চাঁদের বুকে এ পর্যন্ত কতজন হেটেছে জানেন?
উত্তর হবে ১২ জন
কিন্তু, টুইন টাওয়ারের নর্থ টাওয়ার হতে সাউথ টাওয়ারে একটি মাত্র দড়িতে হেটে পাড়ি দিয়েছে শুধু একজন।
ভাবতে পারেন কি? শুধু মাত্র একটা দড়ির উপর ১৩৫০ ফুট উচ্চতায় একটা মানুষ হাটছে।সাথে নেই কোন সেফটি লক।হ্যা এই কাজটিই করেছিলেন ফিলিপ। ১৯৭৪ সালের ৭ আগষ্ট ২৪ বছর বয়সী ফিলিপ এ কীর্তি গড়েছিলেন ।ফিলিপ একপ্রান্ত হতে অপরপ্রান্তে গিয়েছিলেন আটবার।প্রায় ৪৫ মিনিট দড়িতে ছিলেন ফিলিপ।
ছেলেবেলায় সার্কাস দেখতে গিয়ে দড়িতে হাটতে দেখে এই খেলার প্রেমে পড়েন ফিলিপ।একসময় বাবা বাড়ি থেকেও বের করে দেন। কিন্তু ফিলিপ থামেন নি।তিনি তার ফটোগ্রাফারের সহায়তায় প্রথম হাইওয়্যার ওয়াক প্রদর্শন করেন প্যারিসের নটর ডেইম ক্যাথেড্রাল এ।অনুমতি বিহীন কাজের কারণে তাকে জেলে যেতে হয়।
তিনি ই চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়েছেন, মানুষের পক্ষে কিছুই অসম্ভব নয়।একাগ্রতাই সবচেয়ে বড় বিষয় তা বোঝা যায় এই মানুষটিকে দেখে।
The walk সিনেমাটা বলতে গেলে ফিলিপের সম্পূর্ণ বায়োগ্রাফি।
লেখতে বসার সময় The walk মুভিটির রিভিউ লিখব বলেই বসে ছিলাম।কিন্তু, আমার লেখাটাও বায়োগ্রাফিই হয়ে গেলো।
তাহলে মুভি নিয়েও কিছু কথা বলি,
“ছবির ট্রেলার দেখার পরই ছবিটা দেখার ইচ্ছা হয়েছিলো।
পরিচালক রবার্ট জেমেকিস, অভিনেতা জোসেফ গর্ডন লেভিট, গ্রাফিক্স প্যানেল সবার প্রতি হ্যাটস অফ।তারা হতাশ করেন নি।তারা ১৯৭৪ সালের সেই সকালের দৃশ্যটা চিত্রায়ন করে তুলে ধরেছেন খুব নিখূত ভাবে।ফিলিপ তার টুইন টাওয়ার মিশনের আগে রেকি করার সময় তার পায়ে লোহা ঢুকে যায়। আহত পা নিয়ে হাটা চলা স্টেপস গুলো সব নিখূত।”
মুভিটিতে ফিলিপের একটি কথা আমার কাছে সবচেয়ে শক্তিশালী লেগেছে “It is impossible… but I will do it “.
মুভিটা অবশ্যই দেখবেন। আপনার অবশ্যই ভালো লাগবে।
আর ফিলিপ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে নিচের লিংকে যেতে পারেন।
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Philippe_Petit
IMDb তে মুভিটির রেটিং প্রায় ৮ হলেও আমার কাছে ৯ ই পাবে।
১৯৭৪ এর ৭ আগষ্টের ছবি
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:৪৩