somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কে সেই জন যিনি আকাশ ও পৃথিবীর মালিক?

১৫ ই অক্টোবর, ২০১০ রাত ৯:৩৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ভাই আমার লিখার অভ্যাস নাই , ফোনেটিকে লিখি অনেক হরফ লিখতে পারি না তাই বানানে ভুল হওয়া স্বাভাবিক । এক ভাইয়ের লিখাতে কমেন্ট করেছি তা বিচারের জন্য সামুর পাঠকের কাছে তুলে ধরলাম । কেউ যদি বলে নিজে নিজে একটা বিল্ডিং হয়ে গেছে তার নাই কোন মেস্তরি নাই কোন ইন্জিনিয়ার , খোদ আপনা আপনি ইট এসে গেছে , বালি সিমেন্ট সব নিজে নিজে এসে গেছে , নিজে নিজে পালাষ্টার হয়ে গেছে , রং নিজে নিজে হয়ে গেছে , দরজা - জানালা ,লাইট - ফ্যান , সব নিজে নিজে হয়ে গেছে । কেউ বিশ্বাস করবে ? করবে না । আর কেউ যদি বলে খুব জোরে একটা বিষ্পোরণ হয়েছে । এই বিষ্পোরনে বিশাল একটা বিল্ডিং হয়ে গেছে যাতে অত্যাধুনিক সব সুবিদা আছে কেউ মানবে ? মানবে না এগুলো গাজাখোরি কথা । যে কোন জিনিস নিজে নিজে হয় না , তার বানানে ওয়ালা বা স্রষ্টা থাকে।একটা সূই ও নিজে নিজে হয় না । এতো বিশাল পৃথিবী , আকাশ , ( রাতে মনে হয় যেন কেউ আলোক সজ্জা করেছে কে তিনি ? ) পাহাড় - পর্বত , নদী - নালা , বন - জংগল , বিশাল সমুদ্র , মানুষের উপযোগী করে সৃষ্ট সব নিজে নিজে হয়ে গেছে ? আসম্ভব ? অবশ্যেই তার সৃষ্টিকর্তা রয়েছে যুক্তি তাই বলে । যুক্তি বা আকল এটা ও বলে সৃষ্টিকর্তা একের অধিক হতে পারে না , হলে পরষ্পর মতভেদের সৃষ্টি হবে । আর তাতে পৃথিবীই ধংস হয়ে যাবে । কেউ বলবে সূর্যকে পূর্বদিক হতে উঠাবো কেউ বলবে উত্তর দিক হতে উঠাবো । এভাবে পৃথিবী ধংস হয়ে যাবে । যুক্তি আমাদের একথা বলে সৃষ্টিকর্তা আছে তিনি একজন । তবে কে সেই সৃষ্টিকর্তা ? তাকে নিজে স্বয়ং এসে আমাদের বলতে হবে আমিই তোমাদের সৃষ্টিকর্তা , বা তার পকখো হতে প্রতিনিধি আসতে হবে বা প্রমাণ আসতে হবে । তিনি অতি মহান তার কোন তোলনা হয় না , ইহকালে তাকে দেখা কারো পকখে সম্ভব না । তিনিই মানব জাতির প্রতি দয়া করে যুগে যুগে মানব জাতি হতে নাবী - রাসূল পাঠিয়েছেন , তারা মানব জাতিকে একথাই বলেছেন একমাত্র আল্লাহর ইবাদত করো তিনি ছাড়া তোমাদের অন্যেকোন সত্যে মাবুদ নাই । তারা মিথ্যায় অভ্যস্হ ছিলেননা , নিজের ব্যক্তি সার্থে মিথ্যা বলতেন না । আল্লহর ব্যাপারে এসে মিথ্যা বলবেন ? অসম্ভব । ইতিহাস সাকখি যুগে যুগে যারা নাবী - রাসূলদের কথা মান্য করেছে তারা মুক্তি পেয়েছে , যারা অমান্য করেছে তারা ভয়ানক পরিনতির সম্মুখীন হয়েছে (ধ্বংস হয়েছে ) . যেমন নুহ সম্প্রদায় , লুত সম্প্রদায় , আদ সম্প্রদায় প্রমুখ । মুহাম্মদ (সাঃ)হলেন আল্লাহর লাষ্ট এন্ড ফাইনাল রাসূল , তিনি ও মানুষকে একথা বলেছেন একমাত্র আল্লাহর ইবাদত করো আল্লাহ ছাড়া তোমাদের অন্যে কোন সত্যে মাবুদ নাই । ততকালীন আরবের লোকেরা মূর্তি পূজা করতো , তারা ছিল এক অসভ্য বর্বর জাতি , খুন-খারাবি তাদের কাছে সাধারণ ব্যাপার ছিল , তিনি যখন মানুষের কাছে বললেন তোমরা লা ইলাহা ইল্লাললাহ বল , ভাল কাজ করো অন্যায় হতে বিরত থাক ( কন্যা শিশুকে জীবিত হত্যা করো না ) তখন আরবের বর্বর জাতি তার উপর খেপে গেল , তারা তাকে মারতে উদ্যত হলো । তাদের একথা অজানা ছিলনা যে , তার মত ভাল লোক আর হয়না । তার উপাধি ছিল আল আমীন বা বিশ্বাসী । আরবের কাফেররা বলল আপনি কেন আমাদের মাবুদ গুলোর বিরুদ্বে বলছেন যাদের আমাদের বাপ - দাদা চৌদ্দগোষঠী ইবাদত করতো , আপনার প্রতি আমাদের আস্হা বিশ্বাস রয়েছে আপনি মিথ্যা বলার মত লোক নন , পূর্বে আপনার কাছে কখনো মিথ্যা কথা শুনিনি । আপনি কি চান বলুন আপনি যদি চান আরবের রাজা হতেন আমরা আপনাকে আরবের রাজা বানিয়ে দিবো আপনার উপর আমাদের আস্হা বিশ্বাস রয়েছে , আর যদি চান আরবের মধো সবচাইতে ধনী হতে আমরা সবাই মাল উঠিয়ে আপনাকে ধনী বানিয়ে দিব , আর যদি চান আরবের সুন্দরী নারীদের বিবাহ করতে আমরা আপনার প্রস্তাবে রাজি । এর জবাবে রাসূলুল্লাহ(সাঃ)বলেছেন তোমরা যদি আমার এক হাতে সূর্য অন্যে হাতে চন্দ্র দাও ( অসম্ভব জিনিস) তবু ও আমি তোমাদের কাছে তাই চাইনা , আমি চাই তোমরা একথা বলবে লা ইলাহা ইল্লাললাহ ( আল্লাহ ছাড়া অন্যে কোন সত্যে মাবুদ নাই ) তিনি যদি মিথ্যাবাদী হতেন সেদিন রাজা হওয়ার প্রস্তাব গ্রহন করে নিতেন । বলতেন বিশাল আরবের রাজা হয়ে যাব আর কিসের দরকার অথচ তিনি ছিলেন আল্লাহর নাবী সকল লোভ লালসার উর্ধ্বে । কোন সন্দেহ নাই তিনি যে আল্লাহর নাবী পৃথিবীর ৪৫% পার্সেন্ট লোক পরম উৎসাহে ইসলামকে গ্রহন করে নিয়েছেন কাউকে জোর করে তরবারি উঠিয়ে ইসলামে আনা হয়নি । কমিউনিস্টরা ধর্মের যে সব দুর্বল দিকগুলোর সমালোচনা করে তা হিন্দু ধর্মের মধো রয়েছে । হিন্দু ধর্মের তুলনায় কমিউনিজম ভাল ঠিকই কিন্তু কমিউনিজমের তুলনায় ইসলাম শত সহস্র গুণ ভাল । পৃথিবীর যে সকল দেশে কমিউনিস্ট শাসন রয়েছে দেখুন মানবতা সেখানে লুনঠিত ।দেখুন ভিয়েতনামের অবস্হা , দেখুন চায়নার অবস্হা (আমার এক সহকর্মি রয়েছে চায়নার তার সাথে তাদের কলোনিতে গিয়েছিলাম ধর্মহীন লোকদের নিজচোখে দেখেছি পশুর মত জীবন তাদের একই বাথরুমে নারী - পুরুষ যা যা করছে নিজ চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা যায়না ) রাশিয়ার অবস্হা দেখুন পৃথিবীর সব চেয়ে ধনী রাষ্ট্রটি আজ কমিউনিজমের কারনে ভিকখুকে (ঋণের , দূর্নীতির কারনে ) পরিণত হয়েছে । আর ধর্মহীন নর পশুরা (কমিউনিস্টরা) আফগানিস্তানে বর্বরতাকে ও হার মানিয়েছে । নামাযেরত মুসুল্লিদের ব্যাশপায়ারে হত্যা করেছে।নারী - শিশুদের কে জ্বালিয়ে তারা উল্লাস করতো । পুরো আফগানকে তারা করেছে মাইনের দেশে । তারা আফগান শিশুদের ধ্বংস করার জন্য বানিয়েছে খেলনা মাইন নিষ্পাপ অবুঝ বাচ্চারা রাস্তা হতে খেলনা মনে কুড়িয়ে নিত সাথে সাথে প্রবল বিষ্পোরনে তাদের দেহ চিন্ন - বিচিন্ন হয়ে যেতো । আফগানিরা যখন কমিউনিস্টদের নির্যাতনে কান্না করতো তখন তারা ঠাট্রা করে বলতো তোদের খোদাকে ডাক আর বলতো খোদা নাই আমরাই ( কমিউনিস্টরা ) খোদা ।আল্লাহদৌহীদের অহংকার মাটিতে মিশে গেছে তাদের শত শত সেনা ইউনিট আফগানের মাটিতে হারিয়ে গেছে । দুনিয়ার সামনে আপমানিত হয়ে সামান্য কিছু সেনা নিয়ে তারা রাশিয়াতে ফেরত আসছে । আর কমিউনিস্টদের কাছে কি প্রমান আছে সৃষ্টিকর্তা নেই তারা শুধু ধারনার উপর মানুষকে বিব্রান্ত করছে । আমি এক কমিউনিস্টকে প্রশ্ন করেছি আপনি যখন বিপদে অসহায় পড়েন তখন কাকে ডাকেন ? উত্তরে বললো আমি অজানা একজনকে ডাকি আমি বললাম তিনিই আপনার আমার সৃষ্টিকর্তা । তিনিই মানুষকে বানিয়েছেন তার ইবাদত করার জন্য । তিনিই আকাশ পৃথিবীর মালিক । তিনিই মানুষকে দুটি পথ দিয়েছে (একটি ভাল অন্যেটি মন্দ ) এবং তাকে যে কোন একটি গ্রহন করার জন্য স্বাধীনতা দিয়েছেন । যে ভাল করবে তার বদলা তাকে দিতে হবে যে মন্দ করবে তার বদলা ও তাকে দিতে হবে এটাই ইনসাফ এটাই ন্যায় বিচার । এর জন্য দরকার চিরস্হায়ী এক জীবন এটাই পরকালীন জীবন ।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১১ রাত ১:০৪
১৫টি মন্তব্য ১৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি করাটা প্রফেসরদেরই ভালো মানায়

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৩


অত্র অঞ্চলে প্রতিটা সিভিতে আপনারা একটা কথা লেখা দেখবেন, যে আবেদনকারী ব্যক্তির বিশেষ গুণ হলো “সততা ও কঠোর পরিশ্রম”। এর মানে তারা বুঝাতে চায় যে তারা টাকা পয়সা চুরি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল দ্বৈরথঃ পানি কতোদূর গড়াবে??

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৬



সারা বিশ্বের খবরাখবর যারা রাখে, তাদের সবাই মোটামুটি জানে যে গত পহেলা এপ্রিল ইজরায়েল ইরানকে ''এপ্রিল ফুল'' দিবসের উপহার দেয়ার নিমিত্তে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×