somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ল্যাংটাং ভ্যালি ট্রেক-২

২১ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :







লামাতে রাত্রিযাপন-

সন্ধে নামতেই বেশ ঠান্ডা পড়ে গেল। আমরা সহ অন্যান্য দেশের ট্রেকাররা ডাইনিংয়ে ফায়ারপ্লেসের বিনাপয়সার উষ্ণতায় যার যার মত আড্ডায় মেতে উঠলাম। সারাদিনের ক্লান্তির পর ট্রেকিংয়ের এই সময়টা বেশ ভালো যায়। নানা দেশের মানুষজনের নানা ভাষা। কেউ কেউ এসে পরিচিত হয়, কারো সাথে যেচেই পরিচিত হই। সঙ্গে গরম গরম মোমো, স্যুপ কিংবা দারুন লেমন টি। বাংলাদেশ থেকে ট্রেকিং করতে এসেছি শুনে সাদা চামড়ারা একটু অবাকই হয় মনে হয়। তাদের কাছে হিমালয় ট্রেকিং একটি ব্যায়বহুল ইভেন্ট। ইউরোপ, আমেরিকা থেকে নেপাল পর্যন্ত আসতে প্লেন ভাড়াই অনেক পড়ে যায়, তারপর এরা অধিকাংশই ট্যুর অপারেটরের মাধ্যমে ট্রেক এরেঞ্জ করে, ইমার্জেন্সি ইভ্যাকুয়েশনের জন্য মোটা টাকা ইন্সুরেন্স প্রিমিয়াম দেয়, মোদ্দা কথা সমস্ত সেফটি প্রিকশন নিয়ে তারপর পথে নামে। গত বছর অন্নপুর্না ট্রেকে একদল জাপানী বাংলাদেশ থেকে এসেছি শুনে প্রশ্নই করে ফেলল নিজ দেশে আমরা কি অনেক টাকা বেতন পাই কিনা? যদিও আমরা বাংলা সিষ্টেমে বেশ সস্তার উপর দিয়ে চালিয়ে দেই। লাক্সারী বলতে পোর্টার আর একজন গাইড। রাত আটটার পরেই দ্রুত খালি হয়ে গেল ডাইনিং। সবাই নিদ্রা দেবীর আরাধনা করতে চলে গেল। অগত্যা আমরাও যার যার রুমে চলে গেলাম। থাকার ব্যাবস্থা খুবই বেসিক। ছোট্ট ঘিঞ্জি রুমের দুপাশে ততোধিক ছোট দুটি খাট, উপরে পাতলা তোষক সাথে ভারি লেপ। ব্যাবস্থা দেখে ভরসা পেলামনা ডাউন স্লিপিংব্যাগ বের করে তার ভেতরে সেধিয়ে ঘুম। রাতের তাপমাত্রা প্রায় শুন্যের কাছাকাছি থাকলেও ডাউন স্লিপিংব্যাগ কিছুই টের পেতে দিলনা। খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে লাক্সারী হিসেবে গাইডের ব্যাবস্থা করা একমগ গরম পানি দিয়ে হাত মুখ ধুয়ে গরম গরম পরিজ আর দুধ বিটকেলে মিক্সার কোন রকমে গলায় ঢেলে দ্রুত রেডি হয়ে নিলাম। অন্যান্য দেশের ট্রেকাররা আমাদের বেশ আগেই রওনা হয়ে গিয়েছে।

লামা হোটেল টু রিভারসাইড-

হিসাব মতে আজকের দিনটি সবচেয়ে কঠিন হবার কথা, ভার্টিক্যালি উঠতে হবে প্রায় ১৩০০ মিটার আর এই ১.৩ কিলোমিটার ভার্টিকেল হাইট গেইন করতে দুরত্ব অতিক্রম করতে হবে প্রায় ১৫ কিলো। আজকে শেষ গন্তব্য ৩৫০০ মিটার উচ্চতায় ল্যাঙ্গটাং ভিলেজ। মাঝখানে তিনটি বিরতি। প্রথমটি রিভারসাইড (২৮০০ মিটার), দ্বিতীয়টি ঘোড়াতাবেলা (৩০০০ মিটার) এবং সবশেষে থাংশিয়াপ গ্রাম (৩২০০ মিটার)। একদিনে ১৩০০ মিটার অলটিচ্যুড গেইন যে কোন বিচারেই চ্যালেঞ্জিং কিন্তু সময় স্বল্পতার কারনে আমাদের উপায় নেই। সুতরাং খেলারাম খেলে যা। শুরু থেকেই খাড়া পাথুরে সিড়ির বিরামহীন বিস্তার মনে হচ্ছিলো শেষ হবার নয়, হাটুর কঠিন পরীক্ষার কথা না হয় বাদই দিলাম। আধা ঘন্টার মধ্যেই হাড় কাপানো ঠান্ডা ধুয়ে মুছে গেলো জিহবা বের করা পরিশ্রমে। ঘন্টাখানেক একবেকে টানা ওঠার পর জানে পানি আনা প্রথম ব্রেক রিভারসাইডে। চারপাশে পাইন আর ওকে গাছের ছায়ায় মায়াময় এক জায়গা। পাশ দিয়ে বয়ে গেছে আরো উপরের গ্লেসিয়ার থেকে বয়ে আসা তীব্র খরস্রোতা ফেনিল দুধকোশী নদীর অন্যতম উৎস। এর পাশে বলেই জায়গাটির নাম রিভারসাইড। ঝর্নার ধারে ছোট্ট একটি গ্রোসারী, ট্রেকারদের আপ্যায়নের জন্য বসার ব্যাবস্থা, ঘোড়ার আস্তাবল এই ই। সেবা প্রকাশনীর পড়া ওয়েষ্টার্ন বই থেকে তুলে আনা দৃশ্য বলে মনে হবে প্রথম দর্শনেই। চটজলদি লেমন টি খেয়ে কিছু ফটুক তুলে দেশ থেকে নিয়ে আসা প্রানের ম্যাঙ্গোবার ঠেসে মুখে ঢুকিয়ে আবার যাত্রা। একটু ব্রেক পেয়ে মনে ফুর্তি কিন্তু কে জানতো কিছুক্ষন পরেই আমার ছ’বছরের ট্রেকিং জীবনে সবচেয়ে বড় বাঁচা বেঁচে যাবো।

রিভারসাইড টু ঘোড়াতাবেলা-

রিভারসাইড পার হয়ে পাথুরে ট্রেইল একেবেকে উপরে উঠে গেছে। যথারীতি এক পাশে অতলস্পর্শী খাদ, ঝর্নার পাড় পর্যন্ত নেমে গেছে আর অন্যপাশে পাথুরে গা উঠে গেছে অনেক উপরে। বামন আকৃতির গাছপালা আর ঝোপঝাড় পাথুরে গা ঢেকে রেখেছে দু পাশেই। মাঝেখানে এক দেড়শ মিটারের একটা জায়গা একদম এক্সপোজড্‌, ঐ অংশে ট্রেইল সরু হয়ে প্রায় দেড় ফিট মতো চওড়া আর কিনারা থেকে একদম ভার্টিকেলি একদম খাড়া নেমে গেছে নিচে। কোন গাছপালার আড়াল ও নেই খাড়া গায়ে। আর উলটোদিকে প্রায় লম্বভাবে পাথুরে গা উঠে গেছে একদম খাড়া। সেখানেও কোন গাছপালা ঝোপঝাড় নেই। আমার এক সঙ্গী আমাকে অতিক্রম করে বেশ এগিয়ে আর বাকী দুই সঙ্গী অনেক পেছনে পড়ে আছে। আমার শ’খানেক ফুট পিছনে এক তরুন বৃটিশ ট্রেকার আর বেশ কিছু পিছনে এক দল ফ্রেঞ্চ। ঐ এক্সপোজড্‌ জায়গাটা আস্তে আস্তে সাবধানে পার হচ্ছিলাম। মাঝামাঝি যখন গিয়েছি হঠাৎ দুটো আওয়াজ প্রায় একসাথে শুনলাম। পিছনে থেকে বৃটিশ তরুনের চিৎকার আর উপরে পাথরে পাথরে ঠোকাঠুকি হলে যে ধরনের আওয়াজ হয় সে রকম আওয়াজ। উপরে তাকিয়ে দেখি পাথর ধ্বসে ছোট বড় নানা আকৃতির পাথর গড়িয়ে আসছে। এক সেকেন্ডের ভিতর মাথার ভিতর অনেক চিন্তা খেলে গেল। প্রথম যে ভাবনার উদয় হলো তা হল সীমাহীন ভয়, আমি শেষ। তারপর যা করলাম তা সচেতন ভাবে আমার মস্তিষ্ক আমাকে দিয়ে করালো নাকি আমি আতঙ্কগ্রস্ত করেছি তা আমি আর এখন মনে করতে পারিনি। শুধু এটুকু মনে করতে পারি আমার পা দুটি ফ্রিজ হয়ে গেল। সামনে বা পিছনে গিয়ে পাথর ধ্বস এড়িয়ে যাবার সময় নেই। হাতের মুঠির সাইজের একটি পাথর উপর থেকে যে ভরবেগ নিয়ে আঘাত করবে তাই যথেষ্ট খুলি গুড়িয়ে দিয়ে আমাকে নিচের অতল খাদে ফেলে দেবার জন্য। তখন আমি নিজের ইচ্ছাতেই করেছি কিনা কাজটা জানিনা কিন্তু যা করেছি ঐ সময়ের জন্য সেটাই সবচেয়ে সঠিক কাজ ছিলো। আমি দেয়ালের অল্প একটু অবতল অংশে যতটুকু পারি হাত দুদিকে ছড়িয়ে সেধিয়ে গেলাম। পাথর বৃষ্টি আমার মাথার উপর দিয়ে প্রক্ষেপক হয়ে নিচের খাদে পড়ে যেতে লাগলো। ধুলোবালিতে আচ্ছন্ন হওয়া ছাড়া অবিশ্বাস্য ভাবে একটি আঁচড় ও লাগেনি।

পাথর ধ্বস শেষ হলে আর ও কিছুক্ষন ওভাবেই থাকলাম তারপর যত দ্রুত সম্ভব অপর পাড়ে গিয়ে মাটিতে হাত পা ছড়িয়ে বসে পড়লাম। গ্রাম দেশে ভ্যাবদা লেগে যাওয়া যাকে বলে ঠিক তাই অবস্থা। একটু পর বৃটিশ তরুনটি আসলো। সে বুঝলো যে আমার মনের উপর দিয়ে ঝড় গেছে তাই আমার সাথে কিছুক্ষন কথা বলে স্বাভাবিক করার চেষ্টা করলো। তার সাথে কিছুক্ষন কথা বলে তারপর রওনা হলাম। তার মতে আজকে আমি বড়ো বাঁচা বেঁচে গেছি। সেই সাথে প্রশংসা করলো যে ঐসময় যা করেছি সেটাই নাকি সবচেয়ে সঠিক কাজ ছিলো। সামনে বা পিছনে দৌড় দিলে নাকি আমার আর বাঁচার কোন সম্ভাবনা ছিলনা যা সে আশংকা করেছিল। আর কিছু সামনে গিয়ে আমার সঙ্গীকে পেলাম বিশ্রাম নিচ্ছে। তাকে সব খুলে বললাম, সে পরামর্শ দিলো দেশে ফিরে জানের সদকা হিসেবে কিছু দান করে দিতে। একটু পরেই ৩০০০ মিটার উচ্চতায় ঘোড়াতাবেলা, আমাদের দ্বিতীয় ব্রেক। দু পাশে আকাশ ছোয়া পর্বত ঘেরা গিরিখাতের ভিতর চমৎকার জায়গা। কোন জনবসতি নেই শুধু একটি টি হাউস ছাড়া। এক পাহাড়ী মহিলা সম্ভবত তামাং গোত্রের, পরিচালনা করে এটি। এখানেই লাঞ্চের সিদ্ধান্ত হলো, এবং খাবারের স্বাদ চমৎকার বলতেই হয়। ডেজার্ট হিসেবে সবাই খেলাম ইয়াকের দুধের তৈরী দই। হাতে সময় থাকলে এখানে একরাত কাটানো যেতো। অনেকক্ষন বিশ্রাম নিলাম চমৎকার এই জায়গায়। অর্জুন তাড়া দিতে লাগলো। ল্যাংটাং ভিলেজ পৌছতে নাকি আমাদের আজকে রাত হয়ে যাবে। অতএব আবার যাত্রা।

ঘোড়াতাবেলা টু ল্যাংটাং ভিলেজ (ভায়া থাংশিয়াপ ভিলেজ)-

ঘোড়াতাবেলা থেকে গিরিখাতে আস্তে আস্তে ওপেন হচ্ছে ল্যাঙ্গটাং পর্বতমালায়। উচ্চতা তিন হাজার মিটারের অধিক। তাই গাছপালা কমে এসেছে। ঝোপঝাড়ই বেশী। অনেক নিচে পাহাড়ের ঢালে পাইনবনের বিস্তার দেখা যায়। ল্যাঙ্গটাং গ্রেসিয়ার থেকে বয়ে চলা ঝর্না অনেক নিচে সরু রুপালী ফিতার মতো দেখাচ্ছে। চারপাশ রুক্ষতা মেশানো সুন্দর। সামনে নেপাল আর্মির চেকপোষ্ট। সব কাগজপত্র আবার চেক করা হলো। নাম এন্ট্রি হলো। এখানে দায়িত্বরত সৈনিক বললেন বেশ কয়েক বছর পর বাংলাদেশ থেকে কেউ এসেছে। বাংলাদেশ নিয়ে ওদের বেশ আগ্রহ। ঢাকা কি কাঠমন্ডুর চেয়ে বড় শহর কিনা জানতে চাইল একজন। এখানে অল্টিচ্যুড সিকনেসের উপর সতর্কবানী করে একটি বড় সাইনবোর্ড টানানো যেখানে বলা আছে ৩০০০ মিটারের পর একদিনে ৩০০ মিটারের বেশী অলটিচ্যুড গেইন না করতে। তাছারা এএমএস এর সিম্পটম, করনীয়, এড়াতে হলে কিভাবে ট্রেকিং বা ক্লাইম্বিং করতে হবে ইত্যাদি অনেক উপদেশ। আমরা আর বললাম না অলরেডি এক হাজার মিটার উঠে এসেছি এবং আরো ৫০০ মিটার উপরে যাওয়ার প্ল্যান আজকেই। দ্রুত আলটিচ্যুড গেইনের মুল্য পরে অবশ্য আমাদের কয়েকজন কে দিতে হয়েছে। পুরো ট্রেকে খাবারের দামের কথা আর বল্লাম না। পানির দাম থেকেই ধারনা পাওয়া যাবে। ঘোড়াতাবেলার পর থেকে প্রতি লিটার পানির বোতল ২৫০ টাকায় কিনতে হয়েছে। তা ও ভালো যে পাওয়া গেছে। অন্নপুর্না ট্রেকে আপার সিনুয়ার পর থেকে মিনারেল ওয়াটার বোতল নিষিদ্ধ। ফিল্টার করা ঝর্নার পানি খেতে হয়েছে।

ঘোড়াতাবেলা পার হবার পর ভ্যালি আস্তে আস্তে ওপেন হচ্ছে, ল্যাংটাং ভ্যালির চূড়া গুলো চারপাশে মাথা উকি দিচ্ছে। উন্মুক্ত হওয়ায় বাতাস ও বেশী। রাস্তা ও বেশ রুক্ষ। আমাদের তৃতীয় স্টপেজ থাংশিয়াপ ভিলেজের আগের অনেক খানি রাস্তা বেশ বিপদজনক। অনেক বড় বড় বোল্ডারের ভিতর দিয়ে পথ চলে গেছে। চলার সময় খুবই অস্বস্তি লাগলো। মনে হচ্ছিলো এই বুঝি পাথরের নিচে চাপা পড়ি। শেষ বিকেলে থাংশিয়াপ পৌছলাম। ক্লান্তিতে আর পা চলছেনা। ল্যাংটাং ভিলেজ আরো দেড় ঘন্টার পথ। মনে হচ্ছিল কখনোই যেন পৌছতে পারবনা। শুধু চা খেয়ে আর পানি কিনে আবার পা চালালাম। চারিদিকের দৃশ্য বেশ মনোরম কিন্তু ক্লান্তি আর দ্রুত পৌছানোর তাড়ার কারনে প্রকৃতি উপভোগ করার মত । দ্রুত উচ্চতা গেইন করার কারনে মাথাও একটু একটু ভন ভন করছে। ল্যাংটাং ভিলেজে সন্ধার আলো জ্বলে উঠেছে দূর থেকে দেখা যাচ্ছে। কিন্তু মাঝের পথ মনে হচ্ছে এক সমুদ্র। সন্ধে গড়িয়ে প্রায় যখন অন্ধকার তখন ধুকতে ধুকতে ল্যাংটাং ভিলেজ পৌছলাম। উঠলাম টিবেটান লজে। এখানে ঠান্ডা অনেক। সন্ধের পরেই তাপমাত্রা শুন্যের নিচে নেমে যায় আর রাত গভীর হলে শুন্যের প্রায় ১০ ডিগ্রী নিচে নেমে যায়। রাতের খাবার খেয়ে দ্রুত যার যার রুমে চলে গেলাম। আজকে অনেক ধকল গেছে। এক সঙ্গীর সন্ধের পর থেকেই প্রচন্ড মাথাব্যাথা। অলটিচ্যুড সিকনেসের প্রথম ধাপ। তাকে যতটা সম্ভব ফ্লুইড খাওয়ানো হলো। সাথে গার্লিক স্যুপ। অ্যাকিউট মাউন্টেন সিকনেসের স্থানীয় টোটকা। অতঃপর বডি হিট ধরে রাখার জন্য জ্যাকেট পরা অবস্থায় স্লিপিং ব্যাগের ভিতর ঢুকিয়ে দিলাম। অবস্থার উন্নতি না হলে কালকে নামিয়ে দিতে হবে। রাত বাড়ার সাথে সাথে বাতাসের গতি বাড়তে লাগলো। গভীর রাতে বাতাসের শব্দে ঘুম ভেঙ্গে গেল। সেই আওয়াজ শুনলে অতি সাহসীর বুকেও কাপন ধরবে। ঠিক যেন সমুদ্রে ১০ নাম্বার মহাবিপদ সংকেতের মতো। এই বাতাসে ১০ মিনিট দাঁড়ালে হাইপোথারমিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর পুরোপুরি সম্ভাবনা আছে। বাইরে চাঁদের আলো চারপাশের চুড়ায় প্রতিফলিত হয়ে অদ্ভুত আলো আধারীর পরিবেশ তৈরী করেছে। কালকে একটু বেলা করে রওনা হব। কিয়ানজিন গোম্পা এখান থেকে ৩/৪ ঘন্টার পথ। সুতরাং বেশ তরিবত করে আরামে স্লিপিংব্যাগ গলা পর্যন্ত টেনে ঘুম।



























































সর্বশেষ এডিট : ২১ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:৪৮
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ডালাসবাসীর নিউ ইয়র্ক ভ্রমণ

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:৪৪

গত পাঁচ ছয় বছর ধরেই নানান কারণে প্রতিবছর আমার নিউইয়র্ক যাওয়া হয়। বিশ্ব অর্থনীতির রাজধানী, ব্রডওয়ে থিয়েটারের রাজধানী ইত্যাদি নানান পরিচয় থাকলেও আমার কাছে নিউইয়র্ককে আমার মত করেই ভাল ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×