দুমলং-এর ভাজে ভাজে মেঘের খেলা !
বাংলাদেশের সর্বোচ্চ চুড়া মদক তং বা সাকাহাফং অভিযানের পর দেশের এডভেঞ্চার প্রেমীদের চোখ পরে দুমলং এর উপর । রেংত্লাং রেঞ্জের সর্বোচ্চ চুড়াটি তখনও দুমলং নামে পরিচিত হয়নি । গুগুল আর্থ - এ এটাকেই দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ চুড়া হিসেবে দেখাত । রেংত্লাং এর সর্বোচ্চ চুড়া হিসেবে একে রেংত্লাং নামেই ডাকা হতো ।
মেঘের আড়ালে দুমলং
২০১২ সালে নেচার এডভেঞ্চার ক্লাবের রুবেল- হক প্রথম অভিযাত্রী দল হিসেবে এটা আরোহন করেন। তখন স্হানীয়দের কাছ থেকে জানা যায় রেংত্লাং এর এই চুড়াটা স্হানীয়রা দুমলং নামেই ডাকে। দুমলং মুলত একটি ঝিরি বা ছোট পাহাড়ি নদী , যেটা পাহাড়ের গা বেয়ে কয়েক কিলোমিটার উত্তরে রাইখান নদীটে মিশেছে । এই ধারাটির উৎস হিসেবে চুড়াটাকেও দুমলং বলা হয় ।
দুমলং এর তিনটি চুড়া , উত্তরের চুড়া, পশ্চিমের চুড়া আর আসল চুড়া।
গুগুল আর্থ এর একটা সমস্যা আছে কোন কোন স্হানকে একটু বেশী উচু বা নীচু দেখানোর। মুলত সাটল রেডার ডেটার রিডিং প্রতিটি বিন্দুর উচ্চতা মেপে নেওয়া হয় না, বরং কয়েয়টি পয়েন্ট এর রিডিং নেওয়ার পাশাপাশি মধ্যবর্তী বিন্দুগুলোর জন্য এর একটা গড় নেওয়া হয় । আর বিভ্রাট ঘটে সেখানেই। পর্বতের সর্বোচ্চ বিন্দুর রিডিং না নিয়ে কাছাকাছি দুটি বিন্দুর গড় নিলে মুল উচ্চতা থেকে রিডিং কম দেখাবে। আবার গভীর খাতের কাছাকাছি দুটা পয়েন্ট এর গড় নিলে উচ্চতা বেশী দেখাবে ।এই কম বেশী দেখানোর -ও আবার একটা প্যাটার্ন আছে । কোন খাড়া পাহারের চুড়ার আশে পাশের পয়েন্ট গুলো বেশ নীচু হ, আর ফ্ল্যাট পাহাড়ের চুড়ার আশ পাশটা কম নীচু হয়। তাই খাড়া চুড়াগুলোতে গুগুল আর্থের ভুলের পরিমান বেশী আর ফ্ল্যাট চুড়াগুলোতে কম ।
চুড়া হিসেবে দুমলং অনেকটাই ফ্ল্যাট, ২য় সর্বোচ্চ চুড়া জ-ত্লং এর তুলনায়। কিন্তু জ -ত্লং এর খাড়া ঢাল এর কারণে গুগুল আর্থ - এ এর উচ্ছতা বেশ অনেকটাই কম দেখায়। আর সেই সুযোগে দুমলং হয়ে গেছে গুগুল আর্থ -এ দ্বিতীয় !
জি পিএস রিডিং - এ ৩৩১৫ ফুট পেয়েছিলাম । ( কেওক্রাডং ৩২৩০ ফুট পেয়েছিলাম)
যাই হোন দ্বিতীয় মনে করেই এর খোজ খবর আর অভিযানের চেষ্টা চলতে থাকে । অবেশেষে জ_ত্লং কয়েকটা অভিযাত্রী দল মাপার পর-ই নিশ্চিত হওয়া যায় দুমলং ২য় না , বরং ৩য় ।
ট্রেকে প্রথম দেখা হয় দুমলং এর সাথে হারমন পাড়ার কাছাকাছি।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:৩০