আসলে মুক্তিযোদ্ধা কোটা টা ভোটের হিসেব নিকেশ থেকে আসে নি। এটা একটা স্ট্রাটেজিক গেম। এর সাথে সরাসরি ভোটের হিসেব নাই।
বাজারের প্রত্যেকটা পন্যের যেমন একটা ট্যাগলাইন থাকে তেমনি রাজনৈতিক দল গুলোর ও একটি দর্শন, স্লোগান থাকতে হয়।
আওয়ামীলীগের বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ যখন বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের কাছে মার খেয়ে যাচ্ছিল তখন তাদের নতুন একটা ট্যাগলাইন দরকার হয়ে পরে। সেটা হচ্ছে মুক্তি যুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি।
এখানে খেয়াল করতে হবে তারা নিজেদের মুক্তি যুদ্ধের দল বা মুক্তিযোদ্ধাদের দল বলে নি। যেহেতু তাদের বাঘা বাঘা নেতারা যারা এই নতুন দর্শনের প্রবাক্তা, তারা যুদ্ধ করেন নি। তারামুক্তি যুদ্ধের ৯ মাস সোনাগাছিতে ঘুরে বেড়িয়েছেন। তারা নিজেদের জাহির করার জন্য অনেক সময় অনেক প্রক্ষাত মুক্তিযোদ্ধাকেও রাজাকার বানিয়ে ফেলেছেন।
তো যেহেতু তারা স্বপক্ষের শক্তি, কিছু তো করতে হবে। কোটা তৎকালীন সময়ে একটা ভাল কার্ড হিসেবে আবির্ভূত হয় সাধারন মুক্তিযোদ্ধাদের সমর্থন পেতে এবং তাদের স্বপক্ষের শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেতে।

সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:০৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




