১। বড় যদি হতে চাও, ছোট হও তবে। ছোট হতে হতে মাটির সাথে মিশে যাচ্ছি। নাদের আলী, আমি আর কত ছোট হবো?
কেউ অপমান করলে আমার উপকার'ই করে আসলে। সেই রাত্রেই একটা কবিতা বা অন্য কিছু লিখে ফেলি। অপমান বা অবজ্ঞা বরাবর'ই আমাকে কিছু লেখার প্রেরণা দেয়।
২। আজ একটা দৈনিকের সাহিত্য পাতায় কবিতা পড়লাম। কবিতার নাম- ''একটা ভূত জানালা দিয়ে উঁকি দিচ্ছে বারবার, কি করি?''। কবিতার প্রথম লাইন এই রকম- ভুত ভুত ভুত, আমার চারদিকে ভুত! মনে হচ্ছে এরা আমাকে চেয়ারের সাথে বেঁধে রাখবে।
৩। একমাত্র তুমি ছাড়া কেউ ই জানে না তুমি কি... তোমার ক্ষমতা... তোমার মধ্যে কি আছে...।
মানুষ তোমায় মাপে তোমাকে দেখতে কেমন, তোমার পোশাক, গেজেট, তোমার যা কিছু আছে তাই দিয়ে। কিচ্ছু যায় আসে না তাদের মাপায়। যুদ্ধ করো যোদ্ধার মতো। এ যুদ্ধ নিজেকে ইতিহাসের পাতায় ঠাই দেয়ার যুদ্ধ। হাল ছেড়ো না কোন কিছুতেই। এ লড়াই শুধু অস্তিত্তের না আরও বেশী কিছুর জন্য যেটা একমাত্র তুমি ই জানো।
এমনকি যদি তোমার সব কাপর চোপড় বিক্রি করে রাস্তার কুকুরের সাথে শুয়ে থাকতে হয়, ভয় পেওনা। কোন সমস্যা না। যতক্ষণ তুমি বেঁচে আছ ততক্ষন তোমার গল্প শেষ হবে না... ’’
৪। চার্লস ডিকেন্স লোকটা অন্য রকম ছিলেন। পত্রিকায় তিনি ধারাবাহিক উপন্যাস লিখতেন। তাঁর উপন্যাসের কিস্তি পড়ার জন্য অধীর আগ্রহে পাঠকেরা অপেক্ষা করতেন। মাস্টার হামফ্রেজ ক্লক নামের একটা সাপ্তাহিকে তাঁর উপন্যাস প্রকাশিত হতো। দি ওল্ড কিউরিসিটি শপ ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ হতে শুরু করে ১৮৪০ সালে। উপন্যাসটি ইংল্যান্ডের গণ্ডি ছাড়িয়ে আমেরিকায়ও তুমুল জনপ্রিয় হতে শুরু করে।
কাহিনি তখন চূড়ান্ত পর্যায়ে। আর মাত্র একটি পর্ব বাকি। সবার আগ্রহ উপন্যাসের নায়িকা নেলের পরিণতি নিয়ে। সে কি বাঁচবে, নাকি মারা যাবে। তখন সাপ্তাহিকটি আমেরিকা যেত জাহাজে করে। জাহাজ যেদিন ভিড়বে, সেদিন ঘাটে হাজার হাজার মানুষের ভিড়। পত্রিকা হাতে পেয়ে পড়ার জন্য সবাই অস্থির। আর সহ্য করতে না পেরে জনতা চিৎকার করে জাহাজের নাবিকদের কাছেই জানতে চাইল, ‘নেল কি মারা গেছে?’
এ রকম এক গল্প জানার পর লেখক হতে কার না ইচ্ছা করে!
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:২৫