আমি যেই অফিসে চাকরি করি ওইখানকার কিছু বন্ধু সচলায়তন সম্পর্কে বেশ ভালো বললো। বললো যে ওইখানে সীরিয়াস ধরনের লেখালেখি হয়। সেই রকম লেখালেখির প্রতি আমার আকর্ষণ কোনো কালেই নাই। আমি সামহোয়াররে সচলায়তনের বিরুদ্ধে খাড়া কইরা লেখা লেখতে চাইতেছি না। তবে তারা এইটাও বলছে ওইখানে সামহোয়ারের মত ফালতু কিছু নাই। সবাই বেশ সীরিয়াস। হিঃ হিঃ। খুবই গুড কথা।
তো আমি মাঝে মাঝে ভাবি সচলায়তনে যে লেখমু না কইলাম এইটা কি ঠিক হইল। কিছু সচেতন, লেখক না পাই, পাঠক তো পাওন যাইতই। তো সেই কারণে মাঝে মাঝে সচলায়তনে ঢু দিয়া দেখি আমার বন্ধুরা বীরদর্পে গল্প লেখতে আছে। কোনো প্রশ্ন নাই।
যাই হউক, আইজকা ওনাদের নীতিমালা পইড়াও আনন্দ পাইছি। শেয়ার করতেছি। এই পোস্টরে ওনাদের বারান্দায়ও শুকাইতে দিয়া আসা দরকার। যারা দুই স্থলে আছেন এইটারে ঐখানে দিয়েন।
( সচলায়তনের নীতিমালা থিকা কিছু উদ্ধার করি)
হাসি ১. সচলায়তনের ব্লগারদের মূল্যবোধই সচলায়তনের নীতিমালা। (প্রাসঙ্গিক বক্তব্য ১)
হাসি ২. সচলায়তনে প্রকাশিত যাবতীয় পোস্ট ও কনটেন্ট সংশ্লিষ্ট ব্লগারের বক্তব্য প্রতিফলিত করে মাত্র। কোন ব্লগারের বক্তব্যের জন্য সচলায়তন কর্তৃপক্ষকে কোনভাবে দায়ী করা যাবে না। (প্রাসঙ্গিক বক্তব্য ৪)
ব্লগারদের মূল্যবোধই যদি নীতিমালা হয় তাইলে ব্লগারের বক্তব্যের জন্য সচলায়তন কর্তৃপক্ষকে কেন দায়ী করা যাবে না? এই রকম হুদাহুদাই নীতিমালায় আস্থা রাইখা আমার বন্ধুরা ওইখানে ঢুকল কেমনে! তার উপরে ওনারা একই সঙ্গে (১.) দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যে শ্রদ্ধাশীল। আবার (২.) আবহমান বাংলার সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল।
যেই রকম অনেকে আবহমান আর্য সংস্কৃতির ধ্বজা ধরছিলেন এনারাও সেই মত আবহমান বাংলার ধরছেন। পাঠ্যপুস্তকে এই রকম আবহমান বাংলার কথা শোনা যায়। দেশপ্রেমিক এই প্রতিষ্ঠানে দম বন্ধ হইয়া মারা যাওনের কথা কোমলমতি বশংবদদের।
"প্রকাশ ভঙ্গি বিনীত না হলে তা অসদাচরন হিসেবে গন্য হতে পারে।" নিয়মের পরিপন্থী হইতে পারে, অসদাচরণ কীভাবে হয়? এইটা কি স্কুল নিকি কোনো? তবে মনে হইল স্কুলই তো। যেই রকম সফট সবাই। কোমলসম্ভার।
এই ক্ষুদ্র নৃপতিগোষ্ঠীর বাগানবাড়ি সংস্কৃতির সোজা সোজা খাম্বায় পরিকীর্ণ হয়ে উঠুক এই কামনা করি। কামনা না করলেও তা হবে। জয় বাংলা।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই অক্টোবর, ২০০৭ দুপুর ১২:২৮