আমরা জীবন তরি নাম শুনেছি অনেক আগে কিন্তু সেটি যদি হয় একালের অদ্ভুত জীবন তরি। তবে কেমন হবে ???? একদিন যে ছেলেটি ছিল ভোরের পাখি বা বলা যায় যে ছেলেটি পাখি ডাকা ভোরে ঘুম থেকে উঠে পড়ালেখা করতো। সে আজ ঘুমায় দুপুর ১টা বা ২টা পর্যন্ত। পড়ালেখা করেই না। সে শুধু ভাবে তার নিয়তির কথা। কিন্তু কেন?? সেও তো ভাল ভাবে বাচতে বা ভাল কোন বা মহতী কোন ইচ্ছে নিয়ে জীবন তরির দাড়ি বাইছিল। খুব মনযোগী ছিল। তার জীবন তরি নিয়ে । আজ কেন সে জীবন তরির ভার আর বাইতে পারতেছে না। কারনটা কি কেউ কি কখনো জানার চেস্টা করেছি? না, করি নি। করবো বা কেন সেটা তো আমার দেখার বিষয় না। কোন ছেলে কি করলো তা আমি কেন ভাববো। সেটা তো জীবন তরির মালিক দেখবে। আমার তো তাতে কিছু যায় আসে না।
হ্যা সত্য কথা বাস্তবতারর কথা এটা। কারন আমরা এক জন অন্য জনের খোজ খবর কমই রাখি। আর সে সময়টাই বা কোথায় আমাদের? আমরা সবাই সবার মত নিজের তরি নিয়ে ব্যাস্ত।
ওই ছেলেটি এক দিন বড় হবার স্বপ্ন দেখেছিল পড়ালেখা করে সে মস্ত বড় হবে। কিন্তু সে হতে পারেনি। কারন নোংরা রাজনীতি তাকে হতে দেয় নি। কারন সে রাজনীতি করতো না। সে ছিল আট দশটি ছেলের মত স্বাধারন। সে বিশ্ববিদ্যালয়কে মনে করেছিল বিদ্যা বা জ্ঞানের ভান্ডার। তাই সে জ্ঞানচর্চায় মশগুল ছিল। কিন্তু জ্ঞান সে ঠিকই পাইলো কিন্তু রাজনীতি তাকে বড় হতে দিল না।
সে রাজনীতির বলি হয়ে পড়ে রইলো আস্তা কুরে। কেউ তার আর খোজ রাখলো না।
আমাদের দেশের চাকুরির বাজার আজ এই রাজনীতি বেড়াজালে এভাবেই বন্দী। আজ শুধু জ্ঞান থাকলেই চাকুরি পাওয়া যায় না লাগে রাজনৈতিক দলের পরিচয়। সে কোন দলের রাজনীতি করে আজ সেটাই মুক্ষ্য বিষয়, জ্ঞান নয়। আর এজন্যেই তৈরি হচ্ছে মামা চাচার দৌড়াত্ত।
এবার আসি ওই তরি বাহি ছেলেটির কথায়, যে শুধুই আজ ঘুমায় আর ভাবে। কেন? কি নেই?
আর ওই ছেলেটির মামা বা চাচা কেউ নেই তাই সে আজ শুধু ঘুমায় আর ভাবে কেন মামাবা চাচা যোগার করলাম না? তাহলে আমার কষ্ট করে পড়ালেখা করে অর্জন করে আজ বেকার হয়ে ঘুরে বেরায়ে হতো না।