করে দেখুন র‌্যাব কি বন্দুক যদ্ধ করতে ওদের সাথে নিয়ে গিয়েছিল কিন ?
.........
চলুন আমরা খুবই সততা ও সাহসিকতার সাথে সত্য খোজার চেষ্টা করি।বিষয়টি খুবই সেন্সেটিভ ও ঝুকিপূর্ন তারপরও আমাদের সত্যের পক্ষেই দাড়াতে হবে।যারা দীর্ঘদিন যাবৎ দাড়িয়ে আছে তাদের পাশে দাড়াতে হবে।তানা হলে একদিন আয়নায় আমরা নিজের কাছে নিজের মুখই দেখাতে পারবো না।

ভূমিকাঃ রসিংদীতে ঐ দিন র‌্যাব ছিন্তাইকারী বন্দুযুদ্ধে ৬ জন নিহত হওয়ার পর, রাতে একুশে টিভিতে অঞ্জন ভাইয়ের টকশোতে অতিথি হিসেবে ছিলেন তথ্য কমিশনার, অধ্যাপক সাদেকা হালিম, মিডিয়া উইং এর পরিচালক এম সোহায়েল, প্রথমআলোর আসদ ভাই (নাম শিওর না), শুরুতেই বঞ্চিত মানুষের কন্ঠস্বর অধ্যাপক সাদেকা হালিম খুবই কঠোর ও স্পষ্ট ভাষায় দেশ সহ র‌্যাবে কৃর্তীকলাপ তুলে ধরলেন।এভাবে কোন ভাবেই চলতে পারে না।র‌্যাবের বিষয়ে সকল কিছু ওপেন রেখে খতিয়ে দেখা আজ অপরিহার্য।তখন মিডিয়া উইং এর পরিচালক এম সোহায়েল সুক্ষ ও উত্তেজিত ভাবে ম্যাডামকে ডিরেক্ট থ্রেট করলেন, সরকারের এত উচ্চ পদে থেকে তিনি এভাবে বলতে পারেন না, তা বারবার স্বরন করিয়ে দিলেন।বললেন, ম্যাডাম যে প্রতিদিন গাড়িতে নিরাপদে বাসায় ফেরে তা এই র‌্যাবই নিশ্চিত করে।বেচারী পরে পুরো অনুষ্ঠান নিরব হয়ে গেলেন।উপস্থাপক ও অন্য গেষ্টও অস্বস্তি বোধ করলেন, পরে উপস্থাপক ফ্লোর দিলেও বাধ্য হয়ে র‌্যাবকে তেল দিয়ে গেলেন।কি হতো উনি চুপ না করলে !!! আমরা এক হাজার জন তার সাথে চিৎকার দিতাম।আর আমরা এক হাজার জনও যদি চুপ না হই তাহলে আরও এক লাখ চিৎকার দিবে, তারপর এক কোটি, ষোল কোটি।আর ষোল কোটি নাগরীকের কন্ঠ ভোটে কয়েক হাজার খারাপ লোককে দেশে অবাঞ্চিত ঘোষনার আইন করতে মুহুর্তও লাগবে না।

দেশের বেশির ভাগ মানুষ ব্যক্তিগত ভাবে দেশে সমস্ত অরাজকতার অবসান চায়।এমনকি যেই র‌্যাবকে নিয়ে এই লেখা লিখছি তারাও ব্যক্তিগত ভাবে সমস্ত মিথ্যার অবসান চায়, সবাই চাইলেও যখনি যে যার প্রতিষ্ঠান বা দলের ভেতর যায় তখন সেই বিহেইভওয়ার একেবারে বিপরীত হয়ে যায়।পুরো দেশে এমন কোন প্রতিষ্ঠান, দল পাওয়া যাবে না যেখানে গোষ্ঠগত ভাবে সহসাই রাষ্ট্রের অমঙ্গল ব্যতিত মঙ্গল চায় বা করে।যেমন গ্রামের কয়েক জন মুসলমান মিলে একটি মসজিদ করার সময়ও রাস্তার উপর খাস জমিতে করে।যাহউক, শিবের গীতে না গিয়ে প্রসংঙ্গে ফিরে আসি।এভাবে চলতে পারে না।এদেশে কোন খারাপের মাত্রাই ডিসেন্ডিং না বরং এ্যাসেন্ডি উইথ এ্যাক্সলারেশন।যেমন র‌্যাব আগে বন্দুক যুদ্ধে রাতে মার্ডার করতো -একজন দুইজন।এখন দিনে দুপুরে রাস্তার ফেলে এক ঘটনায় ছয় ছয় জনকে মার্ডার করে ফেলে।এটা যে আরও বাড়বে সে ভবিষ্যৎবানী করতে আপনাকে জতিষি হওয়ারও প্রয়োজন নেই।সামনে হয়তো দেখা যাবে কোন গ্রামে হাটবারে বাজারের পাশে স্কুলের মাঠে বন্দুকযুদ্ধ ডিসপ্লে করবে।তাই আর বিলম্ব নয়, চলুন আমরা শুধু সত্য ও পূর্নাঙ্গ সত্যের পাশে দাড়াই।একদুই করেই কোটি হয়, ভয় না পেয়ে আমরা শুরু করি।

এ্যাক্সক্লুসিভঃ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনাটি র‌্যাবের সাজানো।এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।নরসিংদীতে নিহত ছয় জনের স্বজনরা ইতোমধ্যে দাবি করেছেন, সোমবার ‘বন্দুকযুদ্ধ’ হয়নি, তা ছিল পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।

প্রত্যক্ষদর্শীঃ র‌্যাব-এর লোকরা তাদের গ্রেপ্তারের কোন চেষ্টা করেনি।মাইক্রোবাস থেকে এক এক করে নামিয়ে সবাইকে গুলি করে মারা হয়েছে, হুসেন মোল্লা বলেন।স্থানীয় লোকজন আমাদের বলেছে, নাহিদকে মাইক্রো বাস থেকে নামিয়ে তার গেঞ্জি খুলে চোখ বাঁধা হয়।এরপর তাকে দৌড়াতে বলে।পেছন থেকে তাকে গুলি করে।নাহিদ পড়ে গেলে কাছে গিয়ে র‌্যাব তার বুকে পা চাপিয়ে আর ১০-১৫টি গুলি করে। পরে লাশ টেনে নিয়ে পচা পানিতে ফেলে দেয়। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ’৭১-এর সংগ্রামের সময় এমন ঘটনা আমরা দেখিনি। নিহতের পরিবারের সদস্যরা দাবি করেছে তারা ছিনতাইকারী নয়।

প্রত্যক্ষদর্শীঃ রবিউল নামের একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, ঘটনার সময় একটু দূরেই দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি।প্রথমে র‌্যাব-এর একটি গাড়ি এসে থামলো। কিছুক্ষণের মধ্যে একটা সাদা মাইক্রোবাস এলো। মাইক্রোটিকে থামার সিগন্যাল দেয় র‌্যাব।সঙ্গে সঙ্গে মাইক্রোটি থেমে যায়।আর তখনই র‌্যাব-এর ৪-৫ জন মাইক্রোটি লক্ষ্য করে গুলি করতে শুরু করে।তিনি বলেন, তাদের কেমন যে অস্ত্র গুলি বের হচ্ছে, হচ্ছেই।আনোয়ার নামের আরেক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, গুলির সঙ্গে সঙ্গে ৪-৫ জন গাড়ি থেকে বেরিয়ে পালিয়ে যাচ্ছিল।তাদের ২ জনকে ধরে র‌্যাব।পরে তাদের চোখ বেঁধে গুলি করা হয়।লাশ নিয়ে গিয়ে ফেলা হয় ধানক্ষেতের মধ্যে।রিপন নামের আরেক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, র‌্যাব মাইক্রোটিকে লক্ষ্য করে আরও গুলি চালায়।পরে মাইক্রোর ভেতর থেকে ২ জনের লাশ বের করে আনে পুলিশ।গুলি লেগে একজনের মাথার খুলি ছিল না।

প্রত্যক্ষদর্শীঃ গোলাগুলি শুনে এগিয়ে আসা ঘটনাস্থলসংলগ্ন একটি পুকুরের পাহারাদার ১০ বছরের বালক উসমান জানায়, গুলির শব্দ শুনে সে বের হয়ে দেখে কয়েকজন ধানখেত দিয়ে দৌড়াচ্ছে আর র‌্যাব গুলি করছে। উসমান জানায়, প্রায়ই ওই পথে র‌্যাবের সদস্যরা গাড়ি নিয়ে এসে দাঁড়ায়। মাঝেমধ্যে তার পুকুরপাড়ে গাছতলায় বসে তাঁরা বিশ্রাম নেন।সোমবার দুপুরে পুকুরের সামনে র‌্যাবের একটি গাড়ি কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরির পর তার পুকুরপাড়ের সামনে থামতে দেখে উসমান ভেবেছিল, তাঁরা সেখানে বসবেন।তাই উসমান পুকুরপাড়ে ঢোকার দরজার তালাও খুলে রেখে যায়।কিছুক্ষণ পরই শোনা যায় গোলাগুলির শব্দ।উসমানের সঙ্গে থাকা ৫৫ বছরের হযরত আলী বলেন, তিনি গরু নিয়ে পুকুরপাড়ের দিকে আসছিলেন। হঠাৎ গোলাগুলির শব্দে গরু দৌড় দিলে তিনি গরুর পিছু ধাওয়া করেন। পরে এসে দেখেন ধানখেতে লাশ পড়ে রয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীঃ নাম প্রকাশে অনিচ্ছু এক ব্যক্তি দাবি করেছেন নিহতদের অন্তত এক জনকে অস্ত্র ঠেকিয়ে হত্যা করা।তিনি ঘটনাটি চোখে দেখেছেন বলে জানিয়েছেন।তিনি ঘটনার বর্ণনা দিলেও র‌্যাব মেরে ফেলতে পারে এই ভয়ে নাম-পরিচয় প্রকাশ করতে রাজি হননি স্থানীয় ওই ব্যক্তি।প্রত্যক্ষদর্শী ওই ব্যক্তি বলেছেন, অভিযানে অংশ নেওয়া কয়েকজন র‌্যাব সদস্যকে আগেও ওই এলাকায় দেখেছিলেন তিনি।তিনি বলেন, “আমি ক্ষেতে সেচ দিচ্ছিলাম। একটি গাড়ি এসে থামে, তার ভেতরে র‌্যাবের সদস্যরাও ছিল। ওই গাড়িতে কমপক্ষে ১০ জনকে দেখেছি আমি।হঠাৎ গুলির শব্দ হতে থাকে, ভয়ে আমি ধান ক্ষেতে পাহারার জন্য স্থাপন করা অস্থায়ী মেশিন ঘরে ঢুকে যাই।সেখান থেকে রাস্তার ওপরই একজনকে অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করতে দেখি।ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ ছয় জনের লাশ পাওয়া গিয়েছিল।রাস্তার দুই পাশের খাদে পাওয়া যায় দুই জনের লাশ। পিচঢালা রাস্তার ওপর উপুড় হয়ে পড়ে ছিলেন একজন। মাইক্রোবাসে ছিল দুই জনের লাশ এবং ট্রাকে ছিল এক জনের রক্তাক্ত দেহ।সড়কে ওপর পড়ে থাকা ব্যক্তিকে অস্ত্র ঠেকিয়ে হত্যার ঘটনা দেখার কথা জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ব্যক্তি।যেখানে লাশটি পড়েছিল পিচঢালা সড়কের সে স্থানটিতে প্রায় তিন ইঞ্চি গভীর গর্ত দেখা গেছে।গর্তের চারদিকে দেখা গেছে বারুদের দাগ, দুদিন পরও ছিল রক্তের দাগও।

প্রত্যক্ষদর্শীঃ নরসিংদীর ৫ নম্বর ব্রিজ এলাকার কৃষিশ্রমিকরা জানায়, সারাদিন ধানক্ষেতে শ্রমিকদের কাজকর্ম চললেও দুপুরের খাবারের সময় একদম নির্জন হয়ে যায় পুরো এলাকা। সরেজমিন দেখা যায়, দুই পাশের ধানক্ষেতে মাত্র কয়েকজন সেচ দিচ্ছেন।গাড়ি চলাচলও খুব কম।ওই এলাকায় এর আগেও র‌্যাবের ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটেছিল বলে স্থানীয়রা জানান। কয়েক বছর আগে শহরের দত্তপাড়ার নূর মোহাম্মদ নূরা (৩৫), কাউরিয়া পাড়ার আবু সিদ্দিক (৪২) ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মারা যান নির্জন এই সড়কের পূর্বদিকে তৈরি করা হেলিপ্যাডের পাশে।সোমবারের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তি বলেন, ঘটনার আগের কয়েকদিনের মধ্যে তিন থেকে চার জন র‌্যাব সদস্যকে ওই এলাকায় দেখেছেন তিনি, যারা সোমবারের অভিযানে ছিলেন।এরা আগেও এই এলাকায় এসেছেন। ঘুরেফিরে চলে গেছেন,” বলেন তিনি।

আহতদের বক্তব্যঃ আহতদের কেউ ছিন্তাইয়ের কথা স্বীকার করেনি। ঘটনার বর্ণনা দিয়ে অমর বলেন, ‘আমাগো সামনে ছিল একটা হাইয়েস মাইক্রো। ৫ নম্বর ব্রিজে আসার পর সামনে দিয়া একটা ট্রাক খাড়াইল। হাইয়েস গাড়িডা থামল। আমাগো গাড়িডা ওইডার পিছে গিয়া থামল। গাড়ি থামার লগে লগেই সামনে থিকা আমাগো দিকে শুরু হইল গুলি। গুলি মানে গুলির বৃষ্টি। আমি দরজা খুইলা খিচ্চা দৌড় দিলাম খেতের দিকে। হেইহানেও র‌্যাব গুলি করতাছিল।পরে আমার পায়ে গুলি লাগে।তার পরও আমি দৌড়ায়া পাবলিকের কাছে চইলা যাই।পরে পাবলিক আমাকে ধইরা র‌্যাবে দিছে।র‌্যাবের দুজন সদস্য কী করে গুলিবিদ্ধ হলেন, জানতে চাইলে অমর বলেন, ‘কেডা গুলি করব।আমরা তো খাড়ানোরই সুযোগ পাইনি।আমরা যহন পলাইতাছিলাম আমাগো কেউ থামতেও কয়নি। ডাইরেক গুলি।র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখার সদস্য পরিচয়দানকারী মনির হোসেন বলেন, অমরের কাছে একটি আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়া গেছে।অমর বলেন, ‘বন্দুক আইব কোইত্থিকা।আহত তিনজনই গোলাগুলির ঘটনার আগে ছিনতাইয়ের কথা অস্বীকার করেছেন।অমর বলেন, ‘৪০ হাজার ট্যাকা আমরা কহন লইলাম।কিছু করার আগেই তো ছয়জনরে মাইরালাইল।তাঁরা কোনো ব্যবসায়ীর ৪০ হাজার টাকা ছিনতাই করেননি।তাঁদের মাইক্রোবাসে ছিলেন সাতজন। গাড়ি চালাচ্ছিলেন মোশাররফ, তাঁর পাশে বসে ছিলেন জামাল। মাঝের আসনে বসে ছিলেন অমর, মাসুম মিয়া ও শাওন মিয়া। আর পেছনের আসনে ছিলেন নাহিদ ও আরিফ। মাঝের আসনে বসা তিনজনই দরজা খুলে দৌড় দিতে পারায় বেঁচে গেছেন বলে জানান অমর। নিহত মোবারক ও মাসুদ আফ্রাদ মাইক্রোবাসে ছিলেন না।মনির হোসেন নামে আরেকজন অক্ষত অবস্থায় গ্রেপ্তার হয়েছেন।

র‌্যাবের বক্তব্যঃ র‌্যাবের করা মামলায়, ঘটনাস্থল থেকে তিনটি পিস্তল, দেশে তৈরি এলজি, ১২ বোরের একটি কার্তুজ, দুটি চাকু, ১০ রাউন্ড গুলিভর্তি যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি পিস্তল, ছোরা এবং ছিনতাই হওয়া নগদ ৪০ হাজার টাকা উদ্ধারের দাবিও করে র‌্যাব।

র‌্যাবের বক্তব্যঃ র‌্যাব দাবি করেছে, শহরের শালিধা ঈদগাহ্‌’র কাছে ছিনতাইয়ের শিকার হন ঢাকা শ্যামপুরের ব্যবসায়ী মারুফ হাসান। ইসলামী ব্যাংকের নরসিংদী শাখা থেকে ৪০ হাজার টাকা তুলে মাইক্রোতে উঠে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিচ্ছিলেন তিনি। এ সময় একটি সাদা মাইক্রোবাস তাদের গতিরোধ করে। মারুফ হাসানকে ছুরিকাঘাত করে টাকা ছিনিয়ে নেয় তারা।কিন্তু গতকাল শালিধা ঈদগাহ্‌ এলাকায় গেলে স্থানীয়রা জানান, এখানে কোন ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেনি।নিহতের পরিবারের সদস্যরা বলছেন, র‌্যাব-এর সোর্স ফয়সাল র‌্যাবকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে নাহিদ ও আরিফকে হত্যা করিয়েছে।গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত ছিনতাইয়ের অভিযোগে সদর থানায় কেউ মামলা করেনি।

র‌্যাবের বক্তব্যঃ ঘটনার বর্ণনা দিয়ে র‌্যাব কর্মকর্তার সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, র‌্যাব-১১ (সদর দপ্তর নারায়ণগঞ্জের আদমজীনগর) এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবু হেনা মো. মোস্তফা খবর পান, নরসিংদী শহরে এক ব্যবসায়ীর ৪০ হাজার টাকা ডাকাতি করে শহর ও আশপাশে ঘোরাফেরা করছে এক দল ডাকাত।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “ডাকাত দল আরো একটি ডাকাতি করার উদ্দেশ্যে নরসিংদী-মদনগঞ্জ সড়কের ৫ নম্বর ব্রিজের কাছে প্রস্তুতি নেওয়ার সময় র‌্যাবের একটি দল সেখানে পৌঁছালে ডাকাতরা র‌্যাবের মাইক্রোবাসের সামনে একটি ট্রাক থামিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দেয় এবং পেছনের একটি মাইক্রোবাস থেকে র‌্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে।”

অনুসন্ধানঃ নিহত ছয় জনকে র‌্যাব ‘কুখ্যাত’ ডাকাত বললেও তাদের মধ্যে মাত্র দুজনের বিরুদ্ধে দুটি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে। নিহত বাকি চার জনের পাশাপাশি আহত ও আটক মিলিয়ে আট জনের বিরুদ্ধে কোনো মামলার হদিস মেলেনি।এদিকে ঘটনাস্থল ঘুরেও ছিনতাইয়ের ঘটনার সত্যতা মেলেনি।গতকাল পর্যন্ত ছিনতাইয়ের অভিযোগে কোনো মামলাও হয়নি।আজ ও গতকাল সকল মিডিয়া অনেক খোজাখুজি করেও ছিন্তাইয়ের অভিযোগ করে ফোন করা ঐ ব্যবসায়ীকে কোথাও খুজে পায়নি।নরসিংদী সদর মডেল থানার কাছেও ঐ ব্যবসায়ীর কোন তথ্য নেই।ট্রাকের মালিকেও পাওয়া যায়নি, নরসিংদী থানা চত্বরে পড়ে থাকতে দেখা যায় চকচকে নতুন একটি তিন টনি ট্রাক।র‌্যাব জানিয়েছে, এই ট্রাক আড়াআড়ি করে রেখে ব্যারিকেড দিয়েই সেদিন দুপুরে ‘ডাকাতেরা’ ডাকাতি করতে চেয়েছিল।ট্রাকের সামনের কাচে দুটি আর পেছনের লোহার ডালায় পাঁচটি গুলির চিহ্ন দেখা গেছে।এই ট্রাকের ভেতর থেকে মাসুদ আফ্রাদের লাশ উদ্ধার হয়েছে বলে দাবি করেছে র‌্যাব।তবে ট্রাকের আসনে রক্তের কোনো দাগ দেখা যায়নি।ট্রাকের মালিকের খোঁজ দিতে পারেননি শিবপুর বাস-ট্রাক মালিক সমিতির সভাপতি শফিকুল ইসলাম মৃধাও।

সূত্রঃ প্রথমআলো, বিডিনিউজ২৪, মানবজমীন, এটিএন, আরটিভি, একুশে টিভি, লোকমুখ, আনএ্যানিমাস ইনফো।

চলবে।

ব্লগার্স তদন্ত পাতা - নরসিংদী বন্দুক যুদ্ধ (Now)

বিক্ষিপ্তঃ সবাই যদি একটু সাহস নিয়ে, একটু ঝুকি নিয়ে সত্য বলা ও প্রকাশ করা শুরু করি সব মিথ্য পালিয়ে যাবে।মানুষের জীবনের অনেক মূল্য তার এরকম মৃত্যু কোন ভাবেই কাম্য হতে পারে না।এ অন্যায়, অনেক বড় অন্যায়।আপনি আর একটু জোরে সত্য বলেন দেখবেন ইকো পাবেন।ব্যাক্তিগত ভাবে প্রতিষ্ঠানগত ভাবে দলিয় ভাবে সবাই আলাদা আলাদা ভাবে দেশের ভালোই চায়।ভাবে সব বদলে যাবে।কিন্তু একত্র হলেই কি যেন হয়।চির চাওয়াটাও চাইতে পারে না।সে শুধু সবকিছুর গোপনীয়তার জন্য, কোথাও কিছু দেখা না যাওয়ার জন্য।চলুন আমরা সবাই সবাইকে সবকিছু বলে দেওয়া শুরু করি।তাহলে আর কারও কিছু করতে হবে না সব অটোমেটিক সূর্যের আলোর নিচে চলে আসবে।

সুপারিশঃ আমরা র‌্যাবের জন্য বিশেষ বুলেট আমদানীর প্রস্তাব করছি।র‌্যাব জন্য কি এমন কোন বুলেট আমদানী করা যায় না, যা গুলি করলে সন্ত্রাসী জাগায় ফ্রিজ হইয়া যায়, একচুল পরিমান নড়তে পারবে না, প্রয়োজনে গন্ডার ধরার এ্যানেস্থেসিয়া ব্যবহার করা হউক।তবু দিনে দুপুরে এভাবে কথিত বন্দুক যুদ্ধে ৬ জন নর হত্যা ,,, গুলি করে যদি সন্ত্রাসী হত্যাই করতে হবে তাহলে আইনশৃংখলা বাহিনী কেন, চলুন এরচেয়ে একটা পেইড সন্ত্রাসী কিলার বাহিনী বানাই!এরকম একটা ডে লাইট কিলিংয়ে শোডাউনের পর, এখন এর প্রভাব কত জায়গায় কত ভাবে পরবে সে সম্পর্কে আমাদের নূন্যতম সচেতনতাও নেই।এখন কারও নামটাও উচ্চারন করলেও সে নাগরীক প্রাণ ভয়ে দেশ বিবি বাচ্চা বিক্রি করেও ওদের চাহিদা পুরন করবে।প্রায়ই শোনা যায় র‌্যাবের ছত্রছায়াই চলে সমস্ত সন্ত্রাসী ও অবৈধ্য কর্ম, আবার গত এক বা দুই বছরে এরা ৭০০ এর উপর বন্দুক যুদ্ধেই অবতীর্ন হয়েছে।এ পর্যন্ত কত লোককে এরা ধরে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে অন্য কিছু করছে তার খবর ইথারেও নেই।কেউ ভয়ে কিছু বলে না।আর কিছু বললেই বেশ কিছু মুখস্ত ডাটা বলতে থাকবে, জঙ্গীবাদ, কালা জাহাংঙ্গীর বলতে থাকবে।অথচ আজ এক পোষ্টে দেখলাম, একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে স্থানীয় ক্যাডাররা ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করে।কোন ছাত্র প্রতিবাদ করলে তাকে স্টেব করা হয়।ভিসি স্থানীয় নেতাদের চাঁদার ভয়ে ছাত্রছাত্রীদের উল্টা নছিয়ত করবে।আর র‌্যাব ঢাকার ভেতর এরকম উচ্চবিত্ত এলাকায়ও নিরাপত্তা দিতে পারবে না। ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি: ইভটিজিং এর প্রতিবাদের ফলাফল আইসিইউতে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে শেষ বর্ষের ছাত্র

উপসংহারঃ উপসংহার লেখার দায়িত্ব পাঠককেই দিলাম।শুধু এটুকু বললবো এই ঘটনার সুস্ঠ না, উন্মুক্ত ও পাবলিকের অংশ গ্রহনে পাবলিক তদন্ত করে সকল সত্য বের করা হউক।

সামুকে সত্য প্রকাশে আরও সাহসী হতে অনুরোধ করুন। সামুকে রিকোয়েস্ট করুন নরসিংদীর র‌্যাবের বন্দুক যুদ্ধ নিয়ে একটা পোষ্ট স্টিকি করতে।আমরা সামুকে সত্য বলায় সাহসী দেখতে চাই।

র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান এর কাজ ই হচ্ছে র‍্যাপিড মানুষকে মৃত্যুর দুয়ারে পৌঁছে দেয়া মানুষের জান-মালের দ্রুত নিরাপত্তা বিধান করা নয়।

র‍্যাবের পক্ষের সুশিল দেখেনঃ (এলডোরাডো) আমি র‍্যাব এর ক্রস ফায়ার সমর্থন করি। লেখক কোথায় কাকে খুজে পেয়ে কি বক্তব্য নিলেন অথবা পেলেন সেটা লেখকের একচোখে দেখা দর্শন হতে পারে যাকে আমি নিরপেক্ষ বলে মনে করি না। ঘটনার পরদিন পত্রিকা (বিশেষ করে প্রথম আলো) র‍্যাব এর এই ক্রস ফায়ারটি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে। বেচে যাওয়া এবং নিহত ব্যাক্তিদের পিতা-মাতার বরাত দিয়ে বলা হয় ওরা খুউউউউব ভাল ছেলে, ওদের বিরুদ্ধে কোন থানায় মামলা নেই, তাই ওরা ধোয়া তুলসি পাতার মত পবিত্র। অথচ ঠিক ০৫ তারিখের (গতকাল) এর প্রথম আলোতেই একটু ভিন্ন সুর। এবার বলা হল ওরা ডাকাতি করতে বেড়িয়েছিল ঠিক আছে, কিন্তু কোন কাজ করার অর্থাৎ ডাকাতি করার আগেই র‍্যাব ওদের বিরুদ্ধে অপারেশন পরিচালনা করে। ওদের পক্ষ হয়ে প্রথম আলো এরকম একটা সহানুভূতি সূচক বক্তব্য দিতে চেস্টা করছে যে র‍্যাব চাইলে চাইলে ওদের সবাইকে জীবিত গ্রেফতার করতে পারত। ওদেরকে নাকি আত্মসমর্পণ করার সূযোগ দেয়া হয়নি। কি সুন্দর মামা বাড়ির আবদার। উনারা অস্ত্র এবং দল্ বল নিয়ে “কাজ” করতে বের হবেন, রাস্তা ঘাটে যেখানে খুশী মানুষের জীবনের সব কেড়ে নিবেন, এমনকি মানুষকে অর্থাৎ তার ভিক্টিমকে কোন কিছু বুঝার আগেই ছুরি মেরে দিবেন অথবা পিস্তল দিয়ে বুক ফুটো করে দিবেন, কিন্তু – র‍্যাব উনাদেরকে দেখলে সিনেমা স্টাইলে আত্মসমর্পণ এর সূযোগ দেবেন । খুব সুন্দর। আর এসব অতি নিম্ন শ্রেণীর বেপোরোয়া লুটেরা, খুনী অথবা ডাকাত দের পক্ষ নিয়ে কিছু সূশীল পন্ডিত অথবা ব্লগার যখন ব্লগে ঝড় তোলেন তখন সেটা আর ও সুন্দর হয় দেখতে। অনেক কমেন্টস আসে, নিজের ব্লগীয় স্ট্যাটাস বাড়ে, আরো কত কি। আমি শুধু প্রশ্ন করি লেখক কে, আপনি বা আপনারা বোধ হয় এখন ও এসব ছিনতাইকারী, ডাকাত দের হাতে পড়েন নি, অথবা আপনার আত্মীয় স্বজন কেউ এদের হাতে প্রান দেয় নি, তাই না ?
আর তাই এত্ত কস্ট করে সেই সূদুর নরসিংদী থেকে প্রত্যক্ষদর্শী খুজে বের করে, আবারো কস্ট করে ব্লগটি লিখতে হল।
লাশ, গুলির চিহ্ন আর মাটিতে থেকে যাওয়া গর্তের মধ্যে আপনি ব্যালিস্টিক তত্ব খুজে পেলেও, নাগরিক জীবনের নিরাপত্তা তত্ব খুজে পাবেন না।
প্রতিটি ক্রস ফায়ার/বা র‍্যাব অপারেশন এর পর পত্রিকা, কিছু ব্লগার, কয়েকটি শুশীল প্রানী এবং অপরাধীদের আত্মীয় স্বজন বলবেন যে, যারা নিহত হল, তারা খুউউউব ভাল ছেলে, তাদের বিরুদ্ধে থানায় কোন অভিযোগ নেই। অর্থাৎ, থানায় পূর্ব অভিযোগ না থাকলেই, একজন ডাকাত বা ছিনতাইকারী ধোয়া তুলসি পাতা হয়ে যাচ্ছেন বা ধোয়া তুলসি পাতা বানিয়ে দেয়া হচ্ছে। তাহলে ব্যপারটা কি দাড়াল? থানায় সকল অপরাধীর নামে আগেই রেকর্ড থাকতে হবে। এমনকি আজ শুক্রবার যে ডাকাত বা ছিনতাইকারী জীবনের প্রথম ডাকাতি বা ছিনতাই করতে যাবেন, তিনি “কাজে” যাবার আগে তিনি নিজে অথবা তার পিতা মাতা থানায় গিয়ে নিজের নামটুকু ছিনতাইকারী অথবা ডাকাত হিসেবে রেকর্ড করিয়ে তারপর “কাজে” বের হবেন।
এই দেশে কয়েক লাখ ডাকাত বা ছিনতাইকারী আছে যাদের নাম পুলিশ এর রেকর্ড এ নেই, তার মানে তারা ডাকাত বা ছিনতাইকারী নয়? আজকাল ঢাকা শহরের অলিতে -গলিতে নানা বয়সের ছিনতাইকারী-ডাকাত ঘুরে বেরায়, সুযোগ পেলে কেড়ে নেয় মানুষের জীবন সহ সব কিছু। তাদের ক’জনের নাম পুলিশের খাতায় আছে? যারা রাস্তায় আমাকে পেলে আমার জীবনের কোন তোয়াক্কা করে না, র‍্যাব এর মত একটি বাহিনী (যাকে বিশেষ দায়িত্ত্ব দেয়া হয়েছে) কেন তাকে সামান্যতম সুযোগ দেবে? সব জায়গায় সমান অধিকার কি প্রযোজ্য? সুতরাং, ক্রস ফায়ার এর মত এন্টি-বায়োটিক এর প্রয়োগ কে আমি সমর্থন করি। আপনাদের ভিন্নমত থাকতেই পারে। ভিন্নমতের পক্ষে (যা সাধারন জনগনের মতের বিপক্ষে) জনমত ও চাইলে গড়ে তুলতে পারেন। কিন্তু তার আগে নিজেকে একটি বার কল্পনায় ঐসব ছিনতাইকারী-ডাকাত দের হাতে ছেড়ে দিয়ে দেখুন তো – মন কি বলে?সূত্র
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই এপ্রিল, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:১৩
২০টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৮


আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×