somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রাজীব নুর
আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

আজকের ডায়েরী- ১৩৯

১৮ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ১০:৪১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ছবিঃ আমার তোলা।

আজকে সাত রোজা।
সময় আসলে অনেক দ্রুত যায়। গতকাল সুরভি আর ফারাজাকে নিয়ে গিয়েছিলাম শপিং করতে। কারন আমি জানি, ১৫ রোজার পর থেকে ভয়াবহ ভিড় হবে। ভিড় আমার পছন্দ না। কিন্তু হায় কপাল! মার্কেটে গিয়ে দেখি প্রচুর ভিড়। আড়ং এ তো গজব অবস্থা। লোকজন পাগলের মতো কেনাকটা করছে। যাইহোক, কয়েকটা পাঞ্জাবী নিয়ে ক্যাশ কাউন্টারের সামনে গিয়ে দেখি বিরাট লাইন। অন্তত ৭ টা লাইন। সাতটাতেই লম্বা লাইন। আমি সুরভিকে লাইনে দাঁড় করিয়ে ফারাজাকে নিয়ে আড়ং থেকে বেড়িয়ে গেলাম। আমার মতো আমার কন্যাও ভিড়ভাট্রা পছন্দ করে না। আমিও রোজা রাখি নাই, আমার কন্যা ফারাজাও রোজা রাখে নাই। তাই আমরা একটা আইসক্রীমের দোকানে চলে গেলাম। বাপ বেটি আইসক্রীম খেলাম। গতকাল বেশ রোদ ছিলো।

আমাদের দেশের ব্যবসায়ীরা ব্যবসা নাম দিয়ে মূলত প্রতারনা করেন।
সরকার একদম চুপ। যেন সরকারের ইচ্ছায় তারা মানুষকে ঠকাচ্ছে। আমাদের দেশের মানুষের মানসিকতা হচ্ছে, কাউকে ঠকাতে পারলেই ভাবে- 'জিতে গেলাম'। আড়ং থেকে একটা পাঞ্জাবী নিলাম, দাম ও ভ্যাট মিলিয়ে প্রায় ছয় হাজার টাকা। অতি সাধারন একটা পাঞ্জাবী। ছয় হাজার টাকা কেন হবে? বড়জোর ১২শ' টাকা হতে পারে। যাইহোক, পাঞ্জাবী কিনতে হবে, কিনলাম। কন্যার জন্য জামা কিনতে একটা বড় দোকানে গেলাম। তাদেরও একই অবস্থা। সিম্পল একটা জামা দাম লিখে রেখেছে ২৭শ' টাকা। এই জামার দাম সর্বোচ্চ ৩৫০ টাকা হতে পারে। যাইহোক, প্রশ্ন করা যাবে না। কাকে প্রশ্ন করবো? বিক্রেতারা ইচ্ছা মতো দাম বসিয়ে দিয়েছে। প্রয়োজনের চেয়ে বেশি। ইহা অন্যায়। অথচ সরকার নিরব বছরের পর বছর ধরে।

ইদকে সামনে রেখে চোর, ছিনতাইকারী এবং পকেটমার পাচ গুন বেড়ে গেছে।
ভিড়ের মধ্যে থেকে প্রায়ই চিৎকার শোনা যাচ্ছে, আমার মোবাইল নিয়ে গেলো। মোবাইল নিয়ে গেলো। পকেটমাররা সমানে পকেট মারছে। তাদের মধ্যে কোনো ভড়ডর নেই। পুলিশ বা দোকান মালিক সমিতি ইচ্ছা করলে এই সমস্ত পকেটমারদের সরিয়ে দিতে পারে। কিন্তু সবাই চুপ। সবাই নিরব। নিরব কেন আমি ভেবে পাই না। প্রতিদিন অসংখ্য মোবাইল চুরী হচ্ছে, পকেটমার হচ্ছে। পুলিশের কোণো তৎপরতা নেই। কোন এলাকায় কারা পকেট মারছে, বা কারা মোবাইল নিয়ে নিচ্ছে, সেসব নিয়ে কারো কোনো মাথা নেই। আমাদের দেশে কেউ তার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করছে না। দুই মেয়র ফুটপাত দখল মুক্ত করছেন না। পুলিশ, চোর ছিনতাইকারী আর পকেটমারকে ধরছে না। জিনিসপত্রের দাম দাম লাগামহীন।

আমাদের এলাকায় এক কসাই আছে। নাম খলিল।
খলিলকে নিয়ে স্যোসাল মিডিয়া খুব হইচই করছে। খলিল ভালো, খলিল কম দামে মাংস বিক্রি করে, খলিলের দোকানে অনেক ভিড় হয়। আমার এলাকায় খলিলের দোকান। মূলত খলিল একজন ভন্ড ব্যবসায়ী। খলিল প্রচন্ড ভাবে মানুষকে ঠকায়। খলিলের দোকানের স্টাফ গুলো মানুষকে ঠকাতে ওস্তাদ। অথচ প্রশাসন খলিলকে ফুলের মালা দিলো। একজন প্রতারক ব্যবসায়ীকে। প্রশাসনের উচিৎ ছিল আগে এলাকাবাসীর কথা বলা। আমি দিনের পর দিন দেখেছি খলিল কিভাবে মানুষকে ঠকায়। অথচ মিডিয়া একজন ভন্ড, মিথ্যাবাদী ও প্রতারক খলিল কসাইকে নিয়ে মেতেছে। হ্যা তার দোকানে অনেক ভিড় হয়। লম্বা লাইন হয়। সে প্রতিদিন ৩০/৪০ টা গরু জবাই দেয়। আসলে, বাঙ্গালী হুজুগে মাতাল ও ছাগলের মত আচরণ করে। খলিলের দোকান ৫/৬ হাত এর বেশি হবে না। খলিল রাস্তার মধ্যে গরু জবাই করে। ব্যস্ত রাস্তা। সারাক্ষন মানুষ যাতায়াত করছে। কোচিং সেন্টার আছে দুটা। বাচ্চারা এবং পথচারীরা গরু জবাই দেখে ভয় পাচ্ছে। সেদিকে কারো কোনো খেয়াল নেই। স্থানীয় থানার পুলিশ নিরব।

গতকাল শ্বশুর বাড়িতে ইফতারী করলাম।
আমার শ্বাশুড়ি বেচে নেই। আমি সুরভিকে বিয়ে করার অনেক আগেই আমার শ্বাশুড়ি মারা গেছেন। বিশাল বাসায় আমার শ্বশুর একা বাস করছেন। সুরভি এক ভাই তার স্ত্রীকে নিয়ে প্রবাসী। ছোট ভাই বেশির ভাগ সময়'ই অফিসের কাজে দেশ বিদেশ ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমার শ্বশুরের বয়স হয়েছে, কিন্তু তার পাশে কেউ নেই। তিনি এখন একা। তার জন্য আমার মায়া হয়। অবশ্য শ্বশুর মশাই এখনও কর্মক্ষম। আমি যখন'ই শ্বশুর বাড়ি যাই, সাথে সাথে শ্বশুর মশাই বাজার করতে চলে যান। ফ্রিজে মাছ মাংস সব থাকলেও তিনি বাজারে যাবেনই। বিয়ে করেছি অনেক বছর হয়ে গেছে, তবু শ্বশুর সাহেব জামাই বাজার করতে ছুটেন। শাহানা নামে একজন আছেন। বিক্রমপুর বাড়ি। উনি রান্নাবান্না করেন। তার রান্নার হাত ভালো। উনি আমাকে আব্বা বলে ডাকেন। অনেক পদের খাবার রান্না করে তিনি আমার সামনে দেন। কিছুদিন আগে শাহানা আপার বড় ছেলের বিয়ে হলো।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ১০:৪১
১০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:০২



ইউটিউব হুজুর বললেন, মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে। তখন নাকি নিজ যোগ্যতায় ঈমান রক্ষা করতে হয়। আল্লাহ নাকি তখন মুমিনের সহায়তায় এগিয়ে আসেন না। তাই শুনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মহিলা আম্পায়ার, কিছু খেলোয়ারদের নারী বিদ্বেষী মনোভাব লুকানো যায় নি

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯



গত বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল প্রাইম ব্যাংক ও মোহামেডানের ম্যাচে আম্পায়ার হিসেবে ছিলেন সাথিরা জাকির জেসি। অভিযোগ উঠেছে, লিগে দুইয়ে থাকা মোহামেডান ও পাঁচে থাকা প্রাইমের মধ্যকার ম্যাচে নারী আম্পায়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

জানা আপুর আপডেট

লিখেছেন আরাফআহনাফ, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৭

জানা আপুর কোন আপডেট পাচ্ছি না অনেকদিন!
কেমন আছেন তিনি - জানলে কেউ কী জানবেন -প্লিজ?
প্রিয় আপুর জন্য অজস্র শুভ কামনা।



বি:দ্র:
নেটে খুঁজে পেলাম এই লিন্ক টা - সবার প্রোফাইল... ...বাকিটুকু পড়ুন

বন্ধুর বউ কে শাড়ি উপহার দিলেন ব্যারিস্টার সুমন। বাটার প্লাই এফেক্ট এর সুন্দর উদাহারন।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:০৭



এক দেশে ছিলো এক ছেলে। তিনি ছিলেন ব্যারিস্টার। তার নাম ব্যারিস্টার সুমন। তিনি একজন সম্মানিত আইনসভার সদস্য। তিনি সরকার কতৃক কিছু শাড়ি পায়, তার জনগণের মাঝে বিলি করার জন্য।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×