রমজান মাসটা আমার জন্য আনন্দের।
বছরের ১১ টা মাস তো আর রমজান মাসের মতো নয়। রোজার মাসে আমি সবচেয়ে বেশী উপভোগ করি ইফতারের সময়টা। টেবিলে অনেক রকম খাবার থাকে। পরিবারের সকলকে নিয়ে খেতে বসা। আমার ছোট কন্যা ফারাজা আমাদের সাথে বসে। তাকে আলাদা প্লেট দেওয়া হয়। ফারাজা পাশে বসে আমার করে খাচ্ছে, দেখতে ভালো লাগে। আমার হাতে সময় থাকলে আমি ঘরের কাজে সহযোগিতা করি। আজও শরবত নিজের হাতে বানিয়েছি। লেবুর শরবত আমি ভালো বানাই।
জিনিসপত্রের অনেক দাম। তবুও বাজার করতে হয়।
সামান্য একটা মাঝারি সাইজের তরমুজ এর দাম ৬শ' টাকা। তাও আবার কেজিতে কিনতে হয়। তরমুজটা কাটার পর যদি লাল হয়, খুশিতে মনটা ভরে যায়। ফারাজা তরমুজ পছন্দ করে। সে তরমুজ শব্দটা বলতে পারে না। সে ইংরেজিতে বলে ওয়াটার মেলন খাবো। ইফতারের সময় অনেক রকম ফলের দরকার আছে। আনারস সস্তা। আমি আনারস খেতে পারি না। দাঁত টক হয়ে যায়। চিকন জিলাপী খেতে আমার ভালো লাগে। নিমকি, ঘুমনি সবই আমার ভালো লাগে।
ইফতারীর আইটেম বাইরে থেকে কিনে আনা সুরভি পছন্দ করে না।
আমার আবার বাইরের খাবার বেশি পছন্দ। ছোটবেলা থেকেই আমার বাইরের খাবার বেশি পছন্দ। আমি এখনও মাসে ২০ দিন সকালের নাস্তাটা বাইরে করি। আজ সুরভি ইফতারীতে গ্রীল চিকেন করেছে, নান রুটি বানিয়েছে। নুডুলস রান্না করেছে। সেমাই করেছে। মোমো করেছে। অনথন করেছে। চিকেন স্যুপ করেছে। সেই সাথে পিয়াজু, আলুর চপ আর বেগুনী তো থাকেই। সুরভি সব খাবারই ভালো করে। তার রান্নার সুনাম আছে। কিন্তু ডিম চপটা দারুন হয়।
আমি রোজা রাখি না। কিন্তু আমি আগ্রহ নিয়ে ইফতার করি।
খাবার সামনে নিয়ে আযানের জন্য অপেক্ষা করি। খেজুর দিয়ে ইফতার শুরু করি। এরপর একে একে আপেল, কমলাম আঙ্গুর খাই। প্রতিদিনই বাইরে থেকে বেশ কিছু খাবার আনা হয়। আমি প্রচুর খাই। খেতেই থাকি। তবে সবশেষে এক কাপ দুধ চা। সন্ধ্যায় বেশি খাই বলে বেশির ভাগ সময় রাতে আর খাই না। সেহেরির সময় ঘুম থেকে উঠতে পারলে সবার সাথে সেহেরি করি। আসলে পরিবারের সবার সাথে খেতে বসাটাই আনন্দের।
রমজান মাসে ইফতারীর অনেক দাওয়াত থাকে।
চাচার বাসায় যেতে হয়, শ্বশুর বাড়ি যেতে হয়, খালার বাসায়, পাশের বাসার ভাবীর বাসায়। এছাড়া অফিসে ইফতারী, এই মাসে আমাদের পরিবারের দুজন সদস্যের জন্মদিন। বড় রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠান হবে। ইফতার প্লাস ডিনার। আমাদের বাসায়ও ইফতার পার্টি হবে। আত্মীয়স্বজন আসবে। সব মিলিয়ে রমজান মাসটা ভালো কাটে। মসজিদে ইফতারী দেওয়া হয় বেশ কয়েকবার। পাড়া প্রতিবেশীদের বাড়িতে ইফতার দেওয়া হয়।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:০২