কাহিনী জানা যাক। কুমিল্লায় অবস্থিত একটি ছোট ফুটবল ক্লাব “আজাদ বয়েজ”। সে ক্লাবের তুখোড় খেলোয়াড় শামীম ( ফেরদৌস) অধিনায়কত্ব পায় কুমিল্লা একাদশের। যে কুমিল্লা একাদশ প্রতি দুই বছর পরপর ভারতের ত্রিপুরা একাদশের সাথে প্রীতি ম্যাচ খেলে এবং পরাজিত হয়। কিন্তু এবার তারা আত্মবিশ্বাসী কারণ এবার শামীম আছে। কিন্তু ঘটে দুর্ঘটনা। শামীম সহ সম্পূর্ণ কুমিল্লা একাদশ আহত হয়। শামীম হয় পক্ষাঘাতগ্রস্ত। কিন্তু আজাদ বয়েজ কিছু সাহসী তরূণেরা এগিয়ে আসে ত্রিপুরাকে চ্যালেন্জ জানাতে। তুহিন ( রওনক হাসান) , রাফি ( আরেফিন শুভ) , জয় (নাঈম সোবহান ) , মেসবাহ (পলাশ) সবার চোখে ভাল করার প্রত্যাশা । তাদের কোচ হন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলে সাবেক খেলোয়াড় সাফু ভাই ( তারিক আনাম) । শুরু হয় কঠোর সংগ্রাম । একমাস কঠোর অনুশীলনের পর দুটি রোমাঞ্চকর খেলার মাধ্যমে শেষ হয় মুভিটি।
মুভিটি যতই দেখছিলাম ততই মুগ্ধ হচ্ছিলাম এবং শেষ খেলার দৃশ্যটির প্রতি প্রত্যাশা বহুগুণে বেড়ে যাচ্ছিল। সেকারণে আমার মনে হয়েছে খেলার দৃশ্যটি আরো ভালো হতে পারতো। তবে যতটুকু করেছেন সত্যিই অসাধারণ। রওনক হাসান, আরেফিন শুভর অভিনয় ভালো হয়েছে।জয় চরিত্রে নাঈম সোবহান দারুণ অভিনয় করেছে। তারিক আনামের চরিত্রটি ভালো তবে Shah Rukh Khan এর Kabir Khan এর মতো শক্তিশালী নয়। ফেরদৌসের অসুস্থ অবস্থায় ভালো অভিনয় হয়েছে। ফেরদৌসের স্ত্রী হিসেবে “বিন্দু”, মুভির Glamour বাড়ালেও তার অভিনয় খুব একটা পদের না। মুভিটির সর্বসেরা ছিল এর সংগীত। অর্ণব অসাধারন কাজ করেছে। প্রত্যেকটি গান চমৎকার।
খিজির হায়াৎ খানের পরিচালনা নিঃসন্দেহে দারুণ হয়েছে। “জাগো” দেখার পর মনে হয় যে বাংলাদেশও পারে। এক কথায় “বেশ ভালো”।
রেটিং – ৩.৫/৫
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১০:৪৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




