প্রতি বছর একুশে বইমেলা শুরু হলে আমার চিন্তা থাকে একদিন হলেও বই মেলায় যাবো। আমি যেহেতু বরিশাল থাকি, তাই ইচ্ছা থাকা সত্তেয় বই মেলায় আর যাওয়া হয়না। এবার আমি মোটামুটি রেডি, যেভাবেই পারি যাবো। ৩টি কারনে বইমেলায় যওয়ার প্রয়োজন অনুভব করলাম। এক: রণদীপম বসুর কবিতার বই কেনা ,তার অটোগ্রাফ নেয়া ও তার সাথে এক কাপ চা খাওয়া, দুই: সামহোয়ারের স্টলে যেয়ে বই কেনা এবং ব্লগারদের পেলে একটু আলাপ করা, তিন: যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবীতে গন স্বাক্ষরে একটি স্বাক্ষর করা। কিন্তু অনেকটা অর্থনৈতিক কারনে এবারও আমার বইমেলায় যাওয়া হলো না। গণ স্বাক্ষরে শরিক না হতে পারাটা ছিল আমার জন্য খুব কষ্টের। পরে ভেবে দেখলাম কাজটা এখনও সম্ভব। সামহোয়ারের সাইট থেকে ফরম ডাউনলোড করে তাতে স্বাক্ষর করে পাঠিয়ে দেয়া সম্ভব। অতএব তাড়াতাড়ি লেগে গেলাম কাজে। কমপক্ষে ৫০ জনের স্বাক্ষর সংগ্রহ করার টার্গেট করলাম। ফর্ম ডাউনলোড আর ৩কপি প্রিন্ট করতেই আমার ৬০টাকা চলে গেল। আমার টোটাল বাজেট ছিল স্বাক্ষর সংগ্রহ করে ফর্ম কুরিয়ার করা পর্যন্ত ৫০টাকা। কালার লেজার প্রিন্ট করাতেই এই বারতি টাকা...। যাই হোক, ৫০ জনের স্বাক্ষর আর আমার নেয়া হবেনা বুঝলাম। ৩০ জনই আমার টার্গেট। শুরু করলাম বি.এম কলেজের সামনো থেকে। প্রথম দিন কারো স্বাক্ষরই নিতে পারলাম না। প্রায় হাল ছেড়েই দিচ্ছিলাম। বন্ধু চুন্নু আস্বাস দিলো, কেউ যদি না দেয় তবে সে আর আমি, এই দুটো স্বাক্ষর দিয়ে সে তার নিজের খরচে কুরিয়ার করে পাঠিয়ে দিবে। কিছুটা ভরসা পেয়ে ২য় দিনে আবার শুরু করলাম। কোন ব্যানারের ব্যবস্থা করতে পারিনি। তাই Flexi Load এর দোকানে আস্তানা গেড়ে স্বাক্ষর সংগ্রহ চললো। ২য় দিন থেকে বিচিত্র প্রতিক্রিয়া পেলাম। কেউ খুব আগ্রহ করে স্বাক্ষর করলো আবার কেউ মনে হয় আমাকে চিনে রাখলো, চান্স পেলে সাইজ করবে টাইপ দৃষ্টি দিয়ে। আবশেষে ৩০টি স্বাক্ষর সংগ্রহ করে তা কুরিয়ার করে দিলাম।
সবকিছুর জন্য বন্ধু চুন্নুর জন্য কৃতজ্ঞ। তার দোকানে বসে পুরো কাজটি করতে পেরেছি। আশে-পাশের কিছু ছোট ভাইও আমাকে অনেক সাহায্য করেছে। এ লেখার মাধ্যমে তাদেরকে থ্যাঙ্কস দিলাম।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




