চাকরী।
একটা চাকরীই যেন জীবনের সবকিছু। না ব্যবসা না বাণিজ্য, না সমাজসেবা না রাজনীতি, না শিল্প না সাহিত্য। একজন পাশকরা তরুনের ওসব কিছুই প্রয়োজন নেই। একটা চাকরি পাওয়াই এখন জীবনের একমাএ লক্ষ্য। আমাদের আর্থসামাজিক দুরবস্থা ও নিরাপত্তাহীনতাই এর জন্য দায়ী। দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠ থেকে পর্দাথবিদ্যায় পাশ করা আমার এক বন্ধু এখন সোনালী ব্যাংকের কেরানী (সিনিয়র অফিসার)। অথচ তার হওয়ার কথা ছিলো একজন পদার্থবিদ, একজন গবেষক। সুযোগ পেলে হয়তো রোগা-পটকা কিন্তু অতি মেধাবী এই ছেলেটিই একদিন কিছু একটা আবিষ্কার করে ফেলতে পারত। বেচে থাকার তাগিদে এখন সে সকাল হতে প্রায় মধ্যরাত অবধি কলম পিষে।
আরেকজন জাবি থেকে রসায়নে অনার্স-মাস্টার্স। সেও একটা প্রাইভেট ব্যাংকের হাই সেলারীর কেরানী। হা খোদা এ কোন জাতের দেশ। একটা ছেলেকে একজন রসায়নবিদ বানানোর জন্য একটা প্রতিষ্ঠান(জাবি) অর্ধযুগ পরিমাণ সময় এত পরিশ্রম করলো; তাতে কী লাভ হলো? জনগনের টাকায় পরিচালিত এই প্রতিষ্ঠানগুলোর কাজ কি শুধু কেরানী বানানো?
আমরা কাদের নিয়ে এগিয়ে যাব! কারা আমাদের নোবেল এনে দেবে! সত্যিকার অর্থে এ দেশে মেধাবীর অভাব নেই; অভাব আছে সুযোগের্।
এদেশে চাকুরিলাভ মানে মোক্ষলাভ।
বি:দ্র: সিনিয়র অফিসারকে কেরাণী বলার জন্য সরি।