১। নাট্য সম্পাদনা কাজ করতে করতেই শেক্সপিয়র অনুভব করলেন দর্শকের মনোরঞ্জনের উপযোগী ভালো নাটকের একান্তই অভাব। সম্ভবত মঞ্চের প্রয়োজনেই শেক্সপিয়রের নাটক লেখার সূত্রপাত।
২। কলম্বাস চিঠি লিখলেন সে যুগের বিখ্যাত ভূগোলবিদ Pagolo Toscanelli কে। Pagolo কলম্বাসের চিঠির জনাবে লিখলেন, তোমার মনের ইচ্ছার কথা জেনে আনন্দিত হলাম। আমার তৈরি সমুদ্রপথের একটা নকশা পাঠালাম। যদিও এই নকশা নির্ভুল নয়, তবুও এই নকশার সাহায্যে প্রাচ্যের পথে পৌঁছতে পারবে। যেখানে ছড়িয়ে আছে অফুরন্ত হীরা, জহরত, সোনা-রূপা, মণি-মুক্তা, মাণিক্য।
এই চিঠি পেয়ে কলম্বাসের মন থেকে সব সংশয় সন্দেহ দূর হয়ে গেল। শুরু হয়ে গেল তার যাত্রার প্রস্তুতি।
৩। ২১ জানুয়ারি ২০০৬ সালে জাকির নায়েক ভারতের বেঙ্গালুরুতে প্রায় ১০ লক্ষ লোকের সম্মুখে হিন্দুদের জনপ্রিয় ধর্মীয় গুরু শ্রী শ্রী রবি শংকরের সাথে বিতর্কে অবতীর্ণ হন। যার বিষয় ছিল “হিন্দু ও ইসলাম ধর্মে প্রভুর ধারনা”।
তিনি ওসামা বিন লাদেন সম্পর্কে বলেন আমি তাকে ব্যক্তিগতভাবে চিনি না এবং তার সাথে আমার কোনদিন সাক্ষাত হয়নি।
দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের ২০১০ সালের শ্রেষ্ঠ ১০০ ক্ষমতাশালী ব্যক্তির তালিকায় জাকির নায়েক ৮৯ তম স্থান লাভ করেন।
৪। ড. রমাদাশ আদালতে দাড়িয়ে বলল: আমি এ কোরআন পড়ে দেখলাম যে এ কোরআনে শুধু নারী অধিকার নয়, বরং পথিবীর সকল মানুষের সকল অধিকার সর্ম্পকে বলা আছে।
একথা বলেই সাথে সাথে তিনি বলে ফেললেন,
"লা ইলাহা ইলল্লাহহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ্"।
৫। কুরআন অনুবাদ শেষ করে ভাই গিরিশচন্দ্র্র সেন বলেছিলেন : আজ কুরআনের সমাপ্ত দেখিয়া আমার মনে যুগপৎ হর্ষ-বিষাদ উপস্থিত। হর্ষ এই যে, এত কালের পরিশ্রম সার্থক হইল। বিষাদ এই যে, ইহার প্রথমাংশ শ্রী মদাচার্য্য কেশবচন্দ্রের করকমলে অর্পণ করিয়াছিলাম। তিনি তাহাতে পরমাহ্লাদিত হইয়াছিলেন এবং তাহার সমাপ্তি প্রতীক্ষা করিতেছিলেন। শেষাংশ আর তাঁহার চক্ষুর গোচর করিতে পারিলাম না। ঈশ্বর তাঁহাকে আমাদের চক্ষুর অগোচর করিলেন। তিনি অনুবাদের এরূপ পক্ষপাতী ছিলেন যে, তাহার নিন্দা কেহ করিলে সহ্য করিতে পারিতেন না। আজ অনুবাদ সমাপ্ত দেখিয়া তাঁহার কত না আহ্লাদ হইত, এছাড়াও তাঁহার কত আশীর্ব্বাদ লাভ করিত।
কুরআনের সম্পূর্ণ খন্ড একত্রে প্রকাশিত হয় ১৮৮৬ সালে। সম্পূর্ণ খন্ডেই প্রথম তিনি স্বনামে আত্মপ্রকাশ করেন। ভাই গিরিশ্চন্দ্র সেন অনূদিত কুরআনের চতুর্থ সংস্করণে মৌলানা আকরাম খাঁ একটি প্রশংসাসূচক ভূমিকা লিখেছিলেন।
৬। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায় তাঁকে ওকালতি ছেড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানে আমন্ত্রন জানিয়েছিলেন। স্যার আশুতোষ শহীদুল্লাহকে যে সংক্ষিপ্ত পত্র লিখে ছিলেন এই একটি মাত্র পত্র সেদিন শহীদুল্লাহর জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন স্যার আশুতোষ। স্যার আশুতোষের এই অবদানের কথা শহীদুল্লাহ জীবনে কখনো ভোলেননি। তিনি তাঁর ‘বাংলা ভাষার ইতিবৃত্ত’ গ্রন্থটি স্যার আশুতোষের নামে উৎসর্গ করতে গিয়ে এই পত্রেরই উদ্ধৃতি দিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছিলেন। এর ১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হলে ঢাকা চলে আসেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন। তাঁর কর্ম জীবনের অধিকাংশ সময় কেটেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপনা করে।