মানিকের প্রাগৈতিহাসিক গল্পটি পড়েছেন?
প্রশ্নটি শুনে আমি কিছুটা চমকে উঠলাম। আমি মেয়েটির দিকে তাকালাম। প্রকৃতপক্ষে আমি মেযেটির দিকে প্রথমবারের মতো তাকালাম। যেন ধ্যানমগ্ন, টলটলে কাজল দুটি চোখ । প্রথম দর্শনেই প্রেমে পড়ার মত নয় বটে তবে মেয়েটির একটি কথা শুনলে আরেকটি প্রশ্ন করতে ইচ্ছা করে।
গল্পটি পড়েছি কি পড়িনি তার জবাব না দিয়ে আমি বলতে লাগলাম “সমস্ত বর্ষাকালটা ভিখু ভয়ানক কষ্ট পাইয়াছে। বৈকুন্ঠ সাহার বাড়িতে ডাকাতি করিতে গিয়া তাহাদের দলকে দল ধরা পড়িয়া যায়। এগারো জনের মধ্যে কেবল ভিখুই কাধে একটা বর্শার খোচা খাইয়া পলাইতে পারিয়াছিলো.........”।
আমার উত্তর শুনে এবার সে কিছুটা চমকে উঠল। সে আমার দিকে তাকালো। প্রকৃতপক্ষে, সে আমার দিকে প্রথমবারের মতো তাকালো।
তার দৃষ্টিতে ধ্যানমগ্নতা, আমার চোখে খেয়ালীপনা। তার হাসি প্রশ্নবোধক, আমার হাসি উদ্দেশ্যহীন। সে মেপে কথা বলে, আমি পারলে ঝগড়া করি। সে একরোখা, আমি আপোষকামী। তার সবকিছুতেই যন্তের ছাপ, আর আমার সবকিছুতেই নয়-ছয়, পড়ালেখাটাও ভালোমতো করলামনা................
ব্যস! দুজনের পথ গেল দুদিকে চলে। এত কিছুতে যাদের অমিল, তাদের ঠিকানা মিলবে কি করে। তবে চুম্বকের বিপরীত মেরুই একে অপরকে আর্কষণ করে। জানিনা এই বৈপরিত্যেই কিনা সে বলেছিলো আমার অযন্তে লালিত রুক্ষ চুলেই নাকি আমাকে ভালো লাগে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




