২০১০ এর মে মাসে কম্পিউটার সাইন্সে এম এস করতে ওকলাহোমা সিটি ইউনিভার্সিটি (ও সি ইউ) গিয়ে হাজির হলাম, সামার ওয়ান সেমিস্টার ধরতে । ৬ সপ্তাহের শর্ট সেমিস্টার , এরপর চাইলে সামার টু করা যাবে, আবার বসে থাকাও যাবে । ফল আর স্প্রিং না করে বসে থাকা যাবে না, স্টুডেন্ট স্ট্যাটাসে সমস্যা হবে ।
দেশে থেকে স্বপ্নের দেশ সম্পর্কে যা শনেছি, গিয়ে দেখি পুরাটাই স্বপ্ন ভংগ ! দেশের মানুষের ধারণা ওখানে পয়সা খালি উড়ে বেরায়, হাত বাড়িয়া শুধু ধরলেই হয় - একটা পুরা সেমিষ্টারের খরচ নিয়ে আসলে আর চিন্তা নাই - আরো কত কি ! আর বাস্তবতা দেখলাম আন্ডারগ্র্যাড করতে করতে ৩০-৪০ হাজার ডলার ঋণখয়ে যায়, মাস্টর্স করতে ২০ হাজার । ফিনেনশিয়াল হেল্প - এসিস্ট্যান্টশীপ এসব অনেক জায়গায়-ই থাকে না, আপনি যত মেধাবী বা যোগ্যই হন না কেন !
ধর্মীয় দিক থেকে রক্ষণশীল হওয়ায় ক্রেডিট কার্ড নেব না, গ্রোসারীতে কাজ করতে হলে লিকার বেচা লাগে, সেটাও বেচব না, পিজা ডেলিভারী করলে পর্ক বিতরণ করে বেড়াতে হবে, সেটাও করব না, চলব কিভাব ?
বন্ধু-বান্ধব বুদ্ধি দিল নিউ ইয়র্কে লিকার - পর্ক ছাড়া বাংগালী দোকান -হোটেলের কাজ আছে, সেখানে কিছু একটা পেতে পার । সেই কিছু একটার আশায় 'সামার টু' র ৬ সপ্তাহ নিউইয়র্কে কাটানোর উদ্দেশ্য রওনা ।
( চলবে )
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:৪৬