সবাই এখন তাকিয়ে আছে নির্বাচনের দিকে। নির্বাচনের উপর অনেক কিছু নির্ভর করছে। বিএনপি পাশ করলে এক রকম হিসাব আবার আওয়ামীলীগ পাশ করলে আরেক রকম হিসাব। ব্যবসায়ী, চাকরিজীবি, ব্যাংকার, কবি-সাহিত্যিক সবাই অপেক্ষায় আছে। কোথাও গেলে সবার অই এক কথা নির্বাচনটা শেষ হোক। এদিকে নমিনেশন নিয়েও মানূষের মধ্যে ব্যাপক চিন্তা ভাবনা দেখা যাচ্ছে। এই নমিনেশনের উপরেও অনেক কিছু নির্ভর করছে। মানুষ রাজনীতি কেন করতে চায়? তাদের উদেশ্য কি? নিজের আখের গোছানো? না দেশের জন্য ভালো কিছু করতে চায়। যদি দেশের জন্য কিছু করতে চায়- তাহলে রাজনীতি না করে কি দেশের জন্য কিছু করা যায় না? আসলে আমি খুব কম বুঝি।
এমপি হতে পারলে মন্ত্রী হওয়া সহজ হয়ে যায়। সীমাহীন ক্ষমতা কার না ভালো লাগে! কত প্রটোকল। কত সম্মান। আগে পিছে পুলিশ থাকবে। রাতে ঘুমালেও দরজার সামনে পুলিশ থাকবে। সবাই হুজুর হুজুর করবে। সালাম দিবে। রাষ্ট্র গাড়ি দিবে, বাড়ি দিবে। ক্ষমতা খুব মারাত্মক জিনিস। যা খুশি তাই করা যায়। টাকা পয়সার চিন্তা করতে হবে। দুই দিক না দশ দিক থেকে টাকা আসতে থাকে। না চাইলেও টাকা আসতে থাকবে হু হু করে। এত টাকা হবে যে নামে বেনামে রেখেও শেষ করা যাবে না। তখন টাকা বিদেশে পাঠাতে হবে। বিদেশে পাঠানোর পরেও টাকা শেষ হবে না। তখন টিভি চ্যানেল, ব্যাংক্সিহ নানান ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলতে হবে। এমন কোনো মন্ত্রী কি আছে যার কোনো ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান নেই? অথবা বিদেশে বাড়ী নেই?
আগামী পাঁচ বছরে যা যা ঘটবে। আমার দশটা ভবিষ্যত বানীঃ
১। বাংলা সাহিত্য দখল করে নিবে সরকারি আমলারা।
২। আগামী নির্বাচনে জয়ী হবে আওয়ামীলীগ।
৩। চুরী, ছিনতাই, দালালী, চাটুকারীতা এবং বেকারত্ব অনেক বাড়বে।
৪। সড়ক দূর্ঘটনা ব্যাপক হারে বাড়বে।
৫। ধনীরা আরও ধনী হবে। দরিদ্ররা আরো দরিদ্র।
৬। বেশ কয়েকটা টিভি চ্যানেল এবং পত্রিকা আসবে।
৭। জ্যাম অসহনীয় পর্যায়ে বাড়বে। বাজারে প্রতিটা জিনিসের দাম বাড়বে।
৮। দুষ্টলোকেরা কবি হবে, সাহ্যিতিক হবে, ব্যবসায়ী হবে, বুদ্ধিজীবি হবে।
৯। ইয়াবা'র চাহিদা বাড়বে। মদের দোকানে ভীড় বেশি হবে। প্রস্টিটিউটদের চাহিদা বাড়বে।
১০। ব্লগার কমে যাবে। বইমেলার চেয়ে বানিজ্যমেলার চাহিদা বাড়বে।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৫৭