১। যারা আত্মবিশ্বাস নিয়ে জন্মায় তারা ছোটবেলা থেকেই একটু অন্যরকম। নিজেকে কেউকেটা না ভাবলেও তাদের মধ্যে দেখা যায় অন্য এক ধরনের গরিমা। এই বিষয়ে বিখ্যাত ঔপন্যাসিক ও কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্রোপাধ্যায়ের শ্রীকান্ত উপন্যাসের ইন্দ্রনাথ চরিত্রটির উদাহরণ দেবার মতন। শ্রীকান্ত উপন্যাসের ইন্দ্রনাথ বাঘ ভয় পায় না, বরং এগিয়ে গিয়ে দেখতে যায়- সত্যি বাঘ কিনা। সে গভীর অন্ধকারে গভীর নদীতে মৃত্যুকে উপেক্ষা করে মাছ ধরতে যায়।
২। দেবতা জিউসের নির্দেশে প্রমিথিউস মানুষ ও পশু গড়লেন। কাজ শেষ করার পর দেখা গেল মানুষের চেয়ে পশুর সংখ্যা বেশি। তা দেখে জিউস আদেশ করলেন কিছু পশু ভেঙ্গে মানুষ গড়ে মানুষের সংখ্যা বাড়াতে। প্রমিথিউস সেই মতো কাজ করলেন। কিন্তু যেসব মানুষ পশু ভেঙ্গে গড়া হল তারা মনের দিক থেকে পশুই রয়ে গেল। এবং অবাক ব্যাপার হচ্ছে তারা একটা বিশেষ পেশা নিয়ে পৃথিবীতে আসল- রাজনীতিবিদ। আর পৃথিবীকে পশুর খোঁয়াড় বানানোর চেষ্টা করে যেতে লাগল এবং এখনো যাচ্ছে।
৩। নিজের উপর বিশ্বাস না আসিলে ঈশ্বরে বিশ্বাস আসে না। জগতের যা কিছু উন্নতি, সব মানুষের শক্তিতে হয়েছে, উৎসাহের শক্তিতে হইয়াছে। বিশ্বাসের শক্তিতে হইয়াছে। প্রাচীন ধর্ম বলিত, যে ঈশ্বরে বিশ্বাস না করে সে নাস্তিক। নতুন ধর্ম বলিতেছে, যে আপনাতে বিশ্বাস স্থাপন না করে সে ই নাস্তিক।
৪। সোমাবার রাতের ঘটনা।
রাত ১১ টায় বিছানায় গেলাম। ঠিক করলাম আজ ঘুম না এলেও চোখ বন্ধ করে পড়ে থাকব। ঘুমের দরকার আছে- সুন্দর এবং সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য। এপাশ ওপাশ করতে করতে ফযরের আযান দিয়ে দিল। তখন একটা ঝিমুনি এলো। আর স্বপ্ন দেখা শুরু করলাম- বাসে উঠতে গিয়ে পড়ে গেছি। পা ভেঙ্গে গেছে। আমাকে হাসপাতালে নেওয়া হলো।
ডাক্তার বলছে- পা কেটে ফেল।
আমি বললাম- না না আমার পা কাটবেন না।
ডাক্তার বললেন- চুপ, কোনো কথা না। হলুদ দাঁত বের করে নার্স বলল- অসুবিধা নেই, আমাদের হাসপাতাল থেকেই হুইলচেয়ার দেয়া হবে।
৫। গতকাল রাত থেকেই ঢাকা শহরের বিভিন্ন মসজিদে তিন দিনের অনুষ্ঠান পালন করা হচ্ছে- ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষ্যে। এটা খুব ভালো। অনুষ্ঠান করুক। কিন্তু তারা অনেক দূর দূর পর্যন্ত মাইক লাগিয়েছে। একজনের পর এক ওয়াজ করেই যাচ্ছে। এদিকে আশে পাশে অসংখ্য বাড়ি ঘর। কত ছাত্র, বছরের শেষ তাদের পরীক্ষা। তারা শান্তিতে পড়তে পারছে না। রাস্তায় চলাচলরত মানুষ বেশ বিরক্ত। নবীজী (স.) আছেন আমাদের হৃদয়ে। ঢাক-ঢোল পিটিয়ে মাইকিং আর লাইটিং এর কি দরকার? আজ সকালে দেখলাম বিশাল মিছিল বের করেছে। এই লাইটিং, মাইকিং, ওয়াজ এবং মিছিলের পিছনে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। এই টাকা গুলো দিয়ে যদি দরিদ্র মানুষদের পেট ভরে খাওয়ানোর ব্যবস্থা করা হতো তাহলে আমাদের নবীজী খুব খুশি হতেন।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:১২