ভাই আমার লিখার অভ্যাস নাই , ফোনেটিকে লিখি অনেক হরফ লিখতে পারি না তাই বানানে ভুল হওয়া স্বাভাবিক । এক ভাইয়ের লিখাতে কমেন্ট করেছি তা বিচারের জন্য সামুর পাঠকের কাছে তুলে ধরলাম । কেউ যদি বলে নিজে নিজে একটা বিল্ডিং হয়ে গেছে তার নাই কোন মেস্তরি নাই কোন ইন্জিনিয়ার , খোদ আপনা আপনি ইট এসে গেছে , বালি সিমেন্ট সব নিজে নিজে এসে গেছে , নিজে নিজে পালাষ্টার হয়ে গেছে , রং নিজে নিজে হয়ে গেছে , দরজা - জানালা ,লাইট - ফ্যান , সব নিজে নিজে হয়ে গেছে । কেউ বিশ্বাস করবে ? করবে না । আর কেউ যদি বলে খুব জোরে একটা বিষ্পোরণ হয়েছে । এই বিষ্পোরনে বিশাল একটা বিল্ডিং হয়ে গেছে যাতে অত্যাধুনিক সব সুবিদা আছে কেউ মানবে ? মানবে না এগুলো গাজাখোরি কথা । যে কোন জিনিস নিজে নিজে হয় না , তার বানানে ওয়ালা বা স্রষ্টা থাকে।একটা সূই ও নিজে নিজে হয় না । এতো বিশাল পৃথিবী , আকাশ , ( রাতে মনে হয় যেন কেউ আলোক সজ্জা করেছে কে তিনি ? ) পাহাড় - পর্বত , নদী - নালা , বন - জংগল , বিশাল সমুদ্র , মানুষের উপযোগী করে সৃষ্ট সব নিজে নিজে হয়ে গেছে ? আসম্ভব ? অবশ্যেই তার সৃষ্টিকর্তা রয়েছে যুক্তি তাই বলে । যুক্তি বা আকল এটা ও বলে সৃষ্টিকর্তা একের অধিক হতে পারে না , হলে পরষ্পর মতভেদের সৃষ্টি হবে । আর তাতে পৃথিবীই ধংস হয়ে যাবে । কেউ বলবে সূর্যকে পূর্বদিক হতে উঠাবো কেউ বলবে উত্তর দিক হতে উঠাবো । এভাবে পৃথিবী ধংস হয়ে যাবে । যুক্তি আমাদের একথা বলে সৃষ্টিকর্তা আছে তিনি একজন । তবে কে সেই সৃষ্টিকর্তা ? তাকে নিজে স্বয়ং এসে আমাদের বলতে হবে আমিই তোমাদের সৃষ্টিকর্তা , বা তার পকখো হতে প্রতিনিধি আসতে হবে বা প্রমাণ আসতে হবে । তিনি অতি মহান তার কোন তোলনা হয় না , ইহকালে তাকে দেখা কারো পকখে সম্ভব না । তিনিই মানব জাতির প্রতি দয়া করে যুগে যুগে মানব জাতি হতে নাবী - রাসূল পাঠিয়েছেন , তারা মানব জাতিকে একথাই বলেছেন একমাত্র আল্লাহর ইবাদত করো তিনি ছাড়া তোমাদের অন্যেকোন সত্যে মাবুদ নাই । তারা মিথ্যায় অভ্যস্হ ছিলেননা , নিজের ব্যক্তি সার্থে মিথ্যা বলতেন না । আল্লহর ব্যাপারে এসে মিথ্যা বলবেন ? অসম্ভব । ইতিহাস সাকখি যুগে যুগে যারা নাবী - রাসূলদের কথা মান্য করেছে তারা মুক্তি পেয়েছে , যারা অমান্য করেছে তারা ভয়ানক পরিনতির সম্মুখীন হয়েছে (ধ্বংস হয়েছে ) . যেমন নুহ সম্প্রদায় , লুত সম্প্রদায় , আদ সম্প্রদায় প্রমুখ । মুহাম্মদ (সাঃ)হলেন আল্লাহর লাষ্ট এন্ড ফাইনাল রাসূল , তিনি ও মানুষকে একথা বলেছেন একমাত্র আল্লাহর ইবাদত করো আল্লাহ ছাড়া তোমাদের অন্যে কোন সত্যে মাবুদ নাই । ততকালীন আরবের লোকেরা মূর্তি পূজা করতো , তারা ছিল এক অসভ্য বর্বর জাতি , খুন-খারাবি তাদের কাছে সাধারণ ব্যাপার ছিল , তিনি যখন মানুষের কাছে বললেন তোমরা লা ইলাহা ইল্লাললাহ বল , ভাল কাজ করো অন্যায় হতে বিরত থাক ( কন্যা শিশুকে জীবিত হত্যা করো না ) তখন আরবের বর্বর জাতি তার উপর খেপে গেল , তারা তাকে মারতে উদ্যত হলো । তাদের একথা অজানা ছিলনা যে , তার মত ভাল লোক আর হয়না । তার উপাধি ছিল আল আমীন বা বিশ্বাসী । আরবের কাফেররা বলল আপনি কেন আমাদের মাবুদ গুলোর বিরুদ্বে বলছেন যাদের আমাদের বাপ - দাদা চৌদ্দগোষঠী ইবাদত করতো , আপনার প্রতি আমাদের আস্হা বিশ্বাস রয়েছে আপনি মিথ্যা বলার মত লোক নন , পূর্বে আপনার কাছে কখনো মিথ্যা কথা শুনিনি । আপনি কি চান বলুন আপনি যদি চান আরবের রাজা হতেন আমরা আপনাকে আরবের রাজা বানিয়ে দিবো আপনার উপর আমাদের আস্হা বিশ্বাস রয়েছে , আর যদি চান আরবের মধো সবচাইতে ধনী হতে আমরা সবাই মাল উঠিয়ে আপনাকে ধনী বানিয়ে দিব , আর যদি চান আরবের সুন্দরী নারীদের বিবাহ করতে আমরা আপনার প্রস্তাবে রাজি । এর জবাবে রাসূলুল্লাহ(সাঃ)বলেছেন তোমরা যদি আমার এক হাতে সূর্য অন্যে হাতে চন্দ্র দাও ( অসম্ভব জিনিস) তবু ও আমি তোমাদের কাছে তাই চাইনা , আমি চাই তোমরা একথা বলবে লা ইলাহা ইল্লাললাহ ( আল্লাহ ছাড়া অন্যে কোন সত্যে মাবুদ নাই ) তিনি যদি মিথ্যাবাদী হতেন সেদিন রাজা হওয়ার প্রস্তাব গ্রহন করে নিতেন । বলতেন বিশাল আরবের রাজা হয়ে যাব আর কিসের দরকার অথচ তিনি ছিলেন আল্লাহর নাবী সকল লোভ লালসার উর্ধ্বে । কোন সন্দেহ নাই তিনি যে আল্লাহর নাবী পৃথিবীর ৪৫% পার্সেন্ট লোক পরম উৎসাহে ইসলামকে গ্রহন করে নিয়েছেন কাউকে জোর করে তরবারি উঠিয়ে ইসলামে আনা হয়নি । কমিউনিস্টরা ধর্মের যে সব দুর্বল দিকগুলোর সমালোচনা করে তা হিন্দু ধর্মের মধো রয়েছে । হিন্দু ধর্মের তুলনায় কমিউনিজম ভাল ঠিকই কিন্তু কমিউনিজমের তুলনায় ইসলাম শত সহস্র গুণ ভাল । পৃথিবীর যে সকল দেশে কমিউনিস্ট শাসন রয়েছে দেখুন মানবতা সেখানে লুনঠিত ।দেখুন ভিয়েতনামের অবস্হা , দেখুন চায়নার অবস্হা (আমার এক সহকর্মি রয়েছে চায়নার তার সাথে তাদের কলোনিতে গিয়েছিলাম ধর্মহীন লোকদের নিজচোখে দেখেছি পশুর মত জীবন তাদের একই বাথরুমে নারী - পুরুষ যা যা করছে নিজ চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা যায়না ) রাশিয়ার অবস্হা দেখুন পৃথিবীর সব চেয়ে ধনী রাষ্ট্রটি আজ কমিউনিজমের কারনে ভিকখুকে (ঋণের , দূর্নীতির কারনে ) পরিণত হয়েছে । আর ধর্মহীন নর পশুরা (কমিউনিস্টরা) আফগানিস্তানে বর্বরতাকে ও হার মানিয়েছে । নামাযেরত মুসুল্লিদের ব্যাশপায়ারে হত্যা করেছে।নারী - শিশুদের কে জ্বালিয়ে তারা উল্লাস করতো । পুরো আফগানকে তারা করেছে মাইনের দেশে । তারা আফগান শিশুদের ধ্বংস করার জন্য বানিয়েছে খেলনা মাইন নিষ্পাপ অবুঝ বাচ্চারা রাস্তা হতে খেলনা মনে কুড়িয়ে নিত সাথে সাথে প্রবল বিষ্পোরনে তাদের দেহ চিন্ন - বিচিন্ন হয়ে যেতো । আফগানিরা যখন কমিউনিস্টদের নির্যাতনে কান্না করতো তখন তারা ঠাট্রা করে বলতো তোদের খোদাকে ডাক আর বলতো খোদা নাই আমরাই ( কমিউনিস্টরা ) খোদা ।আল্লাহদৌহীদের অহংকার মাটিতে মিশে গেছে তাদের শত শত সেনা ইউনিট আফগানের মাটিতে হারিয়ে গেছে । দুনিয়ার সামনে আপমানিত হয়ে সামান্য কিছু সেনা নিয়ে তারা রাশিয়াতে ফেরত আসছে । আর কমিউনিস্টদের কাছে কি প্রমান আছে সৃষ্টিকর্তা নেই তারা শুধু ধারনার উপর মানুষকে বিব্রান্ত করছে । আমি এক কমিউনিস্টকে প্রশ্ন করেছি আপনি যখন বিপদে অসহায় পড়েন তখন কাকে ডাকেন ? উত্তরে বললো আমি অজানা একজনকে ডাকি আমি বললাম তিনিই আপনার আমার সৃষ্টিকর্তা । তিনিই মানুষকে বানিয়েছেন তার ইবাদত করার জন্য । তিনিই আকাশ পৃথিবীর মালিক । তিনিই মানুষকে দুটি পথ দিয়েছে (একটি ভাল অন্যেটি মন্দ ) এবং তাকে যে কোন একটি গ্রহন করার জন্য স্বাধীনতা দিয়েছেন । যে ভাল করবে তার বদলা তাকে দিতে হবে যে মন্দ করবে তার বদলা ও তাকে দিতে হবে এটাই ইনসাফ এটাই ন্যায় বিচার । এর জন্য দরকার চিরস্হায়ী এক জীবন এটাই পরকালীন জীবন ।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১১ রাত ১:০৪