somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমাদের বালি ভ্রমণঃ ঢাকা-সানুর- গিলি আইল্যান্ডস (গিলি মেনো, গিলি এয়ার, গিলি টি)-সানুর-ঢাকা। ১৪-১৫ জুন, ২০১৮ (১ম দিন- ১ম ভাগ)

০২ রা জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:০১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এবার ঈদে গিয়েছিলাম ইন্দোনেশিয়ার বালিতে। বালির সানুর এবং গিলি আইল্যান্ডস মানে গিলি ট্রাওয়ারগান (সংক্ষেপে গিলি টি), গিলি মেনো এবং গিলি এয়ার। আমরা গিয়েছিলাম মালেশিয়ান এয়ার লাইনসে এবং ঈদের আগে আগে টিকেট কাটার কারণে টিকেটের দামও ছিল প্রচুর। এমনকী বাজেট এয়ার লাইনসের টিকেট প্রাইজ এবং মালেশিয়ান এয়ার লাইনসের টিকেট প্রাইজ প্রায় সমান সমান হয়ে গিয়েছিল। আমার মতে, ঈদে যদি কোথাও যাওয়ার প্ল্যান থাকে, তবে টিকেট ০৩ মাস আগেই বুক করা উচিৎ।নাহলে টিকেটেই অনেক টাকা চলে যায়। আর ঈদ ছাড়া অন্য সময়ে ১.৫-০২ মাস আগ থেকে টিকেট বুক করলে মোটামুটি রিজেনেবল প্রাইজে পাওয়া যায়। আমাদের Departure time ছিল রাত ০২:০০ টায়। ট্রানজিট ছিল মালেশিয়ায়, ০৫ ঘন্টার। আমরা অতি উত্তজেনায় ১০:০০ টার মধ্যেই এয়ারপোর্ট হাজির। শেষে হুদাই কিছুক্ষণ ঘুরাঘুরি করে সোজা ইমিগ্রেশনে চলে আসলাম। ইমিগ্রশনে জিজ্ঞাসা করল কোথায় যাবেন, কতদিন থাকবেন, চাকরী করি কিনা জানতে চাইল। আমি চাকরী করি জানার পর Office permission দেখতে চাইল। আমার Travel order ইমিগ্রেশন অফিসারকে দেখালে সে খুব ভাল মানুষের মত মুখ করে বলল, আপা আমি এই Travel order টা রেখে দেই। আমি বললাম দেন।আমার জামাই জিজ্ঞাসা করল আমার NOC দেখলেন না । অফিসার হেসে আমাকে দেখিয়ে বলল, উনার Travel Order এ লেখা আছে স্বামীর সাথে Travel করবে।তাই আপনারটা লাগবে না। তারপর অফিসার আরো কিছু কথা বলল যার সারাংশ হচ্ছে আমরাই আমাদের পাসপোর্ট ভ্যালু নষ্ট করছি ইত্যাদি ইত্যাদি। আমরা অনেক আগে ইমিগ্রেশন প্রসেস শেষ করে এয়ারপোর্টের ভিতর ঘুরে ঘুরে দেখতে লাগলাম। EBL লাউঞ্জে বসে বুফে খাবারের দাম শুনে স্রেফ মনে হলো ডাকাতি। শুধু EBL না অন্যান্য সব লাউঞ্জেরও একই অবস্থা। দেখে শুনে মনে হলো বাসা থেকে ভরপেট খেয়ে বের হয়ে আসার বুদ্ধিটা খুবই ভাল ছিল।আর এইসব মেয়োনিজ মাখানো সালাদ দিয়ে পার পারসন ২০০০ টাকার বুফে খাওয়ার কোন মানে হয় না। এর চাইতে যেখানে যাচ্ছি সেখানে এই টাকা দিয়ে ভরপেট খাবো এবং Honestly speaking সস্তায় ভরপেট প্রচুর খেয়েছি। যাই হোক, যথাসময়ে বিমানে চেক-ইন করে দুইজনে বসে পড়লাম। যথাসময়ে বিমান ছাড়ল। বিমান জার্নি আমার কাছে খু্বই কষ্টের কারণ একে তো মনে হয় বিমান আকাশে উঠার পর টুক করে পড়ে যাবে আর এই চিন্তায় আমারও ঘুমও হয় নাই। খালি আল্লাহ আল্লাহ করছি কখন জার্নি শেষ হবে। পরদিন সকাল ০৮:০০ টায় আমরা মালয়েশিয়াতে পৌছে গেলাম আর ঐদিন মালয়েশিয়াতে ঈদের দিন ছিল। লাগেজ বালি থেকে Receive করতে হবে বিধায় এয়ারপোর্টে নেমে সকালে হাল্কা নাস্তা আর কফি খেয়ে ধীরে সুস্থে পুরো এয়ারপোর্ট ঘুরে দেখলাম। এয়াপোর্টে সবসময়ই জিনিসপত্রের প্রাইজ বেশী থাকে এবং মালয়েশিয়া এয়ারপোর্টও তার ব্যতিক্রম না। সময় কাটানোর জন্য কচ্ছপ গতিতে পুরো টার্মিনাল -১ ঘুরে দেখার পর মেট্রোতে করে টার্মিনাল -২ তে চলে আসলাম, যেখান থেকে বালির উদ্দেশ্যে বিমান ছাড়বে। ঠিক দুপুর ১২:০০ টায় বালির উদ্দেশ্যে বিমান ছাড়ল। বালির কাছাকাছি আসলে বিমান থেকে মেঘে ঢাকা পর্বতগুলোর কালো ছায়া, ভারত মহাসাগরের নীল পানি আর চকচকে রোদ সবকিছু পরিষ্কার দেখতে লাগলাম।ঘন মেঘের কারণে ল্যান্ডিং-এ দেরী হলো। ঠিক বিকাল ০৪:০০ টায় সাড়ে ০৩ ঘণ্টারও বেশী বিমান জার্নি শেষে অবশেষে বালির Ngurah Rai International Airport-এ পৌছালাম।বিমান থেকে নেমে শাটল বাসে করে মূল এয়ারপোর্টে নামার সাথে সাথে সবাই দিল দৌড়। কারণ ইমিগ্রেশন লাইন।আমরা যখন ঢুকলাম ততক্ষণে লাইন সাপের মত সাত/আট পাক দিয়ে ফেলছে।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:০২
৫টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জামাত কি দেশটাকে আবার পূর্ব পাকিস্তান বানাতে চায়? পারবে?

লিখেছেন ঋণাত্মক শূণ্য, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:২৮

অন্য যে কোন সময়ে জামাতকে নিয়ে মানুষ যতটা চিন্তিত ছিলো, বর্তমানে তার থেকে অনেক বেশী চিন্তিত বলেই মনে করি।



১৯৭১ এ জামাতের যে অবস্থান, তা নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের অস্তিত্বের বিরুদ্ধে... ...বাকিটুকু পড়ুন

১৯৭১ সালে পাক ভারত যুদ্ধে ভারত বিজয়ী!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯


দীর্ঘ ২৫ বছরের নানা লাঞ্ছনা গঞ্জনা বঞ্চনা সহ্য করে যখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বীর বাঙালী অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে বীরবিক্রমে যুদ্ধ করে দেশ প্রায় স্বাধীন করে ফেলবে এমন সময় বাংলাদেশী ভারতীয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা গান্ধীর চোখে মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক: ওরিয়ানা ফলাচির সাক্ষাৎকার

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৫


১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইতালীয় সাংবাদিক ওরিয়ানা ফলাচি ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সাক্ষাৎকার নেন। এই সাক্ষাৎকারে মুক্তিযুদ্ধ, শরনার্থী সমস্যা, ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক, আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদী পররাষ্ট্রনীতি এবং পাকিস্তানে তাদের সামরিক... ...বাকিটুকু পড়ুন

=যাচ্ছি হেঁটে, সঙ্গে যাবি?=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৬


যাচ্ছি হেঁটে দূরের বনে
তুই কি আমার সঙ্গি হবি?
পাশাপাশি হেঁটে কি তুই
দুঃখ সুখের কথা ক'বি?

যাচ্ছি একা অন্য কোথাও,
যেখানটাতে সবুজ আলো
এই শহরে পেরেশানি
আর লাগে না আমার ভালো!

যাবি কি তুই সঙ্গে আমার
যেথায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

আগামী নির্বাচন কি জাতিকে সাহায্য করবে, নাকি আরো বিপদের দিকে ঠেলে দিবে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১২



আগামী নির্বচন জাতিকে আরো কমপ্লেক্স সমস্যার মাঝে ঠেলে দিবে; জাতির সমস্যাগুলো কঠিন থেকে কঠিনতর হবে। এই নির্বাচনটা মুলত করা হচ্ছে আমেরিকান দুতাবাসের প্রয়োজনে, আমাদের দেশের কি হবে, সেটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×