somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রাজীব নুর
আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

আমার কাছে তিনি পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম লেখক

১৯ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ৯:৪৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



১। মৃত্যুর ওপারে ঠিক কেমন আছেন জানিনা। তবে পৃথিবী থেকে যে ভালবাসা আর দোয়া নিয়ে বিদায় নিয়েছেন তাতে বিধাতার আপনাকে ভালোই রাখার কথা।
স্যার জানেন, পড়াশোনায় আমি কখনো খুব ভালো ছিলাম না। কিন্তু “হোটেল গ্রেভারইন”-এ আপনার শূণ্য থেকে একশ পাবার ঘটনা পড়ে আমি নিজেকে অনুপ্রাণিত করেছিলাম। অনেকবার ব্যর্থ হয়েছি, কিন্তু বারে বারে মনে হয়েছে, এই যে, আবারো শুরু করা যাবে।

২। আজ সকালে আমার খুব হিমু হবার ইচ্ছা করলো কিন্তু হলুদ কোনো পাঞ্জাবী না থাকায় আমি আজ হিমু হতে পারলাম না। ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বরের পরে আজ পর্যন্ত হুমায়ূন আহমেদের মত আর একজন সাহিত্যিক জন্মেনি আমাদের দেশে।

৩। যারা টিভিতে হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস নিয়ে নাটক তৈরি করেন- দয়া করে আপনারা স্যারের উপন্যাস নিয়ে আর নাটক বানাবেন না। আপনারা যা তৈরি করেন- তা পুরাটাই অতি অখাদ্য। খুব বিরক্ত লাগে। আমাদের মেজাজ খারাপ করে দেয়ার অধিকার আপনাদের নেই।
হুমায়ূন আহমেদের পরিচালনা করা নাটক গুলো বারবার দেখলেও একটুও বিরক্ত লাগে না বরং আনন্দের মাত্রা বেড়েই চলে কিন্তু আপনারা যারা স্যারের নাটক তৈরি করেন- তাদের উপর প্রচন্ড মেজাজ খারাপ হয়। ১০০ বছর চেষ্টা করলেও স্যারের মতন পারবেন না। দয়া করে সুন্দর একটা উপন্যাস- নাটক বানিয়ে আমাদের মেজাজ খারাপ করবেন না।

৪। হুমায়ূন আহমেদের একটা স্বপ্ন ছিলো। তা হলো একটি ক্যান্সার হাসপাতাল তৈরি করা। আমি অপেক্ষায় আছি কবে সেটার কাজ শুরু হবে..... কবে আমরা একটি ক্যান্সার হাসপাতাল দেখতে পারবো... স্যার নিজেও মনে হয় অপেক্ষায় আছেন। এক সময় কিছু ছেলে-পেলে কে দেখেছি ক্যান্সার হাসপাতাল করবে বলে অনেক চিৎকার চ্যাচামেচি করেছে। গত দুই তিন বছর ধরে তাদের কোনো খোজ খবর নেই। যতসব ভন্ডের দল।

৫। আমরা আপনাকে চিরদিন মনে রাখব
কেউ কেউ হারিয়ে যায়, দ্রুত হারিয়ে যায় রোগে শোকে ভূগে... বড় কষ্ট- এই চলে যাওয়া!
আপনার কাছে আমাদের অনেক ঋণ আছে কিন্তু হায় বেঁচে থাকে ঘুণপোকা, বেঁচে থাকে সাপ....
আর বেঁচে থাকে পা'চাটা কুকুর...
চোখ ভরতি জল নিয়ে আপনাকে বিদায় জানিয়েছিলাম- ভালোবাসা নিয়ে শ্রদ্ধায় মাথা নত করলাম।
প্রিয় লেখকেরা বোধহয় এভাবেই নিজের অজান্তে স্বজন হয়ে উঠেন সকলের!
হুমায়ূন আহমেদ আমরা কখনও আপনাকে ভূলবনা, এত তাড়াতাড়ি না গেলেও তো পারতেন
আপনার এক একটা বই পড়তাম আর সেই বইয়ের- ঘোর কাটাতে আমার অনেকদিন লাগতো।
বস্তুত আপনার কাছ থেকে যা পেয়েছি- তা পরিমাপ করার সামর্থ্যও কারো নেই!
এই বাংলায়, এত চমৎকার আর সাবলীলভাবে গল্প বলার আর কেউ রইলো না!
জীবনকে বোঝার জন্য- জীবনকে উপভোগ করার জন্য, হুমায়ুন আহমেদ
একটি প্রতিষ্ঠান-একটি আশ্রয়স্থল। এই দিনে মনটা খুব অস্থির হয়ে থাকে ...
কেমন এক অসহায় এক আকাশ শুন্যতা ভর করে বুকে।
কখনও হতে চাইনি- নজরুল অথবা আইনস্টাইন, হতে চেয়েছি সচেতনভাবে- হিমু।
স্যালুট হুমায়ূন আহমেদ আপনাকে, কোনদিনও আপনাকে ভুলতে পারব না।
আমি কোথায় পাব এই মহাপুরুষকে? পরম করুনাময় আমায় সেথা নিয়ে যাও, যেথা তাকে পাব।
আপনাকে মনে রাখতে হবে পাঠকদের আর এই বাংলার জোছনা, বৃষ্টি এবং কদম ফুল।
হে কীর্তিমান! তোমার কীর্তি গাঁথা বেঁচে থাকবে... থাকবেই।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ৯:৪৫
২০টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×