তখন মানব জাতি সৃষ্টির সুবর্ণ সময়।দেবতারা প্রথমে এই ভার অর্পন করেছিলেন এপিমিথিউস উপরে। যিনি ছিলেন অপরিনামদর্শী।নিয়ত অনুসরন করতেন প্রথম প্রনোদনা এবং তারপরে পালটে ফেলতেন তার মন। এই ক্ষেত্রেও তিনি তাই করলেন। মানব সৃষ্টির পুর্বেই তিনি সকল সুষমা দান করলেন জন্তু জানোয়ারদের, শক্তি ক্ষিপ্রতা, সাহস এবং ধুর্ততা, পশম এবং পালক, ডানা এবং এরকম সবকিছু।এবং যথারীতি তিনি এজন্য দুখিত হলেন, এবং এই ভার পেশ করলেন তার ভাই প্রমিথিউস এর উপর। প্রমিথিউস ছিলেন মহাজ্ঞানী, এমনকি দেবতাদের চেয়েও জ্ঞানী। তিনি চলে গেলেন সুর্যের কাছে, যেখানে তিনি প্রজ্জলিত করলেন একটি অগ্নিশিখা এবং নিয়ে এলেন অগ্নি। যা অন্য কিছু থেকে মানুষ কে দিল আলাদা বিশেষ কিছু।
প্রমিথিউস সর্বদা চেয়েছিলেন মানব জাতির জন্য কিছু করতে। বলাই বাহুল্য তখনও নারী জাতির আবির্ভাব কিন্তু হয়নি। প্রমিথিউস মানব জাতির জন্য শুধু আগুন ই চুরে করলেন না, তিনি এমন ব্যাবস্থা করলেন যেন দেবতার উদ্দেশ্য দেয়া পশুর অংশ থেকে মানুষ সর্বোত্তম অংশটুকু তার নিজের করে নিতে পারে। তিনি একটি বিশাল ষাড় জবাই করলেন এবং এর মাঝে ভালো অংশটুকু তিনি আচ্ছাদনে লুকিয়ে রাখলেন, এগুলোর উপর নাড়িভুড়ি স্তুপিকৃত করে আরো আড়াল করে ফেললেন। এই স্তুপের পাশে তিনি স্থাপন করলেন অস্থিসমুহ এর আরো একটি স্তুপ, এবং আচ্ছাদিত হলো উজ্জ্বল চর্বি দিয়ে। জিউসকে এই দুই থেকে তার জন্য নির্বাচন করে নিতে বলা হলে, তিনি যথারীতি ভুল নির্বাচন করলেন। কিন্তু যেহেতু তিনি পছন্দ করে ফেলেছিলেন, তাই তাকে তা মেনে চলতেই হল।
কিন্তু মানুষের পিতা, দেবতাদের পিতা এই অপমান সহ্য করবার পাত্র ছিলেন না।তিনি অঙ্গিকার করলেন মানব জাতি ও তার বন্ধুটির উপর প্রতিশোধ নিবার। তিনি মানুষের জন্য সৃষ্টি করলেন এক অতি অশুভ, এক স্নিগ্ধ এবং মনোহর সৃস্টি, এক সলাজ কুমারীর আদলে, এবং সকল দেবতা তাকে দিল উপহার সামগ্রী, রুপালী পোশাক পরিচ্ছদ এবং কারুকার্যময় অবগুন্ঠন, যা দেখতে ছিল বিস্ময় এবং প্রস্ফুটমান ফুলের উজ্জ্বল মালা এবং একটি সোনার মুকুট, যা থেকে বিচ্ছুরিত হচ্ছিল অপরুপ সৌন্দর্য। তারা তাকে যে সব উপহার দিল, সেজন্য তার নাম দিল প্যান্ডোরা, যার অর্থ হলো সকল উপহারের সম্মেলন।যখন এই সুন্দর সর্বনাশটি জিউস বাইরে নিয়ে এলেন এবং বিস্ময়ে ভরে গেল দেবতা এবং পুরুষদের দৃস্টি।আর বাকি গুলো নাই বলি।
গ্রীক পুরান অনুযায়ী নারীরা যেভাবে সৃষ্টি হল
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
কম্বলটা যেনো উষ্ণ হায়

এখন কবিতার সময় কঠিন মুহূর্ত-
এতো কবিতা এসে ছুঁয়ে যায় যায় ভাব
তবু কবির অনুরাগ বড়- কঠিন চোখ;
কলম খাতাতে আলিঙ্গন শোকাহত-
জল শূন্য উঠন বরাবর স্মৃতির রাস্তায়
বাঁধ ভেঙ্গে হেসে ওঠে, আলোকিত সূর্য;
অথচ শীতের... ...বাকিটুকু পড়ুন
ইউনুস সাহেবকে আরো পা্ঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চাই।

আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি পুরো ১৫ মাস ধরেই ছিলো। মব করে মানুষ হত্যা, গুলি করে হত্যা, পিটিয়ে মারা, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারা, পুলিশকে দূর্বল করে রাখা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন
হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...
হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

হ্যাঁ, সত্যিই, হাদির চিরবিদায় নিয়ে চলে যাওয়ার এই মুহূর্তটিতেই তার খুনি কিন্তু হেসে যাচ্ছে ভারতে। ক্রমাগত হাসি।... ...বাকিটুকু পড়ুন
'জুলাই যোদ্ধারা' কার বিপক্ষে যুদ্ধ করলো, হ্তাহতের পরিমাণ কত?

সর্বশেষ আমেরিকান ক্যু'কে অনেক ব্লগার "জুলাই বিপ্লব" ও তাতে যারা যুদ্ধ করেছে, তাদেরকে "জুলাই যোদ্ধা" ডাকছে; জুলাই যোদ্ধাদের প্রতিপক্ষ ছিলো পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, ছাত্রলীগ; জুলাই বিপ্লবে টোটেল হতাহতের... ...বাকিটুকু পড়ুন
হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?
হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?
হাদিকে মারল জামাত/শিবির, খুনি নাকি ছাত্রলীগের লুংগির নীচে থাকা শিবির ক্যাডার, ডাকাতি করছিল ছেড়ে আনলো জামাতি আইনজীবি , কয়েকদিন হাদির সাথে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।