৪১। 'প্লেগ' ও 'আউটসাইডার' লেখক- আলব্যের ক্যামু। মানুষের জীবনকে খুব কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করার অসাধারণ ক্ষমতা ছিল আলবেয়ার কাম্যুর।জীবনের সূক্ষ্ম অনুভতিগুলোকে কলমের নিপুন আঁচড়ে দারুনভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন তিনি। "দি প্লেগ" গ্রন্থটি তাঁর শ্রেষ্ঠ রচনা বললেও অত্যুক্তি হবেনা।প্রাচীনকালে প্লেগ ছিল এক আতঙ্কের নাম।বহু সমৃদ্ধ জনপদ এই মহামারীর আক্রমনে উজাড় হয়ে যেত।তেমনি একটি শহরকে নিয়েই উপন্যাসের কাহিনী গড়ে উঠেছে।
মূলত ইঁদুরের মাধ্যমে এই রোগ বিস্তার করে।আক্রান্ত ব্যক্তি খুব দ্রুত মৃত্যুমুখে পতিত হয়।প্লেগের বিস্তার রোধের জন্য শহরটির বাইরে যাওয়া বা বাইরে থেকে ভিতরে প্রবেশ করা পুরোপুরি বন্ধকরে দেওয়া হয়। এই চরম পরিস্থিতিতে পতিত একদল মানুষের বেঁচে থাকার তীব্র সংগ্রাম কাহিনীই হল দি প্লেগ।তারা স্বপ্ন দেখে যে একদিন আবার সব আগের মত ঠিক হয়ে যাবে।তারা মিলিত হতে পারবে শহরের বাইরে অবস্থানকারী তাদের পরিজনদের সাথে।
সংকটের মুহূর্তে জীবনকে তুচ্ছজ্ঞান করে কিছু মানুষ কিভাবে আর্তমানবতার সেবায় ঝাপিয় পড়ে তা লেখক অত্যন্ত দক্ষতার সাথে ফুটিয়ে তুলেছেন।
বহু শ্রম আর ত্যাগের পর শহরটিকে প্লেগমুক্ত হিসেবে ঘোষনা করা হয়;তুলে নেওয়া হয় শহরে প্রবেশ ও শহর ত্যাগের ওপর বিদ্যমান নিষেধাজ্ঞা।মানুষ আবার তাদের প্রিয়জনের সাথে মিলিত হওয়ার সুযোগ পায়। কিন্তু ততদিনে অনেক মানুষ প্লেগের করাল গ্রাসে পতিত হয়ে পৃথিবী থেকে চিরবিদায় নিয়েছে।
কোনো রোগ মহামারীর আকার ধারন করলে মানুষ যে কতটা অসহায় হয়ে পড়ে তার এক প্রাঞ্জল বিবরণ হল দি প্লেগ।মৃত্যু আর মানবতার এরূপ মিলবন্ধন বিশ্বসাহিত্যে খুব কমই আছে।
“মা মারা গেছেন আজ। হয়তো গতকাল, আমি ঠিক জানি না।” এভাবেই শুরু হয় ‘দি আউটসাইডার’ উপন্যাসটি। প্রধান চরিত্রের দেওয়া প্রথম উক্তিটি বিভিন্নভাবে অগণিতবার ব্যবহৃত হয়ে বিখ্যাত হয়ে আছে সাহিত্য সমাজে। মরসোঁ আলজেরিয়ার এক অতি সাধারণ যুবক, যে ছিলো সামাজিক এবং মনস্তাত্ত্বিকভাবে একা ও অচেনা। মায়ের মৃত্যুর পর যথাযথ আবেগ দেখাতে পারে নি বলে সে শুরু থেকেই আবেগহীন মানুষ হিসেবে আবির্ভূত হয়। ঘটনার পরিক্রমায় হত্যা করে ‘আরবি’ হিসেবে পরিচিত এক ব্যক্তিকে। কোন বিশেষ কারণ ছাড়াই। এজন্য গ্রেফতার হয় মরসোঁ এবং মুখোমুখি হয় প্রথাগত বিচারের। এ হত্যার বিভিন্ন যৌক্তিক কারণ খুঁজে বের করে মরসোঁ’র সমাজ। তার সংগ্রাম ছিলো সেই যৌক্তিক কারণ আর আইনি ব্যবস্থার বিপক্ষে।
৪২। 'ইস্পাত' লেখক- নিকোলাই অস্ত্রভস্কি। বইতো নয় যেন জ্বলন্ত আগুণ। বই পড়তে যেয়ে আমার ভেতরটা মড়-মড় করে উঠলো। শরীরটা ঘেমে গেল, আমি কিসের যেন আওয়াজ শুনতে পেলাম! বইয়ের লেখক নিকলাই অস্ত্রভস্কি তার জীবনীকেই এঁকেছেন এ বইয়ে। স্পন্ডিলাইটিসে আক্রান্ত হয়ে মারা যান মাত্র ৩২ বছর বয়সে। জীবনের শেষ আটটি বছরের প্রথম চার বছর ছিলেন অন্ধ হয়ে। লাইন সোজা রাখার জন্য তার স্ত্রী তাকে কাগজ সেটে দিতেন কাঠের খাজ কাটা বোর্ডে। আর শেষের চার বছর তার দিন কাটে একেবারে বিছানায়। অন্ধ আর পঙ্গুত্বে জড়াজড়ি করে। ইস্পাত বইটির মূল নাম ‘হাও দ্যা স্টিল ওয়াজ টেম্পার্ড’। বইটি অনুদিত হয়েছে শতাধিক ভাষায় আর পেয়েছে রাশিয়ার সর্বোচ্চ খেতাব লেনিন অর্ডার।
৪৩। 'আনা কারেনিনা' লেখক- টলস্টয়। “পৃথিবীর প্রতিটি সুখী পরিবার একই রকমভাবে সুখী, প্রতিটি অসুখী পরিবার নিজের নিজের ধরণে অসুখী।” এই মনস্তাত্বিক বাক্যটি দিয়ে শুরু হয়েছে আনা কারেনিনা নামক পৃথিবীর অন্যতম মনস্তাত্বিক উপন্যাস। উপন্যাসের সার সংক্ষেপ হোলো “আনা কারেনিনা একজন সম্ভ্রান্ত বংশের মহিলা। ভাই এবং ভাবীর মধ্যে যে মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়েছে, সেটার সমাধান করার জন্য সে মধ্যস্হতার ভূমিকা পালন করে। কিন্ত দুর্ভাগ্যজনক ভাবে তার সংসারেই অশান্তির সৃষ্টি হয়, তিনি জড়িয়ে পড়েন পরকীয়ার মতো ঘৃণ্য সামাজিক ব্যধিতে। স্বামীর সাথে তার ব্যবধান শুরু হয়, পরিণতিতে বিবাহ বিচ্ছেদ। আনা কারেনিনা প্রেমিক ভ্রনস্কিকে বিবাহ করেন, কিন্ত ধীরে ধীরে তার সাথে তার দুরত্ব সৃষ্টি হয়, এবং একসময় প্রবল সন্দেহ। শেষে “আনা কারেনিনা” আত্নহত্যা করতে বাধ্য হন। এখানে উপন্যাসের মূল বক্তব্য হচ্ছে “আদর্শহীন চরিত্র কিভাবে সমাজ এবং ব্যক্তিজীবনে পতন নিয়ে আসে তাই ফুটিয়ে তোলা”। সম্পূর্ণ উপন্যাসে একটি অশ্লীল বাক্য উল্লেখ না করেও কিভাবে সমাজের অশ্লীলতা ফুটিয়ে তোলা যায় তা টলস্টয় দেখিয়ে দিয়েছেন – যেটার থেকে আমাদের দেশের সাহিত্যিকদের অনেক কিছু শেখবার আছে বিশেষ করে যারা “খেলারাম খেলে যা” জাতীয় অপন্যাস লিখে কাটতি বাড়িয়ে থাকেন।
৪৪। 'অস্তিত্ববাদ ও মানবতা' লেখক- জাঁ পল সাত্রে। জ্যঁ পল সার্ত্রের জীবন ছিল বৈচিত্র্যপূর্ণ। একদিকে প্রচলিত সামাজিক রীতিনীতির তেমন তোয়াক্কা করেননি। অপরদিকে যখন যা সঠিক বলে মনে করেছেন তাই-ই অকপটে ব্যক্ত করেছেন। তিনি বিয়ে করেননি, বিখ্যাত ফরাসী নারীবাদী লেখিকা সিমন দ্য বুভেয়ার সাথে বসবাস করেছেন আজীবন। সার্ত্রে ও বান্ধবী বুভেয়া’র মিলে ‘লেস ভেজপস মোদারনেস’ নামক মাসিক পত্রিকা বের করতেন। এ পত্রিকাটি সে সময় দারুণ জনপ্রিয়তা লাভ করে।
৪৫। 'লেডি চ্যাটার্লীজ লাভার' লেখক- ডি এইচ লরেন্স। যৌন বিষয়কে অবলম্বন করে এমন বলিষ্ঠ সাহিত্য তাঁর সমকালে আর কেউ রচনা করেন নি। খোলাখুলি যৌন ঘটনাবলীর বর্ণনা দেওয়াতে তাঁর অধিকাংশ বইকে নিষিদ্ধ করা হয়। ‘লেডি চ্যাটার্লী’জ লাভার’ বইটি একটা দুর্দান্ত উপন্যাস।
৪৬। 'দা সেকেন্ড সেক্স' লেখক- সিমোন দা ব্যাভোয়ার। অনেকে মনে করেন, বিশেষ করে আমেরিকায় বইটি সমকালীন নারীবাদী আন্দোলনের সূচনা করেছে। লেখিকা তার বই সম্পর্কে বলেন, ‘দ্য সেকেন্ড সেক্স’ লেখার সময় আমি সচেতন ছিলাম। সেই প্রথমবারের মতো আমি বুঝতে পেরেছিলাম, আমি আসলে একটি মিথ্যা জীবন যাপন করছি। অথবা অন্যভাবে বলা যায়, আমি পুরুষ প্রভাবিত সমাজকে না চিনে এর কাছ থেকে উপকার নিচ্ছিলাম। আমার জীবনের প্রথম দিকে যা হয়েছিল, আমি পুরুষদের নীতিবোধগুলো স্বীকার করে নিয়েছিলাম। আর তার সবগুলো মেনে নিয়ে এর মধ্য দিয়ে জীবন যাপন করছিলাম। আমি অবশ্যই কিছুটা সফল ছিলাম। আমার বিশ্বাস ছিল, পুরুষ ও নারী সমান হতে পারে, যদি নারী তেমন সমানাধিকার চাইতে পারে। অন্যভাবে বললে বলতে হয়, আমি একজন বুদ্ধিজীবী ছিলাম। সমাজের এক বিশেষ শ্রেণী বুর্জোয়া শ্রেণী থেকে আমার আসার সৌভাগ্য হয়েছে। এটা আমাকে সবচেয়ে ভালো স্কুলে পাঠিয়েছে এবং অবসরে চিন্তা করার সুযোগ দিয়েছে। একই কারণে খুব বেশি জটিলতা ছাড়াই আমি পুরুষ-জগতে ঢুকতে সক্ষম হয়েছি।
৪৭। 'মিডনাইটস চিলড্রেন' লেখক- সালমান রুশদী। সালমান রুশদী ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ ঔপন্যাসিক। তাঁর দ্বিতীয় উপন্যাস 'মিডনাইটস চিলড্রেন' ১৯৮১ সালে সাহিত্যে বুকার পুরস্কার লাভ করে। তাঁর বেশির ভাগ উপন্যাসের পটভূমি হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে ভারতীয় উপমহাদেশকে। বইটি আসলে প্রকাশের পর থেকেই বিশ্বপাঠক সমাজে অসামান্য নাড়া দিতে সক্ষম হয়। মিডনাইটস চিলড্রেনে দেখা যায় ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট ১০০১ জন শিশু জন্মগ্রহণ করে। তাদের মধ্য থেকে এক হিন্দু মায়ের সন্তান ও এক মুসলমান মায়ের সন্তানকে আনা হয়েছে উপন্যাসের চরিত্রে। আর এই দুই সন্তানই মূলত উপন্যাসকে সমৃদ্ধতর অবস্থানে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে। সালমান রুশদী এই দুই শিশুকে ত্রিশ বছর বয়স পর্যন্ত টেনে নিয়ে গেছেন। আর এই দুই মানবসন্তানই দেখতে পেয়েছে ইন্দিরা গান্ধীর লৌহশাসন। ব্যক্তি মাধ্যমে জাতি ও মানবতার প্রতীক তৈরি করেছেন সালমান রুশদী। যে কারণে পাঠক সহজেই উপন্যাস পড়তে পড়তে ভারত নামক একটি দেশের জন্মকথা জানতে পারে এবং জানতে পারে মানবতাবাদের অবক্ষয়গুলো সম্পর্কেও।
৪৮। 'দ্য ফেয়ারওয়েল পার্টি' লেখক- মিলান কুন্দেরা। মিলান কুন্দেরা চেকোসেস্নাভাকিয়ায় জন্ম। দ্য জোকস লেখকের প্রথম প্রকাশিত উপন্যাসের নাম। রাজনৈতিক উপন্যাস হিসেবে এ উপন্যাসটি পাঠক মহলে বিপুল সাড়া জাগায়। তিনি ছিলেন একজন খাঁটি ইউরোপীয় লেখক। কমিউনিস্টবিরোধী ছিলেন।
৪৯। 'ট্রেজার আইল্যান্ড' লেখক- রবার্ট লুই। অনেক ঝক্কি-ঝামেলা, যুদ্ধ, প্রতিপক্ষের প্রতিরোধ, দুর্ভোগ এবং নানা রোমাঞ্চকর ঘটনার মধ্য দিয়ে রত্নদ্বীপের সন্ধান পাওয়া গেল। দ্বীপের গুহায় অভিযাত্রীরা দেখল সেখানে ঝর্ণা ও পুকুর আছে। একটু দূরে অগ্নিকুন্ডে আগুন জ্বলছে। এক কোনে স্বর্ণমুদ্রা ও স্বর্ণের চৌকোটুকরার স্তূপ। আগুনের আভায় সেসব জ্বলজ্বল করছে। অভিযাত্রীদের মধ্যে ডাক্তার, ফিন্টার, হোটেল মালিকের ছেলে জিম, সিলভাররা সেসব নিয়ে পুনরায় জাহাজে ফিরে এল এবং পৌঁছে গেলেন স্বদেশে। রবার্ট লুই স্টিভেনসনের আরও বিখ্যাত দুটি বই, ড: জেকিল এন্ড মি: হাইড, কিডন্যাপড।
৫০। 'দ্য গড অফ স্মল থিংস' লেখক- অরুন্ধতী রায়। ১৯৯৭ সালে লেখা “দি গড অব স্মল থিংস” অরুন্ধতী রায়ের প্রথম এবং এখন পর্যন্ত একমাত্র উপন্যাস। অরুন্ধতী রায় বাস্তবজীবনে খুব অনুভূতিশীল মানুষ, মানুষের দুঃখে কেঁদে ওঠেন, মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য ভারতের এ মাথা থেকে ও মাথা চষে বেড়ান। বুক ফুলিয়ে অবলীলায় যা সত্য তাই বলে দেন। তাঁর আত্নজীবনীমূলক এই উপন্যাসেও তার ব্যতিক্রম খুঁজে পাওয়া যায় নি। মানুষের হাসি, আনন্দ, দুঃখ, কষ্ট, ভালোবাসা, বিরহ, ঘৃণা প্রভৃতি সব মানবিক ব্যাপারগুলোকে খুব সূক্ষভাবে দেখার একটা অদ্ভুত গুন আছে তাঁর মাঝে। এই উপন্যাসে মানব জীবনের ছোট ছোট মূহুর্তগুলোকে ছোট ছোট করে হৃদয়গ্রাহীভাবে তিনি তুলে ধরতে পেরেছেন সুনিপুণ মুন্সিয়ানায়।
ইংরেজি সাহিত্যে যে ১০০ টি বই আপনাকে পড়তেই হবে (পাঁচ)
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
৫টি মন্তব্য ০টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
=স্মৃতির মায়ায় জড়িয়ে আছে মন=

ঘাস লতা পাতা আমার গাঁয়ের মেঠো পথ, ধানের ক্ষেত
জংলী গাছ জড়ানো লতাবতী - আহা নিউরণে পাই স্মৃতির সংকেত,
রান্নাবাটির খেলাঘরে ফুলের পাপড়িতে তরকারী রান্না
এখন স্মৃতিগুলো পড়লে মনে, বুক ফুঁড়ে বেরোয় কান্না।
ফিরে... ...বাকিটুকু পড়ুন
ইউনুস সাহেবকে আরো পা্ঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চাই।

আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি পুরো ১৫ মাস ধরেই ছিলো। মব করে মানুষ হত্যা, গুলি করে হত্যা, পিটিয়ে মারা, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারা, পুলিশকে দূর্বল করে রাখা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন
হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...
হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

হ্যাঁ, সত্যিই, হাদির চিরবিদায় নিয়ে চলে যাওয়ার এই মুহূর্তটিতেই তার খুনি কিন্তু হেসে যাচ্ছে ভারতে। ক্রমাগত হাসি।... ...বাকিটুকু পড়ুন
'জুলাই যোদ্ধারা' কার বিপক্ষে যুদ্ধ করলো, হ্তাহতের পরিমাণ কত?

সর্বশেষ আমেরিকান ক্যু'কে অনেক ব্লগার "জুলাই বিপ্লব" ও তাতে যারা যুদ্ধ করেছে, তাদেরকে "জুলাই যোদ্ধা" ডাকছে; জুলাই যোদ্ধাদের প্রতিপক্ষ ছিলো পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, ছাত্রলীগ; জুলাই বিপ্লবে টোটেল হতাহতের... ...বাকিটুকু পড়ুন
হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?
হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?
হাদিকে মারল জামাত/শিবির, খুনি নাকি ছাত্রলীগের লুংগির নীচে থাকা শিবির ক্যাডার, ডাকাতি করছিল ছেড়ে আনলো জামাতি আইনজীবি , কয়েকদিন হাদির সাথে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।