somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রাজীব নুর
আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

আসুন আয়ারল্যান্ড দেশটি সম্পর্কে জানি

১২ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:২৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



আয়ারল্যান্ড উত্তর-পশ্চিম ইউরোপে অবস্থিত একটি দ্বীপ রাষ্ট্র। রাজধানী ডাবলিন যা আয়ারল্যান্ড দ্বীপের সর্ববৃহৎ শহর। ডাবলিন নগরী বেশ ছিমছাম, রাস্তাঘাটে মানুষের ভিড়ও তেমন নেই। লন্ডনকে যেমন ব্যস্ত নগরী মনে হয়, ডাবলিন সে তুলনায় একেবারে শান্ত-সৌম্য। মানচিত্রে দেখতে লম্বাটে। উত্তর-দক্ষিণের দৈর্ঘ্য মাত্র ৪৬৫ কিলোমিটার এবং পাশে মাত্র ২৮৫ কিলোমিটার, বলা যায় বাংলাদেশের অর্ধেক। বড় শহর বলতে ডাবলিন, যেখানে জনসংখ্যা মাত্র ছয় লাখের মতো। ইউরোপের তৃতীয় বৃহত্তম দ্বীপ এবং পৃথিবীর বিশতম বৃহত্তম দ্বীপ। আইরিশ মানুষ কথোপকথন ভালবাসে এবং অন্যান্য মানুষের প্রতি তাদের প্রকৃত আগ্রহ আছে।

আয়ারল্যান্ড একটি ছোট্ট দেশ আয়তন মাত্র ৭০ হাজার বর্গকিলোমিটার। চার পাশে পানি উথাল-পাথাল করে। রয়েছে অসংখ্য পাহড়-পর্বত, বেশ কয়েকটি নদী এবং অনেক হ্রদ। দক্ষিণে ও পশ্চিমে আটলান্টিক মহাসাগর; আড়াই হাজার কিলোমিটার অতিক্রম করলেই আমেরিকা। আইরিশরা প্রধানত ক্যাথলিক ক্রিশ্চিয়ান। এরা খুবই ভদ্র, নম্র ও অতিথিপরায়ণ। আয়ারল্যান্ডের মোট জনসংখ্যা মাত্র ৫০ লাখের কাছাকাছি। আয়ারল্যান্ডের প্রধান ক্রীড়া- সকার এবং রাগবি।

আলু আইরিশদের প্রধান খাদ্য। কত শত প্রকারের খাবার যে আলু দিয়ে তৈরি হয় তার সীমা নেই। আয়ারল্যান্ডের মাটি চাষবাসের জন্য খুব একটা উপযোগী নয়। পাথর আর কঙ্কর মিশ্রিত থাকায় ফসল ফলানো কঠিন। ১৮৪০-এর দশকে আয়ারল্যান্ডে ঘটে যায় এক মর্মান্তিক ঘটনা। কয়েক বছর আলু ও অন্যান্য উৎপাদন মারাত্মক মার খায়। এক ধরনের রোগে আলু পচে যায়। খাদ্যাভাবে দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। এতে প্রায় ১০ লাখ লোক মারা যায়।

আয়ারল্যান্ড আমাদের মতোই ব্রিটিশ উপনিবেশ ছিল দীর্ঘদিন। মাত্র ১৯২১ সালে দেশটি স্বাধীনতা লাভ করে। এদের রাষ্ট্রভাষা দুটো : ইংলিশ ও আইরিশ গ্যালিক। আইরিশদের জাতীয় পতাকার তিনটি রঙ; এর মধ্যে দুটো রঙ দুটো ধর্মকে প্রতিনিধিত্ব করে। সবুজ রঙ রোমান ক্যাথলিক এবং কমলা রঙটি প্রোটেস্ট্যান্টদের। সাদা রঙটি ঐক্যের প্রতীক। জলবায়ু নাতিশীতোষ্ণ, মৃদু শীত, ঠান্ডা গ্রীষ্ম, নিয়মিত আদ্রতা, অর্ধেক সময় মেঘাচ্ছন্ন।

আয়ারল্যান্ডের উচ্চতর শিক্ষা ব্যবস্থা সুযোগ অনেক বিস্তৃত এবং চতুর্দিকে বিশ্ববিদ্যালয় সেক্টর, প্রযুক্তিগত ক্ষেত্র,শিক্ষার জন্য প্রাইভেট কলেজ ও স্বতন্ত্র কলেজ। প্রতিষ্ঠানগুলো যা প্রথম তিনটি গ্রুপের মধ্যে পড়ে, স্বায়ত্তশাসিত এবং স্ব নিয়ন্ত্রক, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে রাষ্ট্রই তহবিল প্রদান করে। জ্ঞান বা বিদ্যা, নব্য ধ্রুপদী এবং নব্য গোথিক শৈলীতে ১৭, ১৮ এবং ১৯ শতকে নির্মিত মহিমান্বিত বাসগৃহ যেমন- কাসল ওয়ার্ড, কাসলটাউন হাউস, বেনট্রি হাউস ও পর্যটকদের আগ্রহের কারন।

আয়ারল্যান্ডের নারীদের ৩৬ শতাংশ পরকীয়ায় জড়িত।

রাতের আলোতে ডাবলিন শহরকে দিনের চেয়েও সুন্দর মনে হয়। আলো ঝলমল রাতের আঁধারে শত শত পর্যটক ক্যামেরা কাঁধে ঝুলিয়ে ছবি তুলতে ব্যস্ত সময় পার করেন।

আয়ারল্যান্ডে মুসলমানদের সংখ্যা বাড়ছে। সেই সঙ্গে গড়ে উঠছে একের পর এক মসজিদ। বর্তমানে আয়ারল্যান্ডে ৫০ হাজারের মতো মুসলমান বসবাস করেন। যা মোট জনসংখ্যার ১ শতাংশ। তবে মুসলমানদের সংখ্যা ২০২০ সালে এক লাখে পৌঁছবে বলে আশা করা হচ্ছে। আয়ারল্যান্ডের প্রত্যেক শহরেই মসজিদ এবং মক্তব রয়েছে। সেখানকার মুসলিম ছাত্রীরা হিজাব পরে স্কুলে যেতে পারে। আয়ারল্যান্ডে রয়েছে ইসলামি পোশাকে প্রচুর চাহিদা। কিন্তু সেসব আমদানি করতে হয় বিভিন্ন মুসলিম দেশ থেকে।

আয়ারল্যান্ডের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে মুসলমান শিক্ষার্থীদের জন্য প্রার্থনা কক্ষ রয়েছে। বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর অগণিত ছাত্রছাত্রী আয়ারল্যান্ড গমন করে। আয়ারল্যান্ডে ব্যাচেলর ডিগ্রি সম্পন্ন করার আনুমানিক ব্যয় ১০ হাজার ৫০০ ইউরো থেকে ১৫ হাজার ১৫০ ইউরো। মাস্টার্স ডিগ্রি সম্পন্ন করতে আনুমানিক ব্যয় ৭ হাজার ৪০০ ইউরো থেকে ১৫ হাজার ৭২০ ইউরো পর্যন্ত লাগতে পারে।

সাহিত্যের জন্য ডাবলিন একেবারে অন্যরকম। খানকার সাহিত্য আসরগুলো শুড়িখানার মতো। সাহিত্য আর সুরায় এক অনবদ্য মিল যেখানে উপভোগ করার মতো। ‘ডাবলিন লিটারেরি পাব ক্রলে’ আপনি ঢুকে যেতে পারেন। পানশালা আর সাহিত্য এখানে একাকার। একেবারে আনন্দের মধ্য দিয়ে সাহিত্য। এই ডাবলিন শহরেই আসতেন জেমস জয়েসের মতো বিখ্যাত আইরিশ ঔপন্যাসিক ও কবি সাহিত্যিকরা।

সর্বশেষ এডিট : ১২ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:২৪
৫টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৮


আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×