৩১। 'দুনিয়া কাঁপানো দশ দিন' লেখক- জন রীড। বইয়ে পাওয়া যাবে বিপ্লবের মহাকাব্যিক বর্ননা। এই বইয়ের লেখক পেশায় একজন সাংবাদিক ছিলেন।
৩২। 'ওয়াদারিং হাইটস' লেখক- এমিলি ডিকেনসন ব্রনটি। কুড়িয়ে পাওয়া ছেলে হীথক্লিফ নিজের ছেলের চেয়েও বেশি প্রিয় হয়ে উঠলো মিস্টার আর্নশর কাছে। কৈশোরেই হীথক্লিফের প্রেমে পড়ল ক্যাথরিন আর্নশ। পিতার মৃত্যুর পর হিন্ডলে আর্নশ কর্তা হলো বাড়ির। হীথক্লিফকে ভাইয়ের আসন থেকে নামিয়ে দিল সে চাকরের পর্যায়ে। একই সময় এডগার লিনটনের সাথে ঘনিষ্টতা হতে শুরু করল ক্যাথরিন আর্নশর। প্রতিশোধের নেশায় পাগল হয়ে উঠল হীথক্লিফ। হিন্ডলে আর্নশ ও এডগার লিনটনের সম্পত্তি করায়ত্ত করল সে ছলে বলে কৌশলে।
৩৩। 'মা' লেখক- ম্যাক্সিম গোর্কী। 'মা' উপন্যাসটি সারা বিশ্বেই অত্যধিক জনপ্রিয় একটি সাহিত্য। গোর্কির লেখনীতে সর্বদাই শ্রমজীবি মানুষের কথা উঠে এসেছে অত্যন্ত সাবলীলভাবে। তার মা চরিত্রটিতে দেখা গেছে শ্রমিকদের অধিকার রক্ষায় সোচ্চার এক মানবীকে। যিনি কল্যাণকামী এবং ধৈর্যশীলা। এই উপন্যাসের মা সর্বদাই শ্রমিকদের লাঞ্ছণা-গঞ্জণা এবং পরাজয়ের দগদগে ঘাগুলো দেখিয়েছেন এবং শুশ্রুষা করেছেন। ইনি শ্রমিকশ্রেণীর মানুষগুলোর জন্য ছিলেন প্রেরণাদাত্রী। গোর্কি তার এই উপন্যাসে এমনই এক মা-কে অসাধারণ সাহিত্যিক মহিমায় ফুটিয়ে তুলেছেন।
আমার জীবনে আমি যত ডাক্তারের চেম্বারে গিয়েছি- 'মা' বইটি দেখেছি।
৩৪। 'টম সয়্যার' ও 'হাকফিন' লেখক- মার্ক টোয়েন। মার্ক টোয়েন কখনো স্কুলে যাননি। কিন্তু লেখালেখির জন্য অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি থেকে পেয়েছিলেন সম্মানসূক ডি. লিট ডিগ্রি। তাঁর সব লেখাই কৌতুক করে লেখা।
৩৫। 'শার্লক হোমস' সমগ্র লেখক- স্যার আর্থার কোনান ডোয়েল। শার্লক হোমস ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষভাগ ও বিংশ শতাব্দীর প্রথম ভাগের একটি কাল্পনিক গোয়েন্দা চরিত্র। ১৮৮৭ সালে প্রথম আবির্ভূত এই চরিত্রের স্রষ্টা স্কটিশ লেখক ও চিকিৎসক স্যার আর্থার কোনান ডয়েল। কোনান ডয়েল শার্লক হোমসকে নিয়ে চারটি উপন্যাস ও ছাপ্পান্নটি ছোটোগল্প লিখেছেন।
৩৬। 'মেটামরফসিস' লেখক- কাফকা। প্রায় ১০০ বছর আগে কাফকা লিখেছিলেন তাঁর অসামান্য নভেলা মেটামরফসিস। বিশ্বসাহিত্যের সর্বকালের অন্যতম সেরা এ সাহিত্যকর্মটি নতুন করে মূল জার্মান থেকে ইংরেজিতে তর্জমা করেছেন সুসান বের্নোফস্কি। রূপান্তর নামে এই বইটি অনুবাদ করেছেন কবীর চৌধুরী। এ বইটি প্রকাশ করেছে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র। বন্ধু ব্রড কাফকার জীবন অবলম্বনে লিখেন উপন্যাস ‘দ্য কিংডম অব লাভ’।
৩৭। 'লাঞ্ছিত বঞ্চিত' ও 'ক্রাইম এন্ড পানিশমেন্ট' লেখক- দস্তভয়স্কি। কালজয়ী একটি উপন্যাস। তিন দিন লাগিয়ে খাওয়া ঘুম বাদ দিয়ে পড়ে ফেললাম অসাধারণ এই উপন্যাসটি। উপন্যাসের প্রতিটি চরিত্র খুব চমৎকারভাবে আমার চারপাশের মানুষগুলোর মাঝেই খুঁজে পাই। এ উপন্যাসের পট এক বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া দারিদ্র পিষ্ট সমসয়া জর্জরিত এক যুবককে নিয়ে। সে তার এবং তার চারপাশের মানুষের জীবনের অভিশাপ দেখে বিদ্রোহী হয়ে উঠে। আর যুবকের মাঝে থাকে কিছুটা সুপিরিওরিটি কমপ্লেক্স। সে নিজেকে ভাবতে শুরু করে সমাজ উদ্ধারে পথিকৃৎ হিসাবে। আর সেই তাড়না থেকে সে খুন করে সম্ভাবনাহীন জীবনকে যাপিত করা এক পুজিপতি বুড়িকে। এবং খুব অলৌকিকভাবে সে পুলিশের চোখকে ফাঁকি দিতে সমর্থ হয়। তারপর শুরু হয় তার আত্মদ্বন্দ্ব। সে শারীরিক এবং মানসিকভাবে বিকারগ্রস্থ হয়ে যায়। এসময় তার বন্ধু রাজুমিখিন ঢুকে পড়ে উপন্যাসে তার সমর্থনদাতা উপকারী বন্ধু হিসাবে।
৩৮। 'সানস এন্ড লাভারস' লেখক- লরেন্স। আমার ছোট চাচা বলেছেন, বইটি অনেক ভাল। আমার শিক্ষক নিত্য স্যারও এই বইটার কথা আমাকে বেশ কয়েকবার বলেছেন। অবশ্যই বই পড়ুয়াদের পড়া উচিৎ। বইটি এখনও সংরহ করতে পারিনি।
৩৯। 'সোফির জগৎ' লেখক- জোস্টেইন গার্ডার। সোফির জগৎ এর মতো এ উপন্যাসেও গার্ডার গল্পের ছলে দর্শনের জটিল চিন্তাজগতকে উপস্থাপন করেছেন।সিসিলিয়া নামে এক মুত্যুপথযাত্রী মেয়ের ঘরে প্রবেশ করে এক দেবদূত।সিসিলিয়া আর সেই দেবদূতের মধ্যে কথপোকথনের উঠে আসে জীবন,মৃত্যু আর মহাবিশ্বের এক জটিল গোলকধাঁধার জগৎ।দিনের পর দিন কথপোকথনের মাধ্যমে সিসিলিয়া একপর্যায়ে রাগ,ক্ষোভে আর অস্বীকৃতি ডিঙিয়ে শান্তভাবে তার অমোঘ নিয়তি মেনে নিতে শুরু করে । সেই নিয়তির নাম মৃত্যু"
৪০। 'স্পার্টাকাস' লেখক- হাওয়ার্ড ফাস্ট। আধুনিক সাহিত্যের উপন্যাসে অতীত মানুষের সংগ্রামের কাহিনী উপস্থাপনের এমন নজির খুব বেশি একটা নেই। ফাস্ট শুধুমাত্র স্পার্টাকাসের মধ্যেই তার সৃষ্টি থামিয়ে রাখেননি। আরো একাধিক উপন্যাসে মানুষের সংগ্রামের বিস্তৃত কাহিনী তিনি তুলে ধরেছেন। পিকস্কিল উপন্যাসে দেখা যায়, ফাস্ট কৃষ্ণাঙ্গ মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম এবং নিপীড়নের দৃশ্য চিত্রিত করেছেন। যা তাদের আন্দোলনকে আরো শক্তিশালী হতে ভূমিকা রাখে। একইভাবে সাইলাস টিম্বারম্যান, ডিনার পার্টিসহ আরো একাধিক গ্রন্থে প্রচলিত সমাজের অন্তসারশূন্যতার উদাহরণ তিনি চমৎকারভাবে বিবৃত করেছেন। এর জন্য অবশ্য তাকে কম মূল্য দিতে হয়নি। জেলে যাওয়া থেকে শুরু করে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রচলিত আইনের রাষ্ট্রদ্রোহীতা মামলারও শিকার হয়েছেন।
ইংরেজি সাহিত্যে যে ১০০ টি বই আপনাকে পড়তেই হবে (চার)
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
সাজানো ভোটে বিএনপিকে সেনাবাহিনী আর আমলারা ক্ষমতায় আনতেছে। ভোট তো কেবল লোক দেখানো আনুষ্ঠানিকতা মাত্র।

১০০% নিশ্চিত বিএনপি ক্ষমতায় আসছে, এবং আওয়ামী স্টাইলে ক্ষমতা চালাবে। সন্ত্রাসী লীগকে এই বিএনপিই আবার ফিরিয়ে আনবে।সেনাবাহিনী আর আমলাদের সাথে ডিল কমপ্লিট। সহসাই এই দেশে ন্যায়-ইনসাফ ফিরবে না। লুটপাট... ...বাকিটুকু পড়ুন
রাজনীতির পন্ডিত, ব্লগার তানভীর জুমারের পোষ্টটি পড়েন, জল্লাদ আসিফ মাহমুদ কি কি জানে!

সামুর রাজনীতির ডোডো পন্ডিত, ব্লগার তানভীর ১ খানা পোষ্ট প্রসব করেছেন; পোষ্টে বলছেন, ইউনুস ও পাকিসতানীদের জল্লাদ আসিফ মাহমুদ ধরণা করছে, "সেনাবাহিনী ও ব্যুরোক্রেটরা বিএনপি'কে... ...বাকিটুকু পড়ুন
নীল নকশার অন্ধকার রাত

কায়রোর রাস্তায় তখন শীতের হিম হাওয়া বইছিল। রাত প্রায় সাড়ে এগারোটা। দুইটা বড় সংবাদপত্র অফিস: আল-আহরাম এবং আল-মাসরি আল-ইয়াউম—হঠাৎ করেই আগুনে জ্বলে উঠলো। কিন্তু এই আগুন কোনো সাধারণ দুর্ঘটনা... ...বাকিটুকু পড়ুন
হাদি ভাই, ইনসাফ এবং একটা অসমাপ্ত বিপ্লবের গল্প

ইদানিং একটা কথা খুব মনে পড়ে। হাদি ভাই।
মানুষটা নেই, কিন্তু তার কথাগুলো? ওগুলো যেন আগের চেয়েও বেশি করে কানে বাজে। মাঝেমধ্যে ভাবি, আমরা আসলে কীসের পেছনে ছুটছি? ক্ষমতা? গদি? নাকি... ...বাকিটুকু পড়ুন
আগুন যখন প্রশ্নকে পোড়াতে আসে
আগুন যখন প্রশ্নকে পোড়াতে আসে[
স্বাধীন সাংবাদিকতার কণ্ঠরোধে রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতা, মব-রাজনীতি ও এক ভয়ংকর নীরবতার ইতিহাস
চরম স্বৈরশাসন বা ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রেও সাধারণত সংবাদমাধ্যমের কার্যালয়ে আগুন দেওয়ার সাহস কেউ করে না। কারণ ক্ষমতা... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।