আমরা বাংলাদেশীরা অনেক বেশি আবেগি, অনেক বেশি হুজুগে, অনেক বেশি পরশ্রীকাতর। কিন্তু অনেক সময় ভুলে যাই আমাদের এই অতি আবেগ কিংবা আমাদের এই হুজুগেপনা অনেক বেশি কষ্টেরই জন্মদেয়, ভালোলাগার চাইতে। এটা একেবারে ব্যক্তিগত পর্যায় হতে শুরু করে সামাজিক এমনকি রাষ্ট্রীয় পর্যায়েও। অদ্ভুত আমাদের আবেগ আর তার বহিঃপ্রকাশ।
তামিমের মত খেলোয়াড় কয়েক ম্যাচ খারাপ খেললেই আমরা তাকে দল থেকে ছুড়ে ফেলতে উঠে পরে লেগে পরি। আবার সেই তামিমই যখন একটা দারুন ইনিংস খেলে তখন তাকে মাথায় তুলে নেই। অদ্ভুত আমাদের আচরন!!
খেলা নিয়ে লিখতে গিয়েও মনের মাঝে একটা বিষয় খুব বেশি আলোড়ন তুলেই যাচ্ছে।
এত সুন্দর বৈশাখের শুরুটাও আবার কালিমাখানো ঘটনা দিয়েই শুরু হলো!!!! সেটা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কিম্বা জাহাংগীরনগর অথবা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ই হোক, সবখানেই আবার হায়নাদের আনাগোনা, আবারো সেই মেয়েদের সাথে খারাপ ব্যবহার, আবারো সেই একি ঘটনা!!
আমরা আসলেই কি পুরুষই থেকে যাবো, মানুষ হবোনা??
মাঝে মাঝেই যখন দেখি রাস্তায় কোন কোন পুরুষ(!!) হেটে যাবার সময় সামনে থেকে আসা কোন মেয়েকে ধাক্কা দিতে অথবা শারীরিক ভাবে স্পর্শ করতে চেষ্টা করছে, খুব প্রতিবাদ করতে ইচ্ছে করলেও পারিনা। নিজেকে খুব ছোট মনে হয়। মেয়ের দিকে তাকাতে লজ্জা লাগে কারন সেতো আমাকেও ওই লোকটার মতই আরেক পুরুষ ভাবছে?? চেষ্টা করি ধাক্কা দেয়া লোকটার দিকে গরম চোখ নিয়ে তাকাতে, বুঝিয়ে দিতে আমি দেখেছি তার অমানুষী এবং বিরক্ত- রাগ হয়েছি। একবার প্রতিবাদ করতে গিয়ে উল্টা শুনেছি যাকে ধাক্কা দিলাম সে মেনে নিলো, আপনি কে??
সত্য কথা হচ্ছে আমরা, নিজেদের উপর না এলে খুব সহজেই এড়িয়ে যেতে পছন্দ করি।
মেয়েদের প্রত্যেকের উচিত আত্মরক্ষাকার প্রাথমিক ধাপ গুলি জানা এবং পারলে জুডু, কুংফু শিখা। এতে করে হয়তো নরপশুদের হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারবেনা কিন্তু দুই একজনকে ক্ষত বিক্ষত করে বুঝিয়ে দেয়া যাবে শুধুই লজ্জিত হতেই নয়, লজ্জা দিতেও জানি।
হয়তো ৫-১০% পুরুষ এমন খারাপ হতে পারে কিন্তু তার দায়ভার বাকী ৯০% পুরুষ নেবো কেন??
আমাদের উচিত প্রতিবাদ করা আর তাও না পারলে মনে মনে ঘৃনা করা, আর আমার ছেলেদের শিক্ষা দেয়া, আগে মানুষ হও, পুরুষতো তুমি আছোই। মেয়েদের গায়ে হাত তুলে আর যাই হও তুমি বীর হতে পারবেনা। তোমাকে বীর প্রমান করতে নিজেকে নিয়ন্ত্রন করতে শিখতেই হবে।।।