somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রাজীব নুর
আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

মৃত্যুর আগে যে ১০০ টি মুভি আপনাকে দেখতে হবে (দশ)

১৯ শে মে, ২০১৫ রাত ৮:২৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

৯১। ক্রাইং আউট লাভ ইন দ্য সেন্টার অফ দ্য ওয়াল্ড (Crying Out Love in the Center of the World) অসাধারন মেকিং আর গল্প নিয়ে একটা মুভি । আবেগি মানুষরা খুব সহজেই কেঁদে ফেলবে মুভিটা দেখে আর যারা একটু শক্ত হৃদয়ের মানুষ তারাও যদি একটু মনোযোগ দিয়ে মুভিটা দেখে হৃদয় ভারাক্রান্ত হয়ে উঠবে । নায়ক নায়িকা একই স্কুল এ পড়াশুনা করে । ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে পরিচয় ঘটে । একে অপরের প্রতি ভালোবাসা তৈরি হতে থাকে ।

[সিক্রেট (Secret) মুভিটিও দেখতে পারেন- ভাল লাগবে।]

,

৯২। দি জাজ (The Judge) জোসেফ পামার হচ্ছেন ইন্ডিয়ানা স্টেটসের একটা শহরের একজন জাজ। জীবনের চার দশক দিয়েছেন বিচারপতি হিসেবে। নিজের মত করে চালাতে চান সবকিছু। তার নিয়মনীতি আর কঠিন অনুশাসনে অতিষ্ঠ হয়ে জোসেফ পামার এর মেজ ছেলে হ্যাঙ্ক পামার বাসা ছেড়ে চলে যায়। ২০ বছর পরে সে ফেরে তার মায়ের মৃত্যুর খবর শুনে। হ্যাঙ্কও এখন উকিল । এত বছর পরেও, হ্যাঙ্কের সাথে তার বাবার দূরত্ব এক বিন্দু কমেনি। দুজনেই দুই মেরুর বাসিন্দা। হ্যাঙ্ক চলে যাবে,এই সময় জানতে পারে; তার বাবার উপর আরোপ এসেছে ফার্স্ট ডিগ্রি মার্ডারের। শুরু হয়, হ্যাঙ্কের সন্তান এবং উকিল হিসেবে তার বাবাকে এই আরোপের হাত থেকে বাঁচানোর লড়াই। জোসেফ পামারও তার অনুশাসনে অটল; যা সত্যি, সেটাই সবার সামনে আসুক সেটাই চান; এই নিয়েই ছেলের সাথে চলে আরো দ্বন্দ।

,

৯৩। দ্য বেস্ট অফার (The Best Offer) Virgil Oldman একজন ডাকসাইটে নিলামকারী। তার কথার জাদুতে নিলামের মূল্যবান চিত্রকর্ম, শিল্পকর্মর দাম অনেকখানিই বেড়ে যায়। তবে তার নিজের গোপন কিছু এজেন্ডা থাকে। কিছু শিল্পকর্মর প্রতি আগ্রহ অত্যাধিক। বিভিন্নভাবে তিনি সে কর্মগুলো সংগ্রহ করেন। তার আছে এক প্রতিভাবান মেকানিক বন্ধু যে অনেক পুরাতন কাজও ঠিক করে দিতে পারে। এক শিল্প পতির রেখে যাওয়া এক উত্তরাধিকারীনির শিল্পকর্ম বিক্রি করতে গিয়ে তার নজরে আসে কিছু ছোট ছোট পার্টস যা অনেক আগে হারিয়ে যাওয়া এক প্রবাদ প্রতিম শিল্পে আংশ। আবার উত্তরাধিকারীনিও তাকে দেখা দেয় না। সে নাকি মানুষের সামনে আসে না। উত্তরাধিকারীনির দিকে মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েন তিনি। শেষে যা ঘটে তা দেখে একেবারে স্তম্ভিত হয়ে যাবেন। ভাববেন হায়! এ কি দেখলাম!

,

৯৪। নাইট ক্রলার (Nightcrawler) Lou Bloom কাজের খোঁজে শহরটা চষে বেড়ায়। ছিঁচকে চুরি-চামারি, কাজের চেষ্টা কোনটাই সে বাদ দেয় না। এক রাতে তার সাথে দেখা হয় রাতের শহরের এক বিরল পেশাজীবীর সাথে। এরা এক্সক্লুসিভ ঘটনা যেমন খুন, রোড এক্সিডেন্ট, আগুন লাগার দৃশ্য ভিডিও করার জন্য রাতের শহরে ঘুরে বেড়ায়। ভিডিও পেলে চ্যানেলগুলোর কাছে বিক্রি করে চড়া দামে। Lou এই কাজে জড়িয়ে পড়ে এবং ভাবতে পারে এখানেই তার ক্যরিয়ার গড়ে উঠবে। এক সময় সে কেবল ভিডিও সংগ্রাহকের সীমারেখার বাইরে বেরিয়ে পড়ে ।

,

৯৫। টু বি ওর নট টু বি (To Be or Not to Be) ১৯৪২ সালের মুক্তি পাওয়া এই কমেডীর মূল কাহিনী ঘুরপাক খেয়েছে একটি নাট্য দলকে কেন্দ্র করে। যুদ্ধের ভেতর শো বন্ধ। পোলান্ডের প্রতিরোধ বাহিনীর এক তরুন অফিসার এক স্পাইয়ের হাত থেকে গূরুত্বপূর্ন তথ্য উদ্ধারের জন্য সাহায্য কামনা করে নাট্যদলের প্রখ্যাত অভিনেত্রীর। পুরো ব্যাপারটাতেই জড়িয়ে পড়ে নাট্যদলটি। সাবলীল গতির সাদা-কালো কমেডী মুভি।

,

৯৬। দ্য হিডেন ফেস (The Hidden Face) স্প্যানিশ এ মুভিতে দেখা যায় একদিন সকালে ঘুম ভেঙ্গে এক সংগীত পরিচালক দেখতে পায় তার বান্ধবী তাকে ছেড়ে চলে গেছে। রেখে গেছে একটি ভিডিও বার্তা। পরিচালক ধীরে ধীরে এক ওয়েট্রেসের সাথে জড়িয়ে পড়ে। ওয়েট্রেস মেয়েটি পরিচালকের ভাড়া বাড়িতে দেখে বেসিনের বদ্ধ পানিতে কম্পন উঠে আপনাআপনি। ঠান্ডা পানি-গরম পানি কেন জানি একাকার হয়ে আসে গোসলের সময়। পুলিশ সন্দেহ করে পরিচালক তার প্রাক্তন বান্ধবীকে খুন করেছে। কিন্তু সত্যি কি? এর পর কি হয় তা দেখার জন্য মুভিটি দেখতেই হবে। মুভিতে বেশ প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য কিছু দৃশ্য রয়েছে।

,

৯৭। দ্য নরমাল হার্ট (The Normal Heart) মুভিটির কাহিনী আবতির্ত হয়েছে আশির দশকের শুরুতে সমকামী আন্দোলন নিয়ে। সে সময়টায় অজানা রোগে একের পর এক সমকামী মারা যেতে শুরু করে। সমকামী নেতারা এ নিয়ে দৃষ্টি আকর্ষন করতে চাইলেও আমেরিকার সরকার ও সমকামীদের নিয়ে দৃষ্টিভঙ্গি ও রাজনীতির কারনে তা যেন কেউ দেখেও দেখত না। পরবতীর্তে এ রোগটির নামই হয় এইডস। চমৎকার অভিনয় আর গাঁথুনীর মুভি। এ বছর এমি এ্যাওয়ার্ড পাওয়া মুভি। তবে সমকামী ব্যাপার স্যাপার যারা জানেন না তারা মুভিটা দেখলে ধাক্কাই খাবেন।

,

৯৮। এপ্রিল স্নো (April Snow) মুভিতে দেখানো হয় নায়িকার হাজব্যান্ড এবং নায়কের ওয়াইফ গাড়ি এক্সিডেন্ট করে একই হাঁসপাতালে ভর্তি এবং তারা একে অপরকে ভালোবাসতো । সেই হাঁসপাতালে পরিচয় হয় নায়ক এবং নায়িকার …একে অপরের সাথে ধীরে ধীরে পরিচয় এবং এক সময় প্রেম …তারপর শেষ পরিণতিটাই দেখার জন্যই মুভিটা দেখতে হবে ।

,

৯৯। ব্রিয়াথ (Breath) ফাঁসির রায় হয়ে যাওয়া এক কয়েদী এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের মত আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছে । ছবির নায়িকা টিভিতে সেই খবর দেখছিল । নায়িকার স্বামী গোপনে এক মেয়ের সাথে যোগাযোগ রাখে নায়িকা সেটা জানতে পারে । এরপর নায়িকা একটা অদ্ভুত সিধান্ত নেয় । নায়িকা সেই জেল কয়েদী এর সাথে প্রতিদিন দেখা করতে যায় , একেক দিন একেক ড্রেস পড়ে সে কয়েদী এর সাথে দেখা করতে যায় । ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে এক রকম ভালোবাসা সৃষ্টি হয় । প্রতি দেখাতেই তারা একে অপরকে কিস করে । দেখে ফেলুন । মাত্র দেড় ঘণ্টার মুভি ।

,

১০০। দ্য ফল্ট ইন আওয়ার স্টারস (The Fault In Our Stars) একটা রোমান্টিক মুভি ভালো হওয়ার পিছনে নায়ক নায়িকার কেমিস্ট্রিটাও কম গুরুত্বপূর্ণ না। এক কিশোরি যার ফুসফুসে ক্যানসার ধরা পড়ে। কিন্তু সে একটা এক্সপেরিমেন্টাল ট্রিটমেন্টের মাধ্যমে তখন বেঁচে যায়। যে ডিপ্রেশনে ভুগছে। তাঁর ডাক্তারের পরামর্শে একটা ক্যান্সার সাপোরটিং গ্রুপে যায়। আর তাঁর সাথে দেখা হয় Augustus Waters এর। যার কিনা একটা পা নেই। আর শুরু হয় তাঁদের বন্ধুত্ব। … তারপর? IMDb তে ৮.২ স্কোর তোলা মুভিটি দেখুন।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে মে, ২০১৫ রাত ৮:৪৯
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাদির হত্যাকান্ড ও সরকারের পরবর্তি করণীয়!

লিখেছেন আহলান, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৫১

হাদির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। সে দেশকে ভালোবেসে, দেশের মানুষকে ইনসাফের জীবন এনে দিতে সংগ্রাম করেছে। তাকে বাঁচতে দিলো না খুনিরা। অনেক দিন ধরেই তাকে ফোনে জীবন নাশের হুমকি দিয়ে এসেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব রাজ্যে উত্তেজনা: হাদির মৃত্যুতে রাজনৈতিক পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪২

রোম যখন পুড়ছিল নিরো নাকি তখন বাঁশি বাজাচ্ছিল; গতরাতের ঘটনায় ইউনুস কে কি বাংলার নিরো বলা যায়?



বাংলাদেশ প্রেক্ষাপটে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদটি সবসময় ছিল চ্যালেঞ্জিং।‌ "আল্লাহর... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্টেরিম সরকারের শেষদিন : গঠিত হতে যাচ্ছে বিপ্লবী সরকার ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২২


ইরাক, লিবিয়া ও সিরিয়াকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার আন্তঃদেশীয় প্রকল্পটা সফল হতে অনেক দিন লেগে গিয়েছিল। বাংলাদেশে সে তুলনায় সংশ্লিষ্ট শক্তিসমূহের সফলতা স্বল্প সময়ে অনেক ভালো। এটা বিস্ময়কর ব্যাপার, ‘রাষ্ট্র’... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব সন্ত্রাস, আগুন ও ব্লাসফেমি: হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৫২


ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×