somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রাজীব নুর
আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

আমি তোমাকে ভালোবাসি- তার মানে আমি তোমার সাথে সেক্স করতে চাই

২১ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

তুমি সখী, ডুবে যাবে মুহূর্তেই রোমহর্ষে — অনিবার অরুণের ম্লানে
জানি আমি; প্রেম যে তবুও প্রেম; স্বপ্ন নিয়ে বেঁচে রবে, বাঁচিতে সে জানে।
এমন গভীর করে পেয়েছি কি? প্রেম যে নক্ষত্র আর নক্ষত্রের গান,
প্রাণ যে ব্যাকুল রাত্রি প্রান্তরের গাঢ় নীল অমাবস্যায় –

এযুগে বিয়ের আগেই ছেলে-মেয়েরা শারীরিক সম্পর্ক করতে আগ্রহী। এর কারণ কি ? জৈবিক এবং মানসিক শান্তি ? ছেলেরা যে মেয়েদের সেক্স করার জন্য জোর করে তা কিন্তু নয় । মেয়েরা নিজে থেকেই ডাকে। কিন্তু আমার প্রশ্ন বিয়ের আগে কেন ডাকে ? পরে যদি ঐ ছেলেটির সাথে মেয়েটির বিয়ে না হয় ! প্রেম ভালোবাসা হওয়ার পর- ছেলেরাই মেয়েদের সাথে বেশী খারপ ব্যবহার করে থাকে। মেয়েদের সহ্য করার ক্ষমতা অনেক। নারী-পুরুষের সম্পর্ক, বিয়ের আগে বা পরে- সমাজ এবং পরিবারের অপর অনেক প্রভাব বিস্তার করে। প্রেম ভালোবাসার সম্পর্ক কে দার্শনিক যুক্তি তর্ক ও বৈজ্ঞানিক পর্যবেক্ষনের সাথে মিলানো ঠিক হবে না।ভালোবাসা প্রকাশের এক গুরুত্বপূর্ণ দিক শারীরিক মিলন৷সব সম্পর্কের মূলে থাকে ভালোবাসা।

বিয়ের আগে যখন কোনো নারী-পুরুষ একজন আরেকজনকে বলে, আমি তোমাকে ভালোবাসি। তখন তাদের অবচেতন মনে ঘুরতে থাকে- আমি তোমার সাথে সেক্স করতে চাই। সেক্স টাই বড়। কিন্তু সরাসরি সেক্সের কথা বলাটা শোভন দেখা যায় না- তাই তারা বলে প্রেম করি, ভালোবাসি। মেয়েদেরকে বলি- আপনারা যারা প্রেম ট্রেম করেন- তারা আপনাদের প্রেমিককে বলুন- বিয়ের আগে আমার কাছ থেকে একশো হাত দূরে থাকবে, আমার হাতও ধরবে না। চুমু তো দূরের কথা। তাহলে দেখবেন আপনার প্রেমিক আস্তে আস্তে আপনার কাছ থেকে দূরে চলে যাচ্ছে। তার মানে কি? সে আপনার সাথে প্রেম করে- আপনাকে চুমু দেওয়ার জন্য, জড়িয়ে ধরার জন্য। শুধু যে ছেলেরাই জড়িয়ে ধরতে চায়- চুমু দিতে চায় তা কিন্তু নয়- বরং মেয়েরা আরও বেশী চায়।

আপনাকে একটা জ্ঞানের কথা বলি- পুরুষ হচ্ছে কুত্তার জাত। ঘরে হাজার ভালো খাবার থাকলেও বাইরের নোংরা খাবারে মুখ দিবেই। কাজেই বিয়ের পরও সুযোগ পেলে পুরুষগন অন্য নারীর দিকে ঝুঁকবেই। শুনুন, কথায় বলে অন্যের পাগল ছেড়ে দাও, নিজের পাগল ধরে রাখো। ভালোবাসা, ভালোবাসি এগুলো ভুল কথা। আসল কথা হলো- সেক্স। নারী পুরুষ প্রেম ভালোবাসা করেই সেক্স করার জন্য। সেক্স করা খারাপ আমি কিন্তু তা বলছি না- বিশেষ একজন বা প্রিয় মানুষের সাথে সবাইই সেক্স করতে চায়। চাওয়াটাই স্বাভাবিক। সমস্যা হলো- কয়দিন পর পর একটা করে প্রেম করবো আর ভিন্ন ভিন্ন আদরের স্বাদ নিবো সেটা ঠিক না।উপযুক্ত বয়সে কোনো নারী ও পুরুষের যৌথ সম্মতিতে গড়ে ওঠা যৌন সম্পর্ক- ঠিক নয়। যদিও এটাকে অনেকে আধুনিকতা মনে করেন।

ছেলেদের মন তো উরু উরু, তাই অনেক মেয়ে ভেবে থাকেন- শারীরিক সম্পর্ক করলে বুঝি ছেলেটাকে আটকে রাখা যাবে। একেবারে ভুল চিন্তা। শারীরিক সম্পর্ক দিয়ে কাউকে আটকে রাখা যায় না। তখন ঐ ছেলে মৌ মাছির মতন হয়ে যায়। মধু খাবে তারপর চলে যাবে। কিন্তু আপনি ভাববেন- ও তো আমার কাছেই আছে। আসলে 'ও' আপনার কাছে নেই। মধু দেওয়া বন্ধ করে দেন- সেও উধাও হয়ে যাবে। যত দিন মধু দিবেন, তত দিনই বারবার বললে- অনেক ভালোবাসি তোমাকে, জান আমার, কলিজা আমার। মধু দেওয়া বন্ধ ওমনি কোনো উছিলা ধরে সে আপনার কাছ থেকে চলে যাবে- অন্য কোথাও মধু সংগ্রহের আশায়। তবে যাই-ই বলি না কেন- একজন আরেকজন কে অনেকখানি দখল করে রাখে সব সময় অদৃশ্য ভাবে।

যে কোন পুরুষের জীবনের কেন্দ্রবিন্দু যদি হয়ে থাকে কোন নারী, তাহলে ধরে নিতে হবে সে নিজেকে হারিয়ে ফেলছে। তাকে দিয়ে কোন মহৎ কর্ম করানো সম্ভব নয়।মানুষ বিয়ে করে কেন? সেক্স করার জন্য ? সন্তানের জন্য? সেক্স খুবই তুচ্ছ কিন্তু ভয়াবহ একটি ব্যাপার। সুন্দর জীবন-যাপনের জন্য সেক্স করার প্রয়োজন আছে।অনেক বিষয়েই মানুষ যুগে যুগে আকর্ষিত হয়েছে। পাগল হয়েছে, মাতোয়ারা হয়েছে। কিন্তু কালের বিবর্তনে সেই উন্মত্ততা আবার হারিয়েও গেছে। কিন্তু অদ্ভুত বিষয় হলো, মানুষ কখনোই এই পরকীয়া প্রেমের অমোঘ টান থেকে সরে যায় নি। গবেষণার ফলাফল "মেয়েদের যৌনতা ভালবাসা তাড়িত, আর ছেলেদের যৌনতা ইন্দ্রিয়সুখ তাড়িত।অনেক নারীই তাদের প্রেমিকদের সকল ধরণের যৌন চাহিদা মেটানো দায়িত্ব বলে মনে করে।

সমাজ কিসে বৈধতা দিল না দিল তাতে কিছুই যায় আসে না।সুতরাং এই সমাজ মানুষের স্বাধীনতাকে পরাধীনতায় আটকাতে চাইলেও যুগে যুগে স্বাধীনচেতা মানুষেরা সেই প্রথাকে দুমরে মুচড়ে দিয়ে গেছেন। এই লিস্টটির দিকে একটু চোখ বুলিয়ে নিন।রবীন্দ্রনাথের জীবনে এসেছিলেন কোন কোন নারীঃ কাদম্বরী দেবী, আনা তরখড় 'নলিনী', লুসি, ভবতারিণী পরে মৃণালিনী দেবী, ইন্দিরা দেবী, রানু অধিকারী, ও ভিক্টোরিয়া ওকাম্পো; সর্বমোট ৭ (সাত) জন।
এবার আমরা দেখি নজরুলের জীবনে এসেছিলেন কোন কোন নারীঃ নার্গিস (সৈয়দা খাতুন), মিস ফজিলাতুন্নেসা, রানু সোম (প্রতিভা বসু), কানন দেবী, ও প্রমীলা সেনগুপ্তা; সর্বমোট ৫ (পাঁচ) জন। এর বেশীর ভাগই বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক।

এ জন্যেই বোধহয় আমাদের দেশের ছেলে-মেয়েদের থেকে পশ্চিমা বিশ্বের ছেলে-মেয়েরা আর বেশী সৃজনশীল। কেননা আমাদের ছেলে-মেয়েরা তার সময়ের একটা বড় অংশ ব্যয় করে তার যৌন স্বপ্নে। কেউ যদি এই বিশ্লেষণকে অতি সরলীকরণ মনে করেন তবে তাকে চিজার থেকে চার্লস, তলস্তয় থেকে রবীন্দ্রনাথ বা রুশো থেকে হু.আজাদ অথবা ভিঞ্চি থেকে সুলতানের উপর ব্যাপক বর্ণনায় যেতে হবে।

“Every man knows that his highest purpose in life cannot be reduced to any particular relationship. If a man prioritizes his relationship over his highest purpose, he weakens himself, disserves the universe, and cheats his woman of an authentic man who can offer his full, undivided presence.”
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:৩৪
১১টি মন্তব্য ১১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কম্বলটা যেনো উষ্ণ হায়

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৭


এখন কবিতার সময় কঠিন মুহূর্ত-
এতো কবিতা এসে ছুঁয়ে যায় যায় ভাব
তবু কবির অনুরাগ বড়- কঠিন চোখ;
কলম খাতাতে আলিঙ্গন শোকাহত-
জল শূন্য উঠন বরাবর স্মৃতির রাস্তায়
বাঁধ ভেঙ্গে হেসে ওঠে, আলোকিত সূর্য;
অথচ শীতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইউনুস সাহেবকে আরো পা্ঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চাই।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪৪


আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি পুরো ১৫ মাস ধরেই ছিলো। মব করে মানুষ হত্যা, গুলি করে হত্যা, পিটিয়ে মারা, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারা, পুলিশকে দূর্বল করে রাখা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৬

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

শহীদ ওসমান বিন হাদি, ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

হ্যাঁ, সত্যিই, হাদির চিরবিদায় নিয়ে চলে যাওয়ার এই মুহূর্তটিতেই তার খুনি কিন্তু হেসে যাচ্ছে ভারতে। ক্রমাগত হাসি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

'জুলাই যোদ্ধারা' কার বিপক্ষে যুদ্ধ করলো, হ্তাহতের পরিমাণ কত?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৫১



সর্বশেষ আমেরিকান ক্যু'কে অনেক ব্লগার "জুলাই বিপ্লব" ও তাতে যারা যুদ্ধ করেছে, তাদেরকে "জুলাই যোদ্ধা" ডাকছে; জুলাই যোদ্ধাদের প্রতিপক্ষ ছিলো পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, ছাত্রলীগ; জুলাই বিপ্লবে টোটেল হতাহতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?

লিখেছেন এ আর ১৫, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৩

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?


হাদিকে মারল জামাত/শিবির, খুনি নাকি ছাত্রলীগের লুংগির নীচে থাকা শিবির ক্যাডার, ডাকাতি করছিল ছেড়ে আনলো জামাতি আইনজীবি , কয়েকদিন হাদির সাথে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×