গত ২৯ আগস্ট বৃহঃস্পতিবার কুষ্টিয়া লালন শাহ ডায়াগনষ্টিক হাসপাতালে সন্ধা ৭টার সময় এক নবজাতকের জন্ম হয়। মায়ের কিছু অসুবিধার কারনে ডেলিভারী ডেট এর অনেক আগেই বাচ্চাটি ভূমিষ্ট হওয়ায় সে অপুষ্ট ভাবে জন্মায়। কর্তব্যরত ডাক্তার বাচ্চাটিকে শুধু অক্সিজেন দিয়েই কেটে পরে____
এভাবেই পরে থাকে শিশুটি, রাত ৯টার দিকে কর্তব্যরত নার্স এসে জানায়
"আপনারা যদি বাচ্চার উন্নত চিকিৎসা দিতে চান তাহলে স্যার বলেছেন সনো টাওয়ারে তার সাথে দেখা করতে, উনি রেফার্ড লিখে দিয়ে গেছেন। "
গ্রাম্য অভিভাবক রাত ১০ টার দিকে ছুটাছুটি করে বাচ্চা নিয়ে গেলেন সনো টাওয়ারে। সেখানে গিয়ে দেখা গেল ডাক্তার সাহেবের কোন হদিস নাই। উনাকে খুজে পাওয়া যাচ্ছেনা, অন্য ডাক্তাররা থাকলেও শিশুটিকে দেখছে না। কারন, এটি তার রেফারেন্সে আসা রোগী না। অনেক বার ফোন করার পরে রাত ১১ টার সময় একজন ডাক্তার এসে বললেন
"আপনাদের ডাক্তার তো আজ রাতে আসতে পারনবন না, আপনারা কি আমার অধীনে পেশেন্ট ভর্তি করাবেন? তাহলে আমি দেখতে পারি"
অভিভাবক ত্ৎক্ষনাৎ বাচ্চাটিকে ভর্তি করে।
বাচ্চাটিকে ইনকিবিউটরে রাখা হয়। দুদিন যাবৎ চিকিৎসার পর ০১ সেপ্টেম্বর শনিবার ডাক্তার জানায়
"এখানে আর চিকিৎসা হবে না, বাচ্চা নিয়ে ঢাকা চলে যান"
এর কিছুক্ষন পর একজন নার্স এসে বলে
" আরে এই বাচ্চাতো ডিসচার্জ হয়ে গেছে এখনও অক্সিজেন চলে কেন?" বলেই তাড়াহুড়ো করে বাচ্চাটির অক্সিজেন খুলে নেয়।
এক পর্যায়ে বাচ্চাটি অক্সিজেনের অভাবে ছটফট করতে থাকে। এ ব্যাপারে কর্তব্যরত নার্সদের জানালেও ওরা গড়িমসি করতে থাকে। বলতে থাকে, ডাক্তার এসে যা বলবে তারা তাই করবে।
শেষপর্যন্ত বাচ্চাটি এভাবে ছটফট করতে করতেই মারা যায়।
বলুন এসব ডাক্তার আর নার্সদের কি করা উচিৎ???????????

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



