কোথাও একটা ভালো মানুষ দেখি না।
স্বচ্ছ পবিত্র মানুষ। চারিদিকে ঠক, প্রতারক, বদমাশ, অযোগ্য অদক্ষ, হিংসুটে আর লোভী মানুষ। অথচ মানুষকে বলা হয় সৃষ্টির সেরা জীব। মানুষ হবে সহজ সরল সুন্দর। তার জীবনযাপন হবে সহজ সরল সুন্দর। প্রতিটা মানুষের মধ্যে নানান রকম জটিলতা কুটিলতা ভরা। সব মানুষের মধ্যে একটা মুখোশ। এখন মানুষের মধ্যে ভালোবাসা কম, বদমাইশী বেশি।
বর্তমান যুগটা হচ্ছে অবিশ্বাসের যুগ।
এই যুগে কেউ কাউকে বিশ্বাস করে না। বন্ধু বন্ধুকে বিশ্বাস করে না। ভাই ভাইকে বিশ্বাস করে না। স্ত্রী স্বামীকে বিশ্বাস করে না। এমনকি বাবা মা পর্যন্ত তার ছেলেমেয়ে কে বিশ্বাস করে না। আমরা বসবাস করছি এক অবিশ্বাসের যুগে। এমন কেন হবে? দেশ সমাজ সবকিছু বদলে যাচ্ছে আর অধঃপতন হচ্ছে মানুষের। দেশের বেশির ভাগ মানুষ দরিদ্র। তারা শুধু কোনো রকমে বেচে থাকতে পারলেই খুশি। দরিদ্র দেশের মানুষেরা সুখী হতে পারে না।
মানুষ গুলো সব আত্মকেন্দ্রিক হয়ে গেছে।
সবাই চায় আমার পরিবার ভালো থাকুক, বাকি সব জাহান্নামে যাক। দেশের মানুষ গুলো ৯০ এর পর থেকে অমানবিক হতে শুরু করেছে। আর এখন নিষ্ঠুরতার শেষ সীমানায় এসে পৌছেছে। কারো জন্য কারো কোনো মায়া নেই। একজন দায়িত্বশীল পিতা ঘর থেকে বের হলেই অমানবিক হয়ে উঠেন। একজন মমতাময়ী মা নিজের পরিবারের বাইরে নিষ্ঠুর হয়ে উঠেন। মানুষকে আসল শায়েস্তা করতে পারে প্রকৃতি। প্রকৃতি সময় মতো তার সমস্ত হিসাব কিতাব বুঝে নেয়।
আমি সব মানুষকে বিশ্বাস করি। বাড়িয়ে দেই বন্ধুর হাত।
কারো মুখে আমি পাপ দেখি না। আমি জানি মানুষ মূলত দুখী। যতই দুখ কষ্ট আড়ালে রাখুক। মিথ্যা অভিনয় করুক। মানুষের দুখকষ্ট, হাহাকার, হতাশা গুলো আমি ঠিক টের পাই। এই সমাজের মানুষ গুলো- কেউ ভাতে দুখী, কেউ কাপড়ে, কেউ প্রেম ভালোবাসায় দুখী। কেউ স্বামী নিয়ে দুখী, কেউ স্ত্রী নিয়ে। কেউ সন্তান নিয়ে দুখী। কেউ দারিদ্রতা নিয়ে দুখী। মানুষের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে বলেই, মানুষ চাটুকারিতা করছে, দালালি করছে।
বটগাছের নিচে দাড়ালে বটগাছের ছায়া পড়ে।
তেমনি রাজনীতিবিদদের সিদ্ধান্ত গুলো দেশের প্রতিটা মানুষের উপর পড়ে। মূলত সরকারের কর্মকান্ডের জন্য মানুষের আজ এই অধঃপতন। এই অমানবিকতা। এই দূর্নীতি। এই জটিলতা কুটিলতা। দেশের কোনো মানুষ ভালো নেই। যে দরিদ্র সেও ভালো নেই। যে ধনী সেও ভালো নেই। পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল, বড় বড় রাস্তা, বড় বড় বিল্ডিং, সমুদ্র অথবা পাহাড় কোনো কিছুই মানুষকে ভালো রাখতে পারছে না। মন্দ, অসৎ মানুষ গুলো শেষমেষ ধর্মে এসে আশ্রয় নেই। দাড়ি রাখে, নামাজ পড়ে, হজ্ব করে। কথায় কথায় মাশাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ বলে। ধার্মিক সেজে লাভ কি? তোমাদের রক্তই তো দুষিত।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:১৭