
টিভি, পত্রিকা, অনলাইন নিউজ, ফেসবুক সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম যে জায়গায় যাই না কেন সবখানে যে বিষয়ে আলোকপাত করা হয় তা হল সংখ্যালঘু নির্যাতন। এই বিষয় এতই প্রকট হচ্ছে যে সমাজে এই বিষয়টা স্বাভাবিক হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এই স্পর্শকাতর বিষয়টির দিকে সরকারের যে সুদৃষ্টি আছে তা আমার বোধগম্য হচ্ছে না। সরকার এই ব্যাপারে সম্পূর্ণ উদাসীন। লোক দেখানো আইন প্রয়োগ চাই না। চাই সমন্বিত উদ্যোগ সেই সাথে প্রয়োজনীয় জনমত। সবাইকে এক হয়ে এই অন্যায়ের প্রতিবাত করতে হবে।
প্রথম আলোতে পড়লাম ঝিনাইদহের নলদাঙ্গায় পুরোহিত আনন্দ গোপাল গাঙ্গুলি হত্যার পর সেই এলাকার মানুষ আতঙ্কে দিনযাপন করছে। দিনের বেলায়ও মানুষ একলা চলতে ভয় পাচ্ছে। হিন্দু-অধ্যুষিত এই এলাকায় ২০টির মতো ছোট বড় মন্দিরে পূজা-অর্চনা চলছে সীমিত ভাবে। আবার ১০ জুন জামাইষষ্ঠীর কোন পূজা সেখানে হয় নি।
এটি একটি ঘটনা। সারা বাংলাদেশে এমন আরও অনেক ঘটনা ঘটছে। কিন্তু আর কতদিন? এটা সহ্য করার মতো কোন ঘটনা নয়।
দেশ মদিনা-সনদ, সংবিধান, ধর্ম-নিরপেক্ষতা, সাম্প্রদায়িক যে নিয়ম অনুযায়ী চলুক না কেন, সংখ্যালঘুদের আশ্রয় দেওয়া আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্যের মধ্যে পরে।
কিছু মানুষকে বলতে শুনি এই সব স্বাভাবিক ঘটনা। আপনারা কোথায় এটা পেলেন? পবিত্র কুরআন ও হাদিসে স্পষ্ট উল্লেখ আছে তারা আমাদের আমানত। তাদের কষ্ট নয় বরং তারা যেন ভালো থাকে আমাদের সেই ক্ষেত্র তৈরি করতে হবে।
আল্লাহ্-তায়ালা সুরা আল-কাফিরুনের শেষ আয়াতে বলেছেন, হে নবী আপনি বলুন, তোমাদের কর্ম ও কর্মফল তোমাদের জন্য এবং আমার কর্ম ও কর্মফল আমার জন্য।
আসুন আমরা সবাই মিলে এগিয়ে আসি। অল্প কিছু মানুষের জন্য সংখ্যালঘু নির্যাতন হবে তা কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না। কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। আসুন আমরা সবাই মিলে সোচ্চার হই। তারা অন্য ধর্মের হলেও তারা আমাদের আপনজন। মানবিক দিক বিবেচনা করেও আমাদের এগিয়ে আসা উচিৎ।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জুন, ২০১৬ রাত ৮:৪৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



