
তখন ব্যাপারটি ব্যাপক আলোচিত হয়েছিল। গত বছরের ২২ নভেম্বর কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারায় এক বিয়ের অনুষ্ঠানে রাতে আনন্দ করতে একসময় তারা অতিরিক্ত মদ্যপান করে ফেলে। ফলশ্রুতিতে তাদের সবাই অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের(কুয়েট) ছাত্রলীগ সভাপতি মেহেদীসহ ২ জন মারা যায়। এমন অনৈতিক কাজ করতে গিয়ে মেহেদীর মারা যাবার এক বছর পর হটাত কুয়েট ছাত্রলীগ চলতি বছর অক্টোবর মাসের শেষদিকে ক্যাম্পাসের খান জাহান আলী হলের সামনে স্মরণে স্মৃতিফলক স্থাপন করে। আর গতকাল সেই স্মৃতিফলকটি আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচন খুলনা সিটি মেয়র ও আওয়ামী লীগ খুলনা মহানগর শাখার সভাপতি তালুকদার আবদুল খালেক এবং কুয়েট ভিসি প্রফেসর মো: আলমগীর।
অবাক হচ্ছি কারন একজন প্রবীণ রাজনীতিবিদ এবং একজন সম্মানিত শিক্ষকের নীতি-নৈতিকতার কি চরম অধঃপতন হলেই কেবল এমন কাজ করা সম্ভব হয়। তাহলে সামনে যদি পরবর্তি সভাপতি এমন কাজে মারা যায় সেক্ষেত্রে ফলক হতে থাকবে আর মেয়র সাহেবরা এসে প্রশংসা করবে এমন কাজে?
অবশ্য এমন কাজে ফুঁসে উঠেছে সাধারণ শিক্ষক সমাজ। তারা গত ১৭ নভেম্বরে সাধারণ সভা করে স্মৃতিফলকটি ভেঙে ফেলার দাবিতে আন্দোলন কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নেন। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মঙ্গলবার থেকে সকল শিক্ষক ক্লাস ও পরীক্ষা গ্রহণ ব্যতীত সকল প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন থেকে বিরত থাকার কর্মসূচি শুরু করেছেন। এছাড়া সাদ্ধারন খুলনাবাসী জানিয়েছেন তীব্র প্রতিবাদ, কারন এ অঞ্চলের পীর-আউলিয়া সর্দার হজরত খান জাহান আলী(রঃ) এর নামে স্থাপিত একটি হলের সামনে মদ্যপানে মারা যাওয়া একজনের ফলক থাকতে পারেনা।
**ছবি- বামে ফলক উন্মোচন শেষে ভন্ডামী করছে খুলনা মেয়র এবং কুয়েট ভিসি(গোল মার্কড) এবং ডানে ফলকটি।
সুত্র- View this link

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





