somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রাজিন রিভিউ: Hamari Adhuri Kahani

২৯ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ১:৩৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

“কাহানি” এবং “ডার্টি পিকচার” দেখার পর বিদ্যা বালানের অভিনয়ের ভক্ত আমার মতো অনেকেই। যেই চলচ্চিত্র জগতে পুরুষদের আধিপত্যে নায়িকাদের কে শুধুমাত্র পুতুল হিসেবে ব্যবহার করা হয়, সেখানে বিদ্যা বালান প্রমাণ করে ছেড়েছেন যে একজন নারীও চলচ্চিত্রকে টেনে চাঁদেও নিয়ে যেতে পারে। তবে অনেকদিন ধরে মুখিয়ে ছিলাম কবে আবার বিদ্যা বালানের সেই নায়োকচিত রুপ দেখবো। পেলাম অবশেষে এই মুভি। এমরান হাশমি নায়ক? ধুর মিয়া। তারপর চারিদিকে এই মুভি নিয়ে গালাগালির ছড়াছড়ি। ভাবলাম এই মুভি দেখে সময় নষ্ট করার কোন মানেই হয়না। স্ত্রীর চাপাচাপিতে অবশেষে দেখেই ফেললাম। বলতেই হবে বেশ চমকপ্রদভাবেই ভালো লেগেছে।

কাহিনী জানা যাক। বিদ্যার ছোট্ট ছেলেটির যখন একমাস বয়স তখন থেকে তার স্বামী ( রাজকুমার রাও) নিঁখোজ। পাঁচ বছর কেটে গেছে। স্বামীর অপেক্ষায় এখনো বসে আছে বিদ্যা। একটি বিরাট হোটেলে ছোটখাট চাকরী করে সংসার চলে। হঠাৎ চোখে পড়ে যায় বিরাট হোটেল ব্যবসায়ী এমরান হাশমির সাথে। ব্যস তারপর প্রেম-ভালোবাসা। কিন্তু সবকিছু কি এতই সহজ? ফিরে আসে বিদ্যার স্বামী।

মহেশ ভাট তার নিজের মাতা-পিতা এবং সৎ মার কাহিনী অবলম্বনে কাহিনীটি লিখেছেন। কাহিনী খুব বেশী গভীরে গিয়ে বলিনি। যতটুকু বলেছি শুনে সবাই খুব একটা গা করবে না। কিন্তু মুভির কাহিনীতে যথেষ্ট প্যাঁচ আছে বলে মনে হয়েছে। এছাড়া প্রথম দেখায় ভালোবাসা, সেই রাতেই বিছানায় শুয়ে তারা গোনা এইধরণের আজেবাজে কোন দৃশ্য মুভিটিতে নেই। প্রধান দুজন চরিত্র বেশ ভালোভাবেই ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। বলতেই হবে তাদের ভালোবাসার প্রতি শ্রদ্ধা জন্মায়।

বিদ্যা বালানের অভিনয় নিয়ে কিছু না বললেই নয়। এত আধিপত্যের সাথে অভিনয় বলিউডে কোন নায়িকাই পারে না। এই মুভির চরিত্রটি তেমন শক্তিশালী না হলেও মুভিটির প্রধান চরিত্র অবশ্যই বিদ্যা। সংলাপ থাকুক কিংবা না থাকুক বিদ্যার অভিনয়ে সবার অবাক হতেই হয়।

ব্যক্তিগতভাবে এমরান হাশমিকে তেমন পছন্দ না করলেও এই মুভিতে বেশ ভালো লেগেছে। চুম্বনের জন্য বিখ্যাত হলেও এই মুভিতে কোন সেরকম কোন দৃশ্য নেই। অভিনয়টাও বেশ ভালোই করেছেন। এছাড়া রাজকুমার রাও এর উপস্থিতি কিছুটা কম হলেও বেশ ভালো অভিনয় করেছেন।

পরিচালনায় মোহিত সুরি এবারও বেশ ভাল করেছেন। রোমান্টিক দৃশ্যগুলি বেশ সুন্দর করে পরিচালিত। তবে মোহিত সুরির সব মুভিতে এমন একটা ভেজাল দেখানো হয় যেটি দেখে মনে হয় এটা না দেখালেও পারতো।

মুভিটির অন্যতম সেরা দিক মুভির সংগীত। প্রত্যেকটি গান অসাধারণ। জিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, অমি মিশ্র এবং মিথুন দারুন সংগীত দিয়েছেন। বিশেষ করে টাইটেল সংগীতটি বেশ সুন্দর।

মুভিটি সম্পর্কে অনেকেই অনেক কটুক্তি করছে। বলছে মুভির কাহিনী ভালো না কিংবা চিত্রনাট্য ফালতু। আমার কাছে চিত্রনাট্য, সংলাপ এবং কাহিনী বেশ ভালো বলেই মনে হয়েছে। মুভিটি তেমন ব্যবসাও করছে না। কেনই বা করবে? বিদ্যার মুভি। “কী একখান নায়িকা। শরীর এভাবে ঢেকেঢুকে রাখলে কি হয় বাপু?” - এরকম চিন্তাভাবনা করা মানুষ হয়তো ভারতে বেড়ে গেছে। তবে বলতে হবে বিদ্যাকে আরেকটু আকর্ষণীয় দেখানো সম্ভব ছিল। মুভির প্রথমদিকে বিদ্যাকে এমরান হাশমির বড় বোন বলেও মনে হয়।

যাই হোক। মুভিটি কালজয়ী কোন মুভি না হলেও বেশ ভালোই। সমাপ্তি আমার বেশ ভালো লেগেছে। এক কথায় টাইম পাস মুভি।

রেটিং – ৩ / ৫
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ১:৩৭
৮টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

×