১। যদি জীবন বিমুখ হয়ে একটা কোটরের মধ্যে নিজেকে ভরে রাখতে পারো, তাহলে তুমি তোমার মতো শান্তি পেয়ে যাবে । আর যদি খোলা জীবনের মধ্যে এসে দাঁড়াতে চাও তাহলে সংঘর্ষ হবেই।
পৃথিবীর কিছু মানুষ কেন এত খারাপ ? কেন এত নিষ্ঠুর ? কেন চারিদিকে সব সময় এত বিপদ-আপদ ? এত সব ঝামেলা আর গন্ডগোলের মধ্যে কী করে বেঁচে থাকবে আগামী প্রজন্ম ? মুশকিল হলো- এদেশে বাস করে কয়েক কোটি ভেড়া আর কয়েকটা বাঘ । এক লক্ষ ভেড়াও একটা বাঘ দেখলে পালায় । "আমি কিন্তু ভেড়া নই" । কত ছেলে দুনিয়া জুড়ে কত কী করছে ! তের বছরের ছেলে প্লেন চালাচ্ছে, সতের বছরের ছেলে রাইফেল কাঁধে যিদ্ধে যাচ্ছে, কেউ আটলান্টিক পেরোচ্ছে নৌকায় । আমি না হয়- কয়েকটা বদমাশ কে শায়েস্তা করবো ।
২। আমাদের অজ্ঞতা আমাদের জ্ঞানের চেয়ে অনেক বেশী। স্বয়ং সৃষ্টিকর্তা বলে দিচ্ছেন, আমরা অজ্ঞ, আমরা দূর্বল। আর তাই আমরা যদি নিজেদের বিবেকের উপর নির্ভরশীল হয়ে চলি- তবে নিশ্চিতভাবেই আমরা ধ্বংস হব।
৩। মানুষ কি করতে জন্মায় ?
মানুষ তো আর জন্মায় না মানুষ জন্মে যায়। একটা ছেলে একটা মেয়েকে বিয়ে করে। তারপর দিনকতক আদরা-আদরি চলে, তারপরে ট্যাঁ করে কান্না, এ তো কিছু করার নেই। যতদিন না আদর বন্ধ হচ্ছে ততদিন মানুষের জন্মও বন্ধ হবে না। জন্মাতেই থাকবে, দেশ ভর্তি তেলাপিয়া মাছের মতো দাপাদাপি ঝাঁপাঝাঁপি মারামারি।
সেতার, সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়।
৪। অনেকদিন আগে একটি গল্প পড়েছিলাম, গল্পটি অনেকটা এই রকমঃ রাশিয়ার এক শহরে বাস করতো আকসেনভ নামের এক যুবক। পেশায় ছিল ব্যবসায়ী, আর ছিল দু খানা দোকান ও বসত ভিটা। ছোটবেলা থেকে নেশা করলেও এখন সে ভালো, মাঝে মাঝে কেবল ভদকা খেয়ে নেশা করে।
গ্রীষ্মের এক সকালে ব্যবসার কাজে শহরে যাওয়ার জন্য বের হয় যুবক। স্ত্রী তাকে বলে যে ,আমি খুব একটা খারাপ স্বপ্ন দেখেছি তুমি আজ শহরে যেওনা। সে উপেক্ষা করে শহরে যায় এবং রাস্তার মাঝে পরিচয় হয় এক ব্যবসায়ীর সাথে। দু’ জনেই রাতে এক সরাই খানাতে থাকে।
পরদিন সকাল বেলা আকসেনভ সরাই খানার সব লেনদেন চুকে দিয়ে বের হয়। প্রায় মাইল পঁচিশ যাবার পর সে আরেকটা সরাই খানাতে দাঁড়িয়ে পড়ে ঘোড়া গুলোকে কিছু খাইয়ে নেবার জন্য। কিছুক্ষণ পর একজন অফিসার এসে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরু করে। সে সবগুলো প্রশ্নের উত্তর দিলেও মূল ঘটনা বুঝে উঠতে পারেনা। অফিসার আকসেনভকে বলে যে, যে লোকটির সাথে আপনি আপনি রাতে ঘুমিয়ে ছিলেন সে খুন হয়েছে। আর আমি একজন পুলিশ অফিসার। আপনার পোটলা তল্লাসী করব। যেই বলা সেই কাজ। আকসেনভের ব্যাগ তল্লাসী করে একটা রক্ত মাখা ছোরা পাওয়া গেল। ছোরাতে কেন রক্ত লেগে আছে জিজ্ঞেস করলে আকসেনভ কোন উত্তর দিতে পারেনা। সে শুধু বলে আমি কিছু জানিনা। আমি খুন করিনি।
৫। বাংলাদেশে আসলে কোনো ধার্মিক নেই। আমাদের সমাজটাই ভণ্ডামিতে পরিপূর্ণ।
আমরা সাধারনত ধার্মিক বলে আমরা চিনে থাকি মাদ্রাসা থেকে পাশ করা মাওলানাদের। কিন্তু আমাদের সমাজে মাওলানাদের পেট চলে সমাজে দুই নম্বর লোকের টাকায়। এটাই সমাজ বাস্তবতা। স্থানীয় সাংসদ বা কোনো ধনী ব্যক্তি যত দুই নম্বরই হোক, এলাকার মসজিদে যখন তিনি বড় অংকের টাকা দান করেন, হুজুরেরা তার নামে দোয়া পড়তে থাকেন। কাজেই হুজুরের কি ধার্মিক হওয়ার সুযোগ আছে??
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:০৫