অনেকেই বাংলাদেশে মুভি বানাতে ভয় পায় যে পাবলিক খাইবো না। কিন্তু ভালো নির্মাতার মুভি আসলো কিন্তু দর্শকরা ঠিকই হামলে পড়ে। ঠিক একই ঘটনা ঘটেছে “3rd Person Singular Number” এর ক্ষেত্রে। হল ভর্তি দর্শক। কোন মতে তৃতীয় সারির জায়গাটি পেলাম । শুরু হলো মুভি । তিশার প্রতি আমার প্রবল অনাগ্রহকে পপকর্ণের মতো চিবিয়ে গভীর আগ্রহের সাথে মুভিটি দেখতে শুরু করলাম। প্রথম দৃশ্যটি সত্যিই অসাধারণ। আরে! যা শুনলাম সবই দেখি ভুল। এইটাই যদি মুভিটির মূল হয় তবে মুভিটি তো অসাধারণ হতে বাধ্য। তবে সবমিলিয়ে হতাশাজনক ফল। মুভিটির সম্পর্কে শোনা বেশীরভাগ তিক্ত মন্তব্যকে ভুল মনে করলাম কিন্তু সব মিলিয়ে মুভিটি একজন অধিক আঁতেলের আঁতলামীর ফল। একে মুভিই বলা উচিত না।
কাহিনী জানা যাক। গভীর রাত্রে একাকী হেঁটে যাচ্ছে রুবা (তিশা)। নেই কোন ঠিকানা । কোথায় থাকবে আজ এই রাত্রে সে। তার পিছু নিয়েছে কামুক পুরুষেরা। কেউ বলে, “এত রাতে আপনি এখানে কী করেন??” , কেউ বলে ,”ওই চল! ভাল হোটেলে নিমু” । অবশেষে পুলিশ কাস্টডিতে আশ্রয়(???) পায় সে। জানা যায় তার কাহিনী। মুন্না ‘র(মোশাররফ করিম) সঙ্গে “Live together” করতো সে। হঠাৎ মুন্না খুনের আসামী হয়ে জেলে গেলে রুবাকে শ্বশুড়(??) বাড়ি ছাড়তে হয়। এদিকে তার মা বিয়ে করেছে মায়ের আগের প্রেমিকের সাথে। বাবা বেঁচে নেই। জেল থেকে সে যায় তার খালাতো বোনের বাসায়। সেখানেও দুচোখের বিষ হয়ে যায় খালাতো বোনের শ্বাশুড়ীর। চাকরী ও বাসা খুঁজতে গিয়ে জঘণ্য লোকদের সামনে পড়তে হয় তাকে। অবশেষে একটি চাকরী পায় সে। তারপর দেখা হয় তার বন্ধু তপুর সাথে । ধীরে ধীরে তার মুন্নার প্রতি ভালোবাসা তপুর দিকে চলে যায়। তপুকে বলে আমি তোর ঋণ পরিশোধ করতে রাজী। এরপর মুন্না (নাম মনে হয় ভুল হচ্ছে) ছাড়া পায়। রুবা আর মুন্নাকে ভালোবাসে না। মাঝে ঢুকে পড়ে তিন লেয়ারের Hallucination। এরপর কাহিনী যে কোন দিকে যায় সেটা আমিও বলতে পারবো না। শেষ দৃশ্য শেষ হবার পর ভাবলাম এটা কী দেখলাম?? পুরাই সময় নষ্ট।
মুভিটি পুরাটাই একটা ফুঁটা বালতি । অন্য যে কোন জায়গায় খুঁত ধরলে আরো ১০০ খুঁত বের হবে। তিশার অভিনয় যে লাউ সেই কদু।। তবে তিশার Die Hard Fan দের জন্য আদর্শ মুভি। মোশাররফের মতো জনপ্রিয় তারকাকে এত কম গুরুত্বপূর্ণ রোল কেন দিল?? তপু খারাপ করেনি। মুভিটি দেখে বিশ্বাসই হয় না যে এটা সেই ফারূকীর তৈরী যে নির্মাণ করেছে “প্রত্যাবর্তন” কিংবা “স্পার্টাকাস ৭১ “ এর মতো কিছু অবিশ্বাস্য নাটক। তবে আমার আশা ফারুকী এখনও শেষ হয়ে যায়নি।
মুভিটি দেখার আগে শুনেছিলাম যে অশ্লীলতার কারণে মুভিটি দেখার অযোগ্য। তবে সেরকম খুব প্রকট আকারে কিছু নেই। তবে মুভিটি বানাতেই পারেনি। আবুল হায়াত , “কামুক বুড়ো” চরিত্র ভালোই অভিনয় করেছে। সংগীতের কথা না বললেও চলে কারণ হাবিবের “দ্বীধা” খুবই জনপ্রিয়। তবে মুভিটি আমি বলবো মি: ফারুকী, আমরা আপনার প্রত্যেক মুভি খুব আগ্রহের সঙ্গেই দেখবো। দয়া করে সামনের বার হতাশ করবেন না।
রেটিং – ০.৫ /৫
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ৮:০৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



